সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: বিল গেটসের খামার

বিল গেটসের খামার

বিল গেটসের খামারে আছে ঘোড়দৌড়ের ট্র্যাক
বিল গেটসের খামারে আছে ঘোড়দৌড়ের ট্র্যাক

প্রতিদিন ১০ লাখ ডলার খরচ করলেও ২১৭ বছর লেগে যাবে তাঁর মোট সম্পদ ফুরাতে! এমন পিলে চমকানো পরিসংখ্যান কেবল শীর্ষ সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট করপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের বেলাতেই খাটে। একটু খামখেয়ালি খরুচে স্বভাবের হলে তাই কীই-বা এসে যায় তাঁর!

মেয়ে জেনিফার ক্যাথরিন গেটসের সঙ্গে বিল গেটস
মেয়ে জেনিফার ক্যাথরিন গেটসের সঙ্গে বিল গেটস
গত বছরের কথাই ধরা যাক। মেয়ের শখ মেটাতে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলারে কিনে নেন ঘোড়ার এক খামার। বিল গেটস এই খামার কেনেন বিখ্যাত ওজন কমানোর প্রশিক্ষক জেনি ক্রেইগের কাছ থেকে। শুরুতে কিন্তু তিন কোটি ডলারে বিক্রির কথা ভেবেছিলেন জেনি। এক ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিলেন। তবে ২০১২ সালের শেষের দিকে তা মুছে ফেলেন। মুছে ফেলার যথেষ্ট কারণও অবশ্য ছিল। অনেকে খামারটি কিনে আবাসিক প্রকল্প করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জেনি চেয়েছিলেন এমন একজনের কাছে বিক্রি করতে যিনি ঘোড়া ভালোবাসেন, যিনি জায়গাটি ঘোড়ার জন্যই রাখবেন। র্যাঞ্চো প্যাসিয়ানা নামের এই খামার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার র্যাঞ্চো সান্টা ফেতে। ২২৮ একর সমতলভূমির বিশাল এই খামারে পৌনে এক মাইলের একটা ঘোড়দৌড়ের ট্র্যাক আছে। আরও আছে পাঁচটি গোলাঘর, যার চারটিতে ৩০টি করে এবং পঞ্চমটিতে ২১টি ঘোড়া জায়গা করে নিতে পারে। অদূরেই সবুজ গাছের সারি আর শান্ত নীল জলরাশি খামারটিকে দিয়েছে চমৎকার চেহারা।
আস্তাবল
আস্তাবল
গেটস পরিবার খামারটি কী কাজে ব্যবহার করবে, সেটা তো তাঁরাই ভালো জানেন। যতটুকু জানা গেছে, তাতে পারিবারিক কাজে, হয়তো অবকাশযাপনে ব্যবহার করতে পারেন। অন্যদিক থেকে দেখলে, বিল গেটসের বড় মেয়ে জেনিফার ক্যাথরিন গেটস প্রায়ই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। একদম নিজেরই একটা রেস-ট্র্যাক থাকলে ক্ষতি কী! খামারটিতে দুটি বাড়ি আছে। সেগুলোকে অতিথিশালাও বলা যায়। দুই শয়নকক্ষের একটি,অপরটি এক শয়নকক্ষের। দুটি বাড়ি থেকেই রেস-ট্র্যাক এবং চারণভূমির পুরোটা দেখা যায়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রতিটি অশ্বশালার পরেই কোয়ার্টার আছে। কোয়ার্টারগুলোতে কামরার সংখ্যা সব মিলিয়ে ৩২। এ ছাড়া অফিস আছে দুটি। যার একটি ঘোড়াগুলোর প্রশিক্ষণ এবং প্রতিযোগিতার জন্য ব্যবহার করা হয়। খামারে প্রবেশদ্বারের সংখ্যা চারটি। চারণভূমি যেমন আছে, তেমনই পানি, খড় ও জ্বালানি সংরক্ষণের পৃথক পৃথক জায়গা, জলপাই বাগান,গ্রিনহাউস এমনকি মেরামতের দোকানও আছে। রেস-ট্র্যাকটি যেকোনো ধরনের ঘোড়দৌড়ের জন্যই উপযুক্ত।
তথ্যসূত্র ও ছবি: ফোর্বস ও বিজনেস ইনসাইডার



সূত্রঃ প্রথম আলো, ০২:২৫, অক্টোবর ১৯, ২০১৫

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।