সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: ফায়ারফক্সের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস

ফায়ারফক্সের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস


বর্তমানে জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারের মধ্যে ফায়ারফক্স একটি। জনপ্রিয়তার পেছনে এর অন্যান্য দিকের মধ্যে আছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সেটিংস। সেটিংসগুলোর জন্য ফায়ারফক্স অনেকটা অপছন্দের। নতুনদরে মধ্যে অনেকেই এর সেটিংসগুলো জানেনা। আজ তাদের জন্যই এ লেখা।
১মে মেন্যুবার থেকে Toosl>Optons এ ক্লিক করুন। তাহলে Optons ডায়লগ ব্ক্স আসবে। সেখান থেকে General ট্যাবে যান। নিচের ছবির মত আসবে।

General ট্যাবঃ এটি প্রথম ট্যাব। এতে অনেক প্রয়োজনীয় সেটিংস আছে। উপরের ছবিতে চিহ্নিত ১নং ঘরটি হল হোমপেজের। এখান আপনি আপনার পছন্দের কোন ওয়েবসাইটের নাম লিখে রাখতে পারেন। পরবর্তী ঐ সাইট ভিজিট করতে চায়লে হোমপেজের চিহ্নতে ক্লিক করলে সাইটটি ওপেন হয়ে যাবে আর আপনাকে কষ্ট করে লিখতে হবেন।
২,৩,৪ চিহ্নগুলো আছে When Firefox Starts অপশনের অধীনে। এর মাধ্যমে আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করতে পারেন। যেমন আপনি যখন প্রথমে ফায়ারফক্স অপেন করেন তখন কোন পেজটি অপেন অবস্থায় চান। এখানে তিনটি অপশন আছে। ২ অপশনটি দিলে আপনি যখন ফায়ারফক্স খুলবেন তখন আপনার হোমপেজটি অটোমেটিক অপেন হবে। ৩ নং অপশনের মাধ্যমে অপশনের মাধ্যমে কোন পেজ অপেন হবেনা যাকে বলে ব্লাংক পেজ। তখন আপনি যে পেজটি ভিজিট করতে চান তা লিখে দিতে হবে। আর ৪ নং অপশনটি সবচেয়ে মজার অপশন। দরুন আপনি গুগল পেজটি ভিজিট করার পর ফায়ারফক্স ক্লোজ করে ফেলেছেন। যদি ৪নং অপশনটি দেয়া পরবর্তীতে যখন ফায়ারফক্স খুলবেন তখন গুগল পেজ যেটি আপনি সর্বশেষ ভিজিট করেছিলেন সেটি অপেন হবে। ফায়ারফক্স অনেক সময় ক্রাশ করে বন্ধ হয়ে যায়। ক্রাশ করার সময় হয়ত আপনি কোন গুরুত্বপূর্ণ পেজ ভিজিট করছিলেন যা পরবর্তীতে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হবে। ৪ অপশনটি যদি দেওয়া থাকে তাহলে আপনাকে আর ভাবতে হবেনা, খোলা মাত্রই ঐ পেজটি খুলে যাবে।
৫ নং অপশনটির মাধ্যমে ফায়ারফক্সের মাধ্যমে ডাউনলোড করা ফাইলগুলো কোথায় সেভ হবে তা ঠিক করে দিতে পারেন। যেমন আপনি যদি এখান থেকে ডেস্কটপ সিলেক্ট করে দেন প্রতিবারই ডেস্কটপে সেভ হবে।
৬ অপশনের মাধ্যমে প্রতিবারই ডাউনলোড হওয়ার সময় আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে  কোথায় সেভ করবেন। তখন আপনার পছন্দের জায়গায় সেভ করতে পারেন।

Content ট্যাবঃ Content ট্যাবে গিয়ে Advanced ট্যাবে ক্লিক করুন। তাহলে উপরের মত ছবি আসবে। এখান থেকে ছবিতে দাগ দেওয়া সেটিংস এর মত আপনার সেটিংস করে নিন। এর ফলে ইন্টারনেটের বাংলা সাইট ভিজিট করতে অসুবিধা হবেনা। লেখার ফন্টগুলো সুন্দরভাবে দেখাবে।

