সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: সেরা ১০ আবিষ্কার: ২০১২

সেরা ১০ আবিষ্কার: ২০১২


higgs boson

বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স ২০১২ সালের সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ ১০টি আবিষ্কারের নাম ঘোষণা করেছে। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে হিগস-বোসনকণার অস্তিত্ব আবিষ্কার। এ নিয়ে এখনো বিতর্ক থাকলেও এ কণার মাধ্যমে মহাবিশ্বের উৎপত্তির আরও সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা মিলবে। এ কণার নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাঙ্গালি বিজ্ঞানী সত্যেন বোস। এ কণার ব্যাখ্যায় অবদান রয়েছে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পিটার হিগসের।


ঘুম-রোগঃ
এক্স-রে লেজার রশ্মি ব্যবহার করে সাধারণ লেজার রশ্মির চেয়েও ১০০ কোটি গুণ বেশি উজ্জ্বল লেজার তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। জটিল রোগের বিষয়ে গবেষণা সম্ভব করেছে এই এক্স-রে লেজার। এর মাধ্যমে গবেষকেরা দুরারোগ্য আফ্রিকার ঘুম রোগের গবেষণা করেছেন।


৮০ হাজার বছরঃ
জার্মানির একদল গবেষক মানবজাতির পূর্বপুরুষের বিভ্রান্তিকর গোত্র ডেনিসোভানের পুরো জিনোমের গঠন বর্ণনা করেছেন। এই গবেষণায় নতুন সর্বাধুনিক একটি পদ্ধতির ব্যবহার করেছেন। সাইবেরিয়ার গুহা থেকে পাওয়া ৮০ হাজার বছরের পুরোনো জীবাশ্মের একটি আঙুল নিয়ে তাঁরা গবেষণা করেন। ধারণা করা হয়, এটি নিয়ানডার্থালের সমসাময়িক।

জিন পরিবর্তনঃ
জিনের পরিবর্তন ও কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারে ট্যালেন নামে একটি প্রোটিনভিত্তিক বস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রোটিনভিত্তিক এই ট্যালেন ব্যবহার করে কোনো জিনের পরিবর্তন বা ধ্বংস করা সম্ভব অতি সহজেই। অন্য যেকোনো প্রযুক্তির চেয়ে এটি আরও কার্যকর ও সস্তা।


কম্পিউটারে বিপ্লবঃ
মাজোরানা ফারমিয়ন নামক পদার্থ আবিষ্কার হয়েছে। এর বিশেষত্ব হলো, এর প্রতিবস্তুও একই এবং নিজেই নিজেকে ধ্বংস করতে পারে। প্রতিবস্তু হলো সমান ভর কিন্তু বিপরীত আধানযুক্ত মৌলিক কণা দ্বারা গঠিত বস্তু। এর মাধ্যমে কম্পিউটারের তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিপ্লব আসবে।


নিউট্রিনোঃ
চীনের একদল গবেষক সর্বশেষ অজানা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি মডেল আবিষ্কার করেছেন, যা পরমাণুর অভ্যন্তরের মৌলিক কণিকা নিউট্রিনো কীভাবে কাজ করে, তা বর্ণনা করে। নিউট্রিনো প্রায় আলোর গতিতে ছুটতে পারে। এই কণিকা ব্যবহার করে অনেক পদার্থ কিন্তু অল্প পরিমাণ প্রতিবস্তুর রহস্য ভেদ করা সম্ভব হবে।


কৌতূহলীরোবটঃ
নাসার গবেষকেরা ৩ দশমিক ৩ টন ওজনের মার্স কিউরিওসিটি রোভার মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষকেরা এ জন্য অবতরণের অত্যাধুনিক একটি পদ্ধতি বের করেন।


কৃত্রিম ডিম্বাণুঃ
জাপানের গবেষকেরা প্রাণীর শরীরের বাইরে টিকে থাকতে সক্ষম, এ রকম একটি ডিম্বাণু কোষ তৈরি করেছেন। পূর্ণবয়স্ক ইঁদুরের স্টেম সেল ব্যবহার করে তাঁরা এটি তৈরি করেছেন। এই সাফল্য ডিম্বাণু উৎপাদনে অক্ষম নারীদেরও মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।


মস্তিষ্কনিয়ন্ত্রিত হাতঃ
মস্তিষ্কনিয়ন্ত্রিত একটি পরিচালনা পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়েছে। এর মাধ্যমে স্ট্রোক বা স্পাইনাল কর্ডে আঘাতে পক্ষাঘাতে আক্রান্তরা শুধু তাঁদের মস্তিষ্ক দিয়ে ত্রিমাত্রিক পরিসরে একটি যান্ত্রিক হাতকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

৮০ শতাংশঃ
এনকোড নামের একটি প্রকল্পের গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের জীবন-রহস্যের মানচিত্রের (জিনোম) ৮০ শতাংশ কার্যকর। নতুন এই তথ্যের মাধ্যমে জিনগত ঝুঁকি এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণ খুঁজে বের করা সম্ভব হবে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা।

সূত্রঃ প্রথম আলো, ৩০ ডিসেম্বর ২০১২ ইং

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।