সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: ৩২ বিট আর ৬৪ বিট এর পার্থক্য

৩২ বিট আর ৬৪ বিট এর পার্থক্য

32bit Win7
কম্পিউটার যারা ব্যবহার করেন তারা নিশ্চয় 32 bit, 64 bit এর নাম শুনেছেন। 32 bit আর 64 bit এর জন্য আলাদা আলাদা প্রসেসর, অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়ার, আর ড্রাইভার আছে। তবে নতুনদের মধ্যে অনেকেই জানেন না এই ৩২ বিট আর ৬৪ বিট (X86X64) কি বা Difference between 64bit and 32bit। এদের মধ্যে পার্থক্য কি, কি জন্য ব্যবহার করা হয় বা নিজের কম্পিউটারটি কত বিটের তা কিভাবে চেক করবেন তাও অনেকের অজানা। এটি নিয়েই আমার পোষ্টটি লেখা। এখানে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার চেস্টা করছি।



৩২ বিট আর ৬৪ বিট এ পার্থক্য কিঃ
১। ৩২ বিট এর চেয়ে ৬৪ বিটে উইন্ডোজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশি, বিশেষ করে ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে Kernel Patch Protection অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। Kernel হল প্রসেসর, হার্ডওযার, ডিভাইস ড্রাইভার এর সাথে অন্যান্য সফটওয়ারের সমন্বয় রক্ষা করে চলার একটি পদ্ধতি যার উপর ভিত্তি করে অপারেটিংস সিস্টেম তৈরি হয়। একে Hardware, Software, firmware Adapting ও বলা যেতে পারে। একেক অপারেটিং সিস্টেমে একেক ধরনের Kernel ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়।

২। ৬৪ বিট উইন্ডোজে ডিজিটাল সাইন ছাড়া ড্রাইভার ইন্সটল করা যায় না। ডিজিটাল সাইনটা এক প্রকার কোম্পানির সীলের মত। যখন ঐ সফটওয়ারটাকে ভাইরাস আক্রমন করে বা এর মধ্যে কোন পরিবর্তন হয় তখন ডিজিটাল সাইনটি পরিবর্তিত হয়ে যায় যাকে হিসেবে উইন্ডোজ ধরে নেয়। ৩২ বিটেও ডিজিটাল সাইন ছাড়া ড্রাইভার ইন্সটল না করার অপশন আছে তবে এটি ডিফল্ট সেটিংস নয়। কিন্তু ৬৪বিট অপারেটিং সিস্টেমের উইন্ডোজ Digitally Signed Broken কে অনুমোদন করে না।

৩। ৬৪ বিট প্রসেসরে ৬৪ বিট এবং ৩২ বিট দুই ধরনের উন্ডোজই (অপারেটিং সিস্টেম) ব্যবহার করা যায়। তবে ৩২ বিট প্রসেসরে শুধু মাত্র ৩২ বিট উন্ডোজই ব্যবহার করা যায়। সুতরাং ৬৪বিট উইন্ডোজ ব্যবহার করতে চায়লে ৬৪বিট প্রসেসরই লাগবে।

৪। ৬৪বিট উইন্ডোজে কিছু কিছু ৩২বিটের সফওয়ার, আর ড্রাইভার রান করা গেলেও অনেক সময় সমস্যা দেখা দেয়, সঠিকভাবে কাজ করে না। তবে ৩২বিট উইন্ডোজে ৬৪বিট সফটওয়ার বা ড্রাইভার কোনটাই কাজ করে না। অর্থাৎ সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ৬৪বিটের জন্য ৬৪বিটের সফটওয়ার আর ড্রাইভার যেমন দরকার তেমন ৩২ বিটের জন্যও ৩২বিটের সফটওয়ার আর ড্রাইভার দরকার। আবার ১৬বিট প্রোগ্রামগুলো ৩২বিটে কাজ করলেও ৬৪বিটে কাজ করে না। ৬৪ বিটের প্রোগ্রামগুলো ৩২বিটের চেয়ে পারফরমেন্স ভাল দেখায়। যেমন ক্রাশ করা বা এরকম অন্যান্য সমস্যাগুলো থেকে ৬৪বিট প্রোগ্রামগুলো মুক্ত বললেই চলে।