Security ট্যাবঃ এটাতে ক্লিক করে ১ চিহ্নিত সেটিংস এর মত করে দিন। এর ফলে ফায়ারফক্স রিপোর্টেড সাইটকে ব্লক করে আপনাকে নিরাপত্তা দেবে।
২ নং অপশনটি দিলে ফায়ারফক্স আপনার পাসওয়ার্ড মনে রাখার অপশন দেবে। যেমন এ অপশনটা দিয়ে আপনি জিমেইল,ইয়াহু, হটমেইল ইত্যাদি লগিন করলেন। লগিন করার সময় আপননি পেজের উপরের দিকে Remember Password নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন। ওটাতে Yes দিলে পরবর্তীতে যখন আবার জিমেইল ভিজিট করতে যাবেন তখন নতুন করে পাসওয়ার্ড দিতে হবেনা। বরং পাসওয়ার্ড দেয়ায়া থাকবে। আপনি শুধু লগিন এ ক্লিক করবেন। এভাবে প্রত্যেক সাইটে লগিন করার সময় এ সুবিধাটা ভোগ করতে পারবেন।
২নং অপশনটি যখন আপনি ব্যবহার করবেন তখন একটা ভয় থাকে যে আমার একাউন্টগুলো কেউ ভিজিট করছে কিনা। কারণ আপনিতো পাসওয়ার্ড মনে রাখার অপশনটি দিয়ে গেছেন। তাই পরবর্তীতে ঐ সাইটটা চায়লে যেকেউ অনায়াসে ভিজিট করতে পারে আপনার অজান্তে। তাই আপনি ৩ নং অপশনিট ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য Use a master password অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে পাসওয়ার্ড দেওয়ার জন্য ডায়লগ বক্স আসবে। ওটাতে পাসওয়ার্ড দিয়ে ওকে করুন। পাসওয়ার্ড সঠিক হলে আপনাকে successful মেসেজ দিয়ে জানাবে যে কাজ সফল হয়েছে। এখন আপনার জিমেইল কেউ ভিজিট করতে চায়লে আপনার দেওয়া মাষ্টার পাসওয়ার্ডটি চায়বে। ঐটা না দিয়ে কেউ পেজটি ভিজিট করতে পারবে না। এভাবে আপনি যত পেজে লগিন করার সময় পাসওয়ার্ড মনে রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সব পেজে মাষ্টার পাসওয়ার্ড দিয়ে ঢুকতে হবে।

Advanced ট্যাবঃ সর্বশেষ Advanced ট্যাবের General ট্যাবে যান। এখানে ১,২,৩ নং অপশনগুলো দিলে কোন ওয়েবসাইটের নাম পুরো লিখেতে হবেনা। যেমন আপনি www.google.com ভিজিট করার জন্য g লেখেছেন। g লেখার সাথে সাথে g দিয়ে যত পেজ আপনি এর আগে ভিজিট করেছেন তার লিস্ট চলে আসবে। সেখান থেকে যেটা দরকার সেটা দিয়ে এন্টার দিলেই কাজ হয়ে যাবে। এতে আপনার সময় বাঁচবে, কষ্ট হবেনা। তাছাড়া ৩ নং অপশনগুলো আপনাকে বানান শুদ্ধ, স্ক্রোলিং (উপরের নিচে টেনে পেজ ভিজিট) করার সময় কিছু সুবিধা দেবে।
৪ নং অপশনটির মাধ্যমে আপনার ফায়ারফক্সকে ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে সেট করতে পারবেন। এ জন্য Check Now এ করলে একটি ডায়লগ বক্স আসবে। ওখান থেকে Yes এ ক্লিক করুন। তাহলে ফায়ারফক্স আপনার ডিফল্ট ব্রাউজার হয়ে যাবে।

বুকমার্কস সুবিধাঃ ফায়ারফক্সের অন্যতম সুবিধার একটি। এর মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দের সাইটগুলোকে বুকমার্কস করে রাখতে পারেন (উপরের ছবির মত)। এর ফলে কোন সাইটকে ভিজিট করতে চায়লে শুধু সাইটটির নামের উপর ক্লিক করলেই হবে। এজন্য মেন্যবারে ফাঁকা জায়গায় রাইট ক্লিক করুন। তাহলে নিচের ছবির মতেএকটা মেন্যু আসবে। ওখানে এ ঠিক চিহ্ন দিন। 

এবার আপনার পছন্দের পেজটা খুলোন। খুলার পর কী-বোর্ড থেকে Ctrl+D চাপুন। তহলে নিচের ছবির মত আরেকটা ডায়লগ বক্স আসবে। ওখানে Name এর ঘরে আপনার পছন্দের নাম দিন আর Tags এর জায়গায় ছবির মত Bookmarks Toolbar দিয়ে Done এ ক্লিক করুন। পছন্দের পেজটা বুকমার্কস হয়ে গেছে ওটার উপর রাইট ক্লিক করে ডিলিট, আর প্রোপার্টিজ এ গিয়ে রিনেম ও করতে পারবেন।

সেটিংস সেভ করে রাখাঃ এতক্ষণ আপনি ফায়ারফক্সের ইচ্ছেমত সেটিংস করেছেন। বলুনতো এ সেটিংসগুলো কোথায় থাকে? কি বলতে পারছেন না তাইতো? হ্যাঁ C:\Documents and Settings\ADDE\Application Data ঠিকানায় থাকে। এখানে C: আপনার উইন্ডোজ ড্রাইব, আর ADDE  হল ইউজার। ADDE এর জায়গায় আপনার ইউজার নেম হবে। Application Data (হিডেন অবস্থায় থাকে) তে গেলে আপনি Mozilla নামের একটি ফোল্ডার পাবেন। ওটাতে আপনার সমস্ত সেটিংস সেভ থাকে। তাই আপনি আপনার সমস্ত সেটিংস করে নেওয়ার পর Mozilla ফোল্ডারটিকে কপি করে কোথাও সেভ করে রাখুন। এখন আপনি যতবার ফায়ারফক্স সেটাপ করবেন Mozilla ফোল্ডারটাকে জায়গামত বসিয়ে দিন। আর কষ্ট করে সেটিংস করতে হবেনা। আপনার পূর্বের সমস্ত সেটিংস ওটাতে পাবেন। ফায়ারফক্স খুলে দেখুন।

1 টি মন্তব্য:

  1. কিছু জানাছিল আর কিছু নতুন জানলাম..আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ.......................................

    উত্তরমুছুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।