সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: গুরুত্বপূর্ণ কিছু পোর্টেবল সফটওয়ার

গুরুত্বপূর্ণ কিছু পোর্টেবল সফটওয়ার

ফ্রি ওয়ারের জনপ্রিয়তাকে পিছনে ফেলে আজ স্থান করে নিয়েছে পোর্টেবল সফটওয়ার। দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছেই। কারণ ইনস্টলের কোন ঝামেলা নেই, খোলার জন্য চাবি লাগেন, সর্বোপরি রেডিমেট যাকে বলে।(কম্পিউটার ইউজাররা এমনিতেই ‘‍‍‍‌‌সি’ ড্রাইভের উপর অত্যাচার চালায়। সম্ভবত ‘‍‍‍‌‌সি’ ড্রাইভ সফটওয়ার নির্মাতাদের কাছে আবেদন করেছিল তার উপর থেকে চাপ কমানোর জন্য।)
যাক কথা না বাড়িয়ে কাজে চলে আসি। আমার দেওয়া সফটওয়ারগুলোর সাইজ ছোট। শুধু নিরো একটু বড়। নিচে বর্ণনা পড়ুন। পছন্দ হলে নামিয়ে নিন। আর কোন সমস্যা হলে আমাকে মেইল করতে পারেন।এই সফটওয়ারগুলো আমার ব্যবহার করা এবং নিজেই পোর্টেবল করেছি। আমি কোন জঙ্গি আক্রমনের স্বিকার হইনি। তাই জঙ্গি থেকে নিশ্চিত থাকতে পারেন।
7 Zip
এটি একটি জিপ সফটওয়ার তা সকলেই জানেন। এর সবচেয়ে সুবিধা হলো এক ক্লিকেই ইনস্টল আর সাইজটাও একেবারেই ছোট।এটি সব ধরনের জিপকে আনজিপ করতে পারে। আর এটা দিয়ে যে কোন ফাইলকে জিপ(.7z exention) করে খুব ছোট করা যাই অন্যান্য জিপ সফটওয়ার থেকে। তাছাড়া আমার দেওয়া সফটওয়ারগুলো খোলার জন্যও এটা লাগতে পারে। তবে এটা আমার বানানো নই। বরং এর সাইটা থেকে নামানো।
MP3 To Ringtone Gold
যারা মোবাইলে mp3 গান রাখেন তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়ার।(এটি নিয়ে অবশ্য বিভিন্ন ফোরামে পোষ্ট হয়েছে।) ১টি mp3 গানকে ৭০% পর্যন্ত সাইজ কমাতে পারেন এটি দিয়ে। সফটওয়ারটি রান করে big mp3 to smallএ যান। তারপর সেটিংস এ গিয়ে বিট রেট যত কমাবেন সাইজও তত কমবে। আমি ৪৮ এ দিয়েই করি। এতে বুঝাই যায়না এর সাউন্ডের কোন পরিবর্তন হয়েছে। এবার গান এড করেন। একটা করতে হলে Convert single দিন আর একসাথে অনেকগুলো করতে হলে Convert all দিন।
Nero
সিডি রাইট করার জন্য দিন দিন অনেক সফটওয়ার বের হচ্ছে। তবে সবগুলো থেকে Nero যেন আলাদা। রাইট করার জন্য এটি এখনো সেরা সফটওয়ার বলা যায়। তবে এর সাইজটা একটু বেশি। বিশেষ করে এর নতুন ভার্সনগুলো। কিন্তু আমি যেটা ব্যবহার করি তার সাইজ মাত্র 84 mb(প্রায়)। যদিও এটি ৭ এর আগের ভার্সন তবে, সব ফিচারই আছে। ব্যবহার করে দেখেন নিশ্চয় ভাল লাগবে আমার মত।
smartmovie
এটি গান কনভার্ট(ভিডিও)করার একটি দারুন সফটওয়ার।এর আগে এটি নিয়ে আমি একটি পোষ্ট করেছি ।তাই এখানে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন মনে করছিনা। এর কাজ কি, কিভাবে করতে হবে তা পোষ্টটি পড়ে জেনে নিতে পারেন। খোলার সময় সম্ভবত এটি আপনাকে মেসেজ দেবে ডেস্টিনেশন ফোল্ডার (কনভার্ড করা গানগুলো কোথায় রাখবেন) ঠিক করার জন্য। আপনি Preference এ গিয়ে ব্রাউজ করে তা করতে পারেন।
TuneUp
উইন্ডোজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউটিলিটি হিসেবে TuneUp অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটিকে একজন এফসিপিএস ডাক্তারের মত আপনি পিসিতে ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিবছর এর নতুন ভার্সন বের হয় এবং ভার্সনগুলোকে বছরের বিভিন্ন সময় আপডেট করা হয়। তাই আপনি নতুন ভার্সন (কিনে)নিলে ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। এতে আপনার ভার্সনটাও নেট থাকলে তাদের সাথে আপডেট করতে পারবেন ফ্রি একবছরের জন্য। কিন্তু ফ্রি নিলে ৩০ দিনের মেয়াদ পাবেন। ইউটিলিটি ছাড়া এটি দিয়ে আপনি বুটস্কিন,লগঅনস্কিন বদলানো সহ উইন্ডোজের গ্রাফিক্স এর চেহারাই বদলাতে পারেন। বুটস্কিন বদলানোর জন্য শুধু একটা ছবি (.bmp) হলে হবে। আর লগঅনস্কিনের জন্য logonUI.exe ফাইলটি লাগবে (যা C:\WINDOWS\system32 তে থাকে)। আমি আপাতত আমার তৈরি করা ফাইলটি (এক্সপির জন্য)সেট আপ ফাইলের সাথে আপনাদেরকে দিলাম।সাথেwinlogon.exeফাইলটিও দিলাম। এটিকে বুট সিডি দিয়ে বুট করে C:\WINDOWS\system32 তে কপি করে দিলে কাজ হবে। এগুলো ব্যবহার করে দেখবেন। যদি ভাল লাগে তাহলে এরকম ফাইল অনলাইন থেকে নামিয়ে বা নিজে বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এগুলো পোর্টেবল ভার্সন দিয়ে বদলানো যায়না। বরং আপনাকে সেটআপ করে করতে হবে। আমি পোর্টেবল (২০০৭)ও সেট আপ (২০১০) দুটোই দিলাম।আপনি logonUI.exe ফাইলটিকে টিউনআপ ব্যবহার না করে winlogon.exe এর মত একইভাবে C:\WINDOWS\system32 তে কপি করে দিলেও কাজ হবে। সোজা কথা এদুটি ফাইল ওয়েলকাম স্কিন আর লগঅনস্কিনের কাজ করে।তাই ঐদুটো ফাইল আপনি বুটসিডি বা সেফ মোডে বা এক্সটারনাল ডসের মাধ্যমে system32 তে কপি(রিপ্লেস) করে দিলে হবে। কারণ ওগুলো উইন্ডোজ অবস্থায় কপি করলে কপি হবেনা।
এর সবচেয়ে চমক আছে ২০১০ ভার্সনে। 1 Click Maintainence নামের একটা ফিচার আছে যেটাতে ক্লিক করলে আপনার পিসির সমস্যাগুলো খুজেঁ বের করবে আর তা ঠিক করার জন্য আপনাকে একটা মাত্র ক্লিক করতে হবে। তাছাড়া আপনার পিসির হার্ডওয়ারগত কিকি সমস্যা আছে তা আপনাকে লাল চিহ্ন দিয়ে জানিয়ে দেবে এবং পরামর্শ দেবে আপনার করণীয় কি। এছাড়া আরো অনেক ফিচার আছে যা আপনি ব্যবহার করলে পাবেন। নিচে ২০১০ এর সেটআপ ফাইল, সাথে আমার তৈরি ফাইলসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি এবং ২০০৭ এর পোর্টেবল ফাইলটি দিলাম। অতি জরুরি মনে করে নামিয়ে নিন।