৫। ৬৪বিট প্রসেসর সাধারণত x64 এবং ৩২বিট প্রসেসর সাধারণত x86 গতিতে চলে।

৬। ৩২ বিটের জন্য সাধারণত 512MB থেকে 4 GB পর্যন্ত RAM Recommend করা হয় যেখানে ৬৪বিটের জন্য 4 GB Recommend করা হয়। এর চেয়ে কম হলেও চলে। অনেকেই মনে করে ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য কমপক্ষে 4GB RAM দরকার হয়। বিষয়টা সেরকম নয়। বরং আপনি 2GB RAM দিয়েও ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেম চালাতে পারেন যদি আপনার প্রসেসর তা সাপোর্ট করে।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল 4 GB এর উপর RAM ব্যবহার করতে চায়লে অবশ্যই ৬৪বিট প্রসেসর আর উইন্ডোজ ব্যবহার করতে হবে। কারণ ৩২ বিটে 4 GB এর উপর RAM ব্যবহার করা হলেও তা ব্যবহৃত হয় না। এমনকি অনেক সময় সর্বোচ্চ 3 GB পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়ে বাকিগুলো RAM অব্যবহৃত থেকে যায় কারণ হার্ডওয়ার সাপোর্ট করে না। অন্যদিকে ৬৪বিটে 1GB থেকে 128GB এর চেয়ে বেশি RAM সাপোর্ট করে। যদিও এখনো 128GB RAM ব্যবহারের রেকর্ড শুনা যায়নি। তবে ব্যবস্থাটা রাখা হয়েছে।

যে সব কাজের জন্য বেশি RAM প্রয়োজন তার জন্য ৬৪বিটের বিকল্প নেই। যেমন হলিউডের যে ফিল্মগুলো তৈরি করা হয় তাতে সব ৬৪বিটের প্রোগ্রামগুলোই ব্যবহার করা হয়। তেমনি 3D, High powerful Graphics আর Multimedia জন্য ৬৪বিট একমাত্র সমাধান। তবে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে ৩২ বিটেও 4G এর বেশি RAM ব্যবহার করা যায়। তবে এটি Windows Kernel Security দুর্বল করে দেবে। তাই অভিজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন ঐ ঝুঁকি না নেয়ার জন্য।

আশাকরি কারো মনে আর এই প্রশ্ন থাকবে না যে -৩২বিট আর ৬৪বিটে পার্থক্য কি বা ৩২বিট নাকি ৬৪বিট কোনটা ভাল।

আপনার পিসিটি ৩২ বিট নাকি ৬৪ বিট?
আগেই বলেছি ৬৪বিট অপারেটিং সিস্টেম আর প্রোগ্রাম ব্যবহার করার জন্য ৬৪বিট প্রসেসরই ব্যবহার করতে হয়। তবে ৬৪বিট প্রসেসর থাকলেও আপনি ৩২বিট অপারেটিং সিস্টেম আর প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন। তাই প্রশ্ন জাগে নিজের অপারেটিং সিস্টেমটি ৩২ বিট নাকি ৬৪ বিট। এটা বলা যায় আমরা সাধারণত ৩২বিটই ব্যবহার করে থাকি। কারণ আমরা মনেকরি ৬৪বিট আর ৩২বিট একই। তাই আমাদের বাজারে যা পাওয়া যায় তার বেশির ভাগই ৩২বিট।

আপনারটি চেক করার জন্য My Computer>Properties>General এ যান যাকে আমরা My Computer Properties বা System Properties বলে থাকি। ওখানে আপনি দেখবেন আপনি কোন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন, কত ভার্সন এবং তা কত বিটের। আপনর পিসি কত র‍্যাম ব্যবহার করছে তাও ওখানে দেখতে পাবেন। যদি বিট দেখতে না পান তাহলে বুঝে নেবেন আপনি ৩২বিটই ব্যবহার করছেন। ৬৪ হলে তা অবশ্যই প্রদর্শিত হবে। কিন্তু ৩২বিট হলে তা ভার্সনভেধে প্রদর্শিত নাও হতে পারে।
32bit XP

32bit Vista

64bit 7

64bit XP



১৬টি মন্তব্য:

  1. Nice post.I learn these information for the first time.Thank you very much.

    online income

    উত্তরমুছুন
  2. ধন্যবাদ ,অনেক উপকার পাইলাম।

    উত্তরমুছুন
  3. আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসার দাওয়াত রইল https://gizbangla.com

    উত্তরমুছুন
  4. ভাই আমি এই আর্টিকেল থেকে আজকে যত কিছু জানতে পারলাম। ভাই আপনাকে কি বলবো অনেক উপকার করছেন। আপনাকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাই আর্টিকেল তার জন্য

    উত্তরমুছুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।