সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: ফোরস্ক্যায়ার'-এর হাত ধরে মঙ্গল ভ্রমণের সুযোগ

ফোরস্ক্যায়ার'-এর হাত ধরে মঙ্গল ভ্রমণের সুযোগ



ঘরের কম্পিউটারের সামনে বসে, অথবা স্মার্টফোনে মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রের যে কোনো প্রান্তে ভারচুয়াল' টহল দেওয়া আর কোনো বিস্ময়ের ঘটনা নয়৷ এবার মঙ্গলগ্রহেও পৌঁছানোর সুবিধা করে দিচ্ছে নাসা৷ গুগল আর্থ', বিং ম্যাপস থেকে শুরু করে ফোরস্ক্যায়ার'-এর মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় যে কোনো প্রান্ত চষে বেড়ানো যায় চাই শুধু ইন্টারনেট সংযোগ৷ আর স্মার্টফোনের জিপিএস সেন্সরের নাগাল পেলে তো আরও ভালো৷ আশেপাশের দোকান-বাজার, হোটেল-রেস্তোরাঁ সহ কত প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবারই যে খোঁজ পাওয়া যায়৷ আছে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি' অ্যাপ, যার সাহায্যে স্মার্টফোনের ক্যামেরা কাজে লাগিয়ে এ সবের খোঁজ পাওয়া যায়৷
মঙ্গলের বুকে রোভার
মঙ্গলের বুকে রোভার

এবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ফোরস্ক্যায়ার'-এর সঙ্গে জোট বেঁধে এমনই সুযোগ করে দিচ্ছে মঙ্গলগ্রহ চষে বেড়ানোর৷ না, মঙ্গলগ্রহে হ্যামবার্গারের দোকান বা ইন্টারনেট কাফে নেই৷ কিন্তু মার্স রোভার'এর অত্যাধুনিক ক্যামেরার চোখে যে অপরূপ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষও যদি তার স্বাদ পায়, তাহলে মন্দ কী! মঙ্গলগ্রহের মাটি, খানা-খন্দ, খাল-বিলের মধ্যে হয়তো লুকিয়ে রয়েছে কত রহস্য৷ এতকাল শুধু বিজ্ঞানীরাই সেই সেই ছবি দেখতে পেতেন৷ এবার সাধারণ মানুষও বিপুল উৎসাহে মঙ্গল অভিযানে অংশ নিতে পারছেন৷ ফলে প্রকল্পকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ও সমর্থনও বাড়বে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ব্যয় সংকোচের এই যুগে আরও বেশি মানুষকে মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলতে পারলে ক্ষতি কী? নাসা বা ফোরস্ক্যায়ার'-এর ওয়েবসাইটেই পেয়ে যাবেন এই উদ্যোগে অংশ নেওয়ার উপায় সম্পর্কে তথ্য৷

ফোরস্ক্যায়ার' আসলে ইন্টারনেট সংযোগ ও জিপিএস ব্যবহার করে একাধিক পরিষেবার মেলবন্ধন ঘটায়৷ একদিকে ফেসবুক'এর মতো সোশাল মিডিয়া, অন্যদিকে গুগল'এর মতো মানচিত্রের সমন্বয়ে যে কোনো ব্যবহারকারী নিজেদের ও বন্ধুদের অবস্থান, আশেপাশের আকর্ষণীয় গন্তব্য জেনে নিতে পারেন৷ বাকিটা তাদের মর্জি৷গত ৬ই অগাস্ট মার্স রোভার মঙ্গলগ্রহের গেল ক্রেটার এলাকায় অবতরণ করেছে দুই বছর ধরে এই যান মঙ্গলগ্রহ অন্বেষণ করবে৷ গেল ক্রেটারে নেমেই রোভার সেখানে জলের চিহ্ন পেয়েছে৷ অতএব এককালে মঙ্গলগ্রহে প্রাণ ছিল, এই তত্ত্বের সমর্থনকারীরা উৎসাহিত হয়ে পড়েছেন৷ এই অভিযানে যা জানা যাবে, সেই তথ্য পৃথিবীর ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও আগাম পূর্বাভাষ দিতে পারে বলে অনেক বিজ্ঞানী আশা করছেন৷ অতএব অপেক্ষা কেন, আমরাও যোগ দিতে পারি ঐতিহাসিক এই অভিযানে৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

সূত্রঃ DW তারিখঃ ০৪-১০-২০১২ ইং

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।