সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: কিভাবে ড্রাইভ ক্রিয়েট ও ডিলিট করতে হয়

কিভাবে ড্রাইভ ক্রিয়েট ও ডিলিট করতে হয়


হার্ডডিস্ককে বলা হয় তথ্যভান্ডার। অর্থাৎ আমাদের যত প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে তা সব জমা থাকে এ হার্ডডিস্ককে। প্রাথমিক দিকে হার্ডডিস্কের সাইজ খুবই ছোট থাকলেও এখন বেড়েছে এর পরিধি। তাই সময়ের প্রয়োজনে কিংবা নিজের সুবিধার জন্য হার্ডডিস্ককে ড্রাইভ তৈরি করা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। তাই কিভাবে নতুন ড্রাইভ তৈরি করতে হয় কিংবা পুরাতন ড্রাইভকে ডিলিট করে নতুনভাবে ড্রাইভ তৈরির নিয়মটা নতুন ইউজারদের জেনে রাখা ভাল। আজকে আমরা Partition Create, Delete বা Drive Create, Delete করা শিখবো যাকে Partition with Disk Management বলতে পারি


এ টিউটোরিয়ালে আমরা C ড্রাইভ (যে ড্রাইভে Windows আছে) ছাড়া বাকি ড্রাইভগুলো একটির পর একটি ডিলিট করে আবার নতুনভাবে নিজের মত তৈরি করবো। আর একাজটি সম্পূর্ণ Windows এর মাধ্যমেই করা হবে। অর্থাৎ কোন আলাদা সফটওয়ার ব্যবহার করা হবে না। এ জন্য আমরা C ড্রাইভ (যে ড্রাইভে Windows আছে) ডিলিট করতে পারবো না।

কিভাবে ড্রাইভ ডিলিট করতে হয়ঃ
এজন্য প্রথমে My Computer এ রাইট ক্লিক করে Manage এ ক্লিক করুন। তারপর নিচের চিত্রের মত বাম পাশের Disk Management এ ক্লিক করুন। আপনার হার্ডডিস্ককে যত ড্রাইভ আছে সব ড্রাইভ দেখাবে।
Disk Management
Disk Management
চিত্রে দুই পদ্ধতিতে আপনার ড্রাইভগুলো দেখতে পাবেন। একটি My Computer এর মত আরেকটি সারি সারি একটির পর একটি। আমরা ওটাতেই কাজ করবো।

আমরা এখানে শেষের ড্রাইভটি প্রথমে ডিলিট করবো। এজন্য শেষের ড্রাইভ অর্থাৎ E ড্রাইভের উপর রাইট ক্লিক করে Delete Logical Drive … এ ক্লিক করবো।


বিঃ দ্রঃ আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট ড্রাইভকে ডিলিট করে কয়েকটি ড্রাইভ বানাতে চান তাহলে ঐ ড্রাইভটি ডিলিট করে নিচের ড্রাইভ তৈরির পদ্ধতিতে ড্রাইভ ক্রিয়েট করুন।

ড্রাইভ ডিলিট করলে ওখানে থাকা সব ডাটা ডিলিট হয়ে যাবে এরকম মেসেজ আসবে। No তে ক্লিক করলে মেসেজটি চলে যাবে ড্রাইভ ডিলিট হবে না। আমরা যেহেতু ড্রাইভ ডিলিট করবো তাই Yes দেব।

Yes দেয়ার পর ড্রাইভটি ডিলিট হয়ে যাবে এবং নিচের মত দেখাবে। এখন আমাদের একটি ড্রাইভ ডিলিট হয়ে গেছে।


একই পদ্ধতিতে আমি আমার অপর ড্রাইভটিও ডিলিট করবে ফেললাম। দুটি ড্রাইভ ডিলিট করার পর আমার হার্ডডিস্কের সাইজটা নিচের দেখাবে।

