সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: আর্টিকেরিয়া বা আমবাতে করণীয়

আর্টিকেরিয়া বা আমবাতে করণীয়


ত্বকের বিভিন্ন রকম অ্যালার্জির মধ্যে আর্টিকেরিয়া বা আমবাত বেশি দেখা যায়। এতে সব শরীর চাকা চাকা হয়ে লাল হয়ে ফুলে ওঠে ও ভীষণ চুলকায়। কয়েক মিলিমিটার থেকে শুরু করে সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এ ধরনের আমবাত কখনো কখনো শরীরের বাইরে না হয়ে শরীরের ভেতরেও হতে পারে, যেমন ঠোঁটে