সাধারণ আঁচিল ছোট, শক্ত ও রুক্ষ্ম গোটার মতো ত্বকের উপর ওঠে - বিশেষত হাতে এবং আঙ্গুলে। প্লান্টার ওয়ার্ট বা প্লান্টার আঁচিল সাধারণ আঁচিলের মতোই শক্ত ধরনের গোটা, কিন্তু সেটা জন্ম নেয় পায়ের পাতায়, এবং মাঝে মধ্যে হাঁটা চলাকে কষ্টকর করে তোলে।
যৌনাঙ্গের আঁচিল পাতলা, ছোট গোটা, গোলাকৃতি কিংবা চেপ্টাকৃতি, কখনও কখনও একসাথে অনেকগুলো - যেগুলো যৌনাঙ্গের উপর কিংবা আশে পাশে জন্মে। চেপ্টাকৃতি আঁচিল প্রায় কয়েকশ ক্ষুদ্রাকৃতি, চেপ্টা গোটা যেগুলো একসাথে মুখে, গলায়, বুকে, হাটুতে, হাতে, কোমরে কিংবা বাহুতে জন্মে। ফিলিফর্ম ওয়ার্ট বা ফিলিফর্ম আঁচিল পাতলা, সূতোর মতো গোটার জন্ম যেটা সাধারণত মুখ কিংবা গলা থেকে উৎপত্তি হয়।
কী করা উচিত
১. যদি আঁচিল নিয়ে আপনার মনে কোন অস্বস্তি না থাকে সেক্ষেত্রে এগুলো নিয়ে তেমন চিন্তার কিছু নেই; এগুলো ক্ষতিকর নয়। যদি আঁচিল নিয়ে আপনি অস্বস্তি বোধ করেন, সেক্ষেত্রে আপনি ঘরে বসে সেগুলোকে অপসারণের চেষ্টা করলে ভালো ফলই পাবেন। তবে আপনার বয়স যদি ৪৫-এর বেশি হয় এবং আপনার শরীরে যদি নতুন আঁচিল জন্ম নেয় সেক্ষেত্রে ঘরোয়া চিকিৎসার আগে ডাক্তারি পরামর্শ নিন।
২. মুখের বা যৌনাঙ্গের আঁচিল দূর করার স্বীকৃত পদ্ধতি হলো ফার্মেসিতে পাওয়া যায় এরকম ওয়ার্ট রিমুভার (সালিসাইলিক এসিড) -এর ব্যবহার। এটা মৃদুভাবে আঁচিলের শক্ত আবরণটাকে অপসারণ করে যদি না ইতিমধ্যেই শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেতরের ভাইরাসটাকে নিজ থেকেই অপসারণ করতে না পারছে।
৩. প্লান্টার ওয়ার্ট ত্বকের নিচে প্রায়ই বিস্তার ঘটায়; তাই এই আঁচিল অপসারণের জন্যে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হতে পারে আপনাকে। তবে সাময়ীক অসুবিধা দূর করার লক্ষ্যে জুতোর ভেতরে প্যাডযুক্ত সোল পড়া যেতে পারে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি আপনার আঁচিলগুলো ঘরোয়া চিকিৎসার পরও সেরে না ওঠে, বরং রক্তপাত হয় এবং ওগুলোর রঙ পরিবর্তিত হয়।
২. যদি আপনার বা আপনার জীবনসঙ্গীর যৌনাঙ্গে আঁচিল থাকে সেক্ষেত্রে এটা সংক্রামক আকার ধারণ করতে পারে এবং এটা নারীদের সারভিকল (গর্ভাশয়ের অংশ) ক্যান্সারের কারণও হয়ে উঠতে পারে।
৩. যদি আপনার বয়স ৪৫-এর বেশি হয় এবং আপনার দেহে নতুন আঁচিল জন্ম নেয়। সেক্ষেত্রে আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা সেটা জানার নিমিত্তে ডাক্তার হয়তো আপনার ত্বক পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারে।
৪. যদি আপনি আপনার মুখের আঁচিলগুলো অপসারণ করতে চান, কিন্তু মুখে কোনো দাগ বা ক্ষতের সৃষ্টি হোক এরকম ঝুঁকির মধ্যে যেতে না চান।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. যদি আপনার শরীরে আঁচিল থাকে তবে সেগুলোতে খোঁচাখুচি করবেন না, কেননা সেক্ষেত্রে এগুলো সংক্রামিত হতে পারে।
২. অন্য মানুষের আঁচিল স্পর্শ করবেন না।
৩. শেভ করার সময় বা দাড়ি কামাবার সময় ইলেক্ট্রিক রেজার ব্যবহার করতে পারেন যাতে আঁচিলের মাথাটা কাটা না পরে, কেননা সেক্ষেত্রে ভাইরাস সংক্রামণের সুযোগ ঘটে যায়।
৪. পাবলিক টয়লেট, কিংবা হোটেল, রেস্টুরেন্টের ওয়াশরুমে অবশ্যই পায়ে স্যান্ডেল কিংবা জুতো পড়ে থাকবেন।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।