এভাবে যতটা ড্রাইভ আপনি ডিলিট করতে চান ডিলিট করে ফেলুন। কিন্তু C ড্রাইভ (যে ড্রাইভে Windows আছে) ডিলিট করা যাবে না।

ড্রাইভ ডিলিট করার পর নিচের পদ্ধতিতে ড্রাইভ ক্রিয়েট করুন।


কিভাবে ড্রাইভ ক্রিয়েট করতে হয়ঃ
ড্রাইভ ডিলিট করার পর ডিলিটেড ড্রাইভের সাইজটা কত হয়েছে তা দেখা যাচ্ছে। ঐ স্পেস দিয়ে আপনি কতটা ড্রাইভ করবেন তা সিদ্ধান্ত নিন।
  
এবার ঐ ডিলিট হয়ে যাওয়া স্পেসের উপর রাইট ক্লিক করে New Logical Drive… এ ক্লিক করুন।

নিচের চিত্র আসবে Next দিন।

 
নিচের চিত্র আসবে Next দিন।

এবার ড্রাইভের সাইজ দেয়ার অপশন আসবে। চিত্রে দাগ দেয়া জায়গায় MB তে সাইজ দেখাচ্ছে। সে সাইজ মুছে দিয়ে আমাদেরকে আমাদের পছন্দমত সাইজ দিতে হবে।


আমি ওখানে থাকা সাইজ মুছে দিয়ে 5100 দিয়েছি। 5100 মানে 5100MB যা প্রায় 5 GB এর কাছাকাছি হবে। আপনিও আপনার পছন্দের সাইজ দিয়ে Next দিন।

এখানেও Next দিন।

এখানে Format করার অপশন আসবে। আপনি ইচ্ছা করলে Format করতে পারেন আর ইচ্ছা না হলে Format পরেও করতে পারেন। তাড়াতাড়ি কাজ সারার জন্য Format এর কাজটা এখানে না করাই ভাল। যদি আপনি Format করেন তাহলে Format this Partition with the following settings এ চেক মার্ক দিয়ে নিচের মত অপশনগুলো ঠিকভাবে দিয়ে Next দিন।
File System হিসেবে পছন্দমত FAT32 বা NTFS সিলেক্ট করে দিন।  Quick Format এ ঠিক চিহ্ন দিলে ফরমেট তাড়াতাড়ি হবে অন্যথায় নরমাল ফরমেট হবে। নরমাল ফরমেটে সময় লাগবে বেশি। তাছাড়া এটি সাধারণত ব্যবহার করার দরকার হয় না। Enable File and Folder Compression এ টিক মার্ক দিলে ড্রাইভে থাকা ফাইলগুলো কম্প্রেস হয়ে কিছু জায়গা বাড়বে। তাই এ অপশনটি দিতে পারেন। যদিও এটি সাধারণত ব্যবহার করা হয় না।

আর যদি এখন Format না দিয়ে পরে দিতে না চান তাহলে Do not Format this Partition এ চেক মার্ক দিয়ে Next দিন।

সবশেষে Finish আসবে।  Finish এ ক্লিক করুন। আগের উইন্ডোতে Format কমান্ড দিয়ে থাকলে Format হওয়ার জন্য সময় নেবে। Format হওয়ার পর আপনার ড্রাইভটি নিচের মত দেখাবে।

উপরের চিত্রে একটি ড্রাইভ তৈরি করা হয়েছে এবং বাকি জায়গা রয়ে গেছে যা দিয়ে আমরা আরো ড্রাইভ তৈরি করতে পারবো। উপরের নিয়মে আমি আরেকটি ড্রাইভ তৈরি করেছি। নিচের চিত্রে দেখুন।

যদি ড্রাইভ তৈরি করার সময় ফরমেট না করে থাকেন তাহলে সবগুলো ড্রাইভ তৈরি হওয়ার পর একটা একটা Drive Format করুন। 

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।