Xilisoft Video Converter
নাম 3GP হলেও এটি দিয়ে কিন্তু বিভিন্ন ফরমেটের অডিও/ভিডিও গান কনভার্ট করা যায়। তবে 3Gp,Mp4,Mp3 গান কনভার্ট করার জন্য মনে হয় এর চেয়ে সেরা কনভার্টার আর পাবেন না।
ThinApp
উপরের পোর্টেবল সফটওয়ারগুলো সব এর কল্যাণেই হয়েছে। তার মানে বুঝতেই পারছেন এর কাজ কি। কি ভয় করতেছে, কিভাবে ব্যবহার করবেন? সমস্যা নেই আপনি নতুন ব্যবহারকারী হলেও পারবেন। চিত্রসহ বর্ণনা দিয়েছি। নামিয়ে নিয়ে দেখুন।

তবে এটি দিয়ে বানানো পোর্টেবলগুলো কিছুদিন পর খুলতে গেলে ছোট্ট একটা মেসেজ দেয় আর সফটওয়ারটি রান করেনা। এটা হল এর সিমাবদ্ধতা। তাই আপনি সবসময় এর একটা বেকআপ কপি রাখুন। যখন সমস্যায় পড়বেন তখন বেকআপ কপি থেকে কপি করে ঐ কপিটা ব্যবহার করবেন আর অরজিনালটা রেখে দেবেন। আমি এরকম করি।

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।