ব্লগস্পট Google একটি সার্ভিস সেইটা আমরা সবাই জানি। blgospot ফ্রি ব্লগিং এর জগতে খুবই জনপ্রিয় একটি সার্ভিস সেটাও আমাদের জানা। blgospot এ পোষ্ট করতে হলে প্রথমে নিজের ব্লগ থাকতে হবে কিংবা অন্যের ব্লগে মেম্বারশিপ থাকতে হবে। ধরে নিলাম blgospot আপনার Login Permission আছে এবং আপনি Login করতে পারেন। তাহলে নিচের আলোচনাটি আপনার জন্য। আমরা এখানে blgospot এ কিভাবে Post করতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি।
কিভাবে করবেনঃ
প্রথমেই বলে রাখি আপনি যে পোষ্টটি করবেন তা প্রথমে আপনার এমএসওয়ার্ডে তৈরি করুন। ফন্ট সাইজ 12 ব্যবহার করে মনের মত ডিজাইন করে নিন যেমনভাবে আপনি আপনার লেখাটি blgospot এ দেখতে চান। তারপর লেখাগুলো কপি করে ব্লগে পেষ্ট করুন। এমএসওয়ার্ডে যেভাবে দেখবেন সেরইকমই পোষ্টটি blgospot এ দেখতে পাবেন। এবার blgospot এ Login করুন। আপনার ড্যাশবোর্ড থেকে New Post এ ক্লিক করুন। ব্লগ স্পটে New এবং Old দুটি ইন্টারফেস আছে। একেকজন একেকটা ব্যবহার করে। যেটাই ব্যবাহর করুন New Post এ ক্লিক করলেই নতুন পোষ্ট করার জন্য নিচের মত চিত্র আসবে। চিত্রতে দেয়া নং অনুযায়ী নিচে বর্ণনা পড়ুন।
১।
টাইটেল প্রয়োগঃ
টাইটেল
হল আপনি যে পোষ্টটি করবেন তার একটা শিরোনাম। এটি খুবই জরুরী। লেখাটির সাথে সম্পর্ক
রেখে একটি টাইটেল দিন।
২।
কম্পোজ মোডঃ
আপনি
পোষ্ট করার জন্য দুটি মোডে কাজ করতে পারেন। একটি Compose অন্যটি
Edit HTML। আপনি কাজ করবেন Compose মোডে। HTML মোডে কাজ করতে হলে আপনাকে HTML জানতে হবে। তাই Compose মোডটি
সিলেক্ট করে কাজ করুন।
৩।
লেখাতে ক্রমিক নং ব্যবহারঃ
এমএসওয়ার্ডে Bullets and Numbering... এর
ব্যবহার যদি আপনি করে থাকেন তাহলে এটাও পারবেন। যে লেখাগুলোতে Bullets বা Numbering করতে
চান সে লেখাগুলো সিলেক্ট করে এটাতে ক্লিক করুন। কাজ হয়ে যাবে। একবার ক্লিক করলে Bullets বা Numbering হবে
আবার ক্লিক করলে চলে যাবে।
৪। লেখাতে Alignment যুক্ত করাঃ
এটি হল লেখার Alignment যা আমরা এমএসওয়ার্ডে ব্যবহার করে লেখাকে ডান/বাম/মাঝখানে বা সমান করতে পারি। যেহেতু আপনি আপনার পোষ্টটি এমএস ওয়ার্ডে তৈরি করেছেন এবং সেখানে ডিজাইন করেছেন তাই এটার ব্যবহার এখানে দরকার নেই। তারপরও করতে চায়লে করতে পারেন।
৫। বিস্তারিত পড়ুন অপশন যুক্ত করুনঃ
এটি হল বিস্তারিত পড়ুন অপশন। আপনি অনেক বড় একটি লেখা লেখেছেন। সে লেখাটি যদি পুরোটি হোমপেজে দিয়ে দেন তাহলে পেজের সৌন্দর্য কমে যাবে। তাই লেখাটার কিছু অংশ হোমপেজে দিয়ে বাকি অংশটুকুতে বিস্তারিত পড়ুন বা Read more অপশনটুকু ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে যেখান থেকে এ অপশনটি যোগ করবেন সেখান থেকে বিস্তারিত পড়ুন বা Read more অপশনটুকু যুক্ত হবে। কার্সর রাখুন এবং চিহ্নটিতে ক্লিক করুন। যেখানে কার্সর ছিল সেখান থেকে একটি বার নিচের ছবির মত যুক্ত হবে। সেটিই হল বিস্তারিত পড়ুন চিহ্ন। ওখান থেকে বিস্তারিত পড়ুন যুক্ত হবে।
৬। ভিডিও যুক্ত করাঃ
আপনি পোষ্টটিতে ভিডিও যুক্ত করতে চায়লে এ অপশনটি। এখানে ক্লিক করলে ভিডিও যুক্ত করার অপশন আসবে। ওখানে আপনার কম্পিউটার থেকে আপলোড কিংবা অনলাইনের কোন url ব্যবহার করতে পারেন। আপলোড করার জন্য Choose a video to upload করে আপনার পিসিতে থাকা ভিডিও ফাইলটি দেখিয়ে দিন তারপর upload এ ক্লিক করুন। আর url এর জন্য ইউটিবের কোন ভিডিও ফাইল ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ওয়েবক্যাম থেকেও ভিডিও যুক্ত করতে পারেন। এ জন্য Webcam এ ক্লিক করলে আপনার Webcam চালু হবে এবং ভিডিও রেকর্ড হতে থাকবে।
৭। ছবি যুক্ত করাঃ
আপনি পোষ্টটিতে ছবি যুক্ত করতে চায়লে এ অপশনটি। এখানে ক্লিক করলে ছবি যুক্ত করার অপশন আসবে। ওখানে আপনার কম্পিউটার থেকে আপলোড কিংবা অনলাইনের কোন url ব্যবহার করতে পারেন। যেমন Upload করার জন্য Upload বাটনে ক্লিক করলে তার ডানপাশে Choose Files বাটনে ক্লিক করলে brows করার অপশন আসবে এবং এর মাধ্যমে আপনার পিসিতে থাকা ছবি/ছবিগুলো দেখিয়ে দিন। তাহলে ছবিগুলো আপলোড হয়ে যাবে এবং আপনার পছন্দের ছবিটি সিলেক্ট করে OK দিলেই নির্দিষ্ট জায়গায় ছবিটি সেট হয়ে যাবে। আর url এর জন্য কোন url কপি করে এখানে পেষ্ট করে দিন। সবশেষে Add Selected এ ক্লিক করুন।
৮। লিংক যুক্ত করাঃ
কোন লেখাতে লিংক যুক্ত করতে চায়লে লেখাটি সিলেক্ট করে নিন। এবার এখানে ক্লিক করে লিংকটি পেষ্ট করে দিন। কাজটি এমএসওয়ার্ডেও করা যাবে। লিংক এর উপর ক্লিক করলে অন্য পেজে চলে যায়।
৯। লেখার বেকগ্রাউন্ড কালার পরিবর্তনঃ
লেখার নিচে কালার দেয়ার জন্য এ অপশন। অর্থাৎ আপনার লেখাটি সাদা করে এর নিচে কালো রং ব্যবহার করতে চায়লে এ অপশনটি ব্যবহার করতে পারবেন। শুধু সাদা-কালো নয়, যেকোন কালার ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত ডিফল্ট হিসেবে বেকগ্রাউন্ড সাদা এবং লেখা কালো হয়ে থাকে। কাজটি এমএসওয়ার্ডে করা যায়।
১০। ফন্ট কালার পরিবর্তনঃ
লেখার কালার পরিবর্তন করতে চায়লে তা এমএসওয়ার্ডে করতে পারেন। এমএসওয়ার্ডে না করে থাকলে লেখাতে বিশেষ কোন রং দেয়ার কাজটা এখানেও করতে পারেন। কোন রং ব্যবহার না করলে Layout অনুযায়ী ডিফল্ট কালারই ব্যবহৃত হবে।
১১। লেখাতে Strike দেয়াঃ
লেখাতে দেয়ার জন্য এ চিহ্নটি ব্যবহৃত হয়। লেখাটা সিলেক্ট করে এ চিহ্নতে ক্লিক করলেই হয়ে যাবে।
১২। লেখাতে Bold, Italic, Underline দেয়াঃ
লেখাতে বোল্ড, ইটালিক বা আন্ডারলাইন দেয়ার জন্য এমএসওয়ার্ড সেরা। তারপরও ওখানে না করলে কাজটি এখানেও করতে পারেন।
১৩। ফন্ট সাইজ বাড়ানো/কামানোঃ
ফন্ট সাইজ বাড়ানো কমানোর কাজটি এমএসওয়ার্ডেই করুন। ওখানে ফন্ট সাইজ 12 ব্যবহার করে লেখাগুলো ঠিক করে নিন। তারপরও চায়লে এ অপশনগুলো ব্যবহার করে লেখাকে বড়/ছোট করতে পারেন। ফন্ট এবং লেখার কোন শিরোনাম বড়/ছোট করতে চায়লে লেখা সিলেক্ট করে এ অপশনগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
১৪। ফন্ট পরিবর্তনঃ
এটা হল ফন্ট পরিবর্তন করার অপশন। যদিও ফন্ট পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ ফন্টগুলো আপনার Layout এ অনুযায়ী দেখাবে। Layout এ যে ফন্ট নির্দিষ্ট আছে ডিফল্টভাবে সে ফন্টেই লেখাগুলো দেখাবে। আপনি যদি ঐ ডিফল্ট ফন্টটি পরিবর্তন করে বিশেষে কোন লেখার জন্য বিশেষ কোন ফন্ট ব্যবহার করতে চান তাহলে লেখাটি সিলেক্ট করে এখান থেকে ফন্ট পরিবর্তন করতে পারেন।
১৫। Undo/Redo করাঃ
কোন কমান্ড বাতিল করা বা পেছনে চলে যাওয়ার কাজে চলে যাওয়ার জন্য আমরা Undo (Ctrl+Z)/Redo(Ctrl+Y) ব্যবহার করি। এ কমান্ডগুলো সেই কাজ করে।
১৬। বানাণ শুদ্ধ করণঃ
আপনার সাইটটি যদি ইংরেজী হয়ে থাকে তাহলে এর মাধ্যমে Spelling বা বানান শুদ্ধ করে নিতে পারেন। বানান শুদ্ধ করার জ্য এমএস ওয়ার্ড সেরা। তাই এমএস ওয়ার্ডেই কাজটি সেরে নিতে পারেন। তাছাড়া কোন শব্দের Spelling ভুল থাকলে তা লাল চিহ্নিত দেখায় এবং তার উপর রাইট ক্লিক করলে Spelling টাও মেন্যূতে দেখা যায়। শুদ্ধ Spelling টাতে ক্লিক করলে তখন ভুল Spelling টা সরে গিয়ে তা শুদ্ধ হয়ে যায়।
১৭। Show all/labels/Post Options:
এ কাজগুলোর মাধ্যমে আপনি পোষ্টটিতে লেভেল বা বিভাগ এবং বিভিন্ন অপশন যুক্ত করতে পারেন। এ নিয়ে আগে একটি পোষ্ট করা হয়েছিল। পোষ্টটি এখানে দেখতে পারেন।
১৮। ড্রাফটঃ
আপনি যতক্ষণ ধরে কাজ করবেন ব্লগষ্পট কিছুক্ষণ পর পর তা সেভ করে নেবে অটোমেটিক। পোষ্টটি আপনার মনের মত ডিজাইন হয় নি বা কোন কারণে পাবলিশ করতে পারছেন না তাহলে এ সেভ অপশনটি কাজ দেবে। আর তাহলো সেভের মাধ্যমে আপনার পোষ্টটি ড্রাফট হিসেবে থাকবে। ড্রাফট মানে হল পোষ্টটি পাবলিশ হবে না তবে যতটুকু কাজ করেছেন ততটুকু সেভ হয়ে থাকবে। ঐ অবস্থায় আপনি রেখে দিলে সেটা যেকোন সময় আবার খোলে এডিট করে পাবলিশ করতে পারবেন।
১৯। প্রিভিউ দেখাঃ
আপনার পুরো পোষ্টটি ডিজাইন করা শেষ হলে একবার এ বাটনে ক্লিক করে দেখে নিন পোষ্টটি পাবলিশ করলে কেমন দেখাবে। এটাকে বলে প্রিভিউ। প্রিভিউ দখোর পর যদি ভাল লাগে তাহলে পাবলিশ করুন আর না হয় আবার ডিজাইন করুন। এভাবে যতবার ইচ্ছা প্রিভিউ দেখতে পারেন যতক্ষণ মনের মত না হয়।
২০। পাবলিশঃ
প্রিভিউ দেখার পর মনের মত হলে এ বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে পোষ্টটি পাবলিশ হবে। পাবলিশ মানে হলে সবাই পোষ্টটি দেখবে এবং পড়তে পারবে।
২১। Add:
এটি নিয়ে পূর্বে একটি পোষ্ট এখানে দেখুন।
এক কথায় অসাধারণ। অনেক কাজে লাগলো ভাই ......
উত্তরমুছুন