আমাদের দেশে চলছে মধুমাস জৈষ্ঠ্য। বাজারে নানা রকম ফলের সমাহার, আম জাম কাঁঠাল লিচু আরো কতো কি। এর মধ্যে কেন যেন মলিন হয়ে দেখা দিচ্ছে জাম। আমাদের অতি চেনা কালো জাম। কবি জসিমুদ্দিনের সময়ের মতো এখন আর মামার দেশেও খুব একটা দেখা যায় না জাম, তো মুখ রঙিন করা তো অনেক দূর। দাদা বাড়ি নানা বাড়ি গিয়ে চাচা- মামা দের সাথে মধুমাসের ফলের স্বাদ গ্রহণকালের স্রোতের গহিনে হারাতে বসেছে যেন। জাম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। বিশেষ করে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনে ভরপুর।
আমাদের দেশেই এর উৎপাদন সম্ভব। জামে আছে নানা গুণ। জাম আমাদের রক্ত পরিষ্কার করে, দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। ফলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে। চোখের ইনফেকশনজনিত সমস্যা ও সংক্রামক (ছোঁয়াচে) রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। রাতকানা রোগ ও চোখের ছানি অপারেশন হয়েছে। এমন রোগীর জন্য জাম ভীষণ উপকারী। জামে গার্লিক এসিড, ট্যানিস নামে এক ধরনের উপকরণ রয়েছে, যা ডায়রিয়া ভালো করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগ ও হরমোনজনিত রোগীদের জন্য এই ফল যথেষ্ট উপযোগী। কারণ, জাম রক্ত পরিষ্কার করে, শরীরের দূষিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে দেয়। আমাদের নাক, কান, মুখের ছিদ্র, চোখের কোনা দিয়ে বাতাসে ভাসমান রোগ-জীবাণু দেহের ভেতর প্রবেশ করে। জামের রস এই জীবাণুকে মেরে ফেলে।
কাজী মাহমুদ হুসাইন রুমন
বার্তা২৪ ডটনেট/জবা
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।