সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে প্রযুক্তি। নিত্যনতুন উদ্ভাবন যুক্ত হচ্ছে এ সেক্টরে। বিজ্ঞানের এরকম একটি বিস্ময় প্লানেটারিয়াম। এটি হলো এক বিশেষ ধরনের যন্ত্র যাতে থাকে অসাধারণ সব লেন্স, প্রিজম ও দর্পণের নানা সমন্বয়। গোল গম্বুজাকার ঘরের ভিতরের ছাদে কৃত্রিম আকাশকে প্রক্ষিপ্ত করে সূর্য, চন্দ্র, গ্রহ, তারা প্রভৃতি নভঃমন্ডলস্থ জ্যোতিষ্কের অবস্থান ও গতিবিধি দেখানোর জন্য এ বিশেষ যন্ত্রটির ব্যবহার করা হয়।
১৯২৩ সালে বর্তমান পূর্ব জার্মানির অন্তর্গত জেনার জিস অপটিক্যাল কোম্পানির ওয়ালদার বায়ারস ফেল্ড নামক এক ব্যক্তি প্রথম প্লানেটারিয়াম তৈরি করেন। যন্ত্রটি রাখা ছিল গোল গম্বুজাকার এক ঘরের কেন্দ্রে। আসল আকাশের চেহারা যন্ত্রটি তুলে ধরতে পারত। বিভিন্ন জ্যোতিষ্কের এক বছরের অবস্থান ও গতিবিধিকে যন্ত্রটি তুলে ধরত কয়েক সেকেন্ড থেকে আধা ঘন্টা সময় সীমার মধ্যে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্লানেটারিয়াম হলো রাশিয়ার মস্কোয়। ২৬.১৫ মিটার ব্যাসযুক্ত বিল্ডিং-এ এটি অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিস্কোতে একটি প্লানেটারিয়াম যন্ত্র রয়েছে ২৫,০০০ যন্ত্রাংশ আর পুরো যন্ত্রটির ওজন ২.৫ মেট্রিকটন।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২০ জুন ২০১২ খ্রিঃ
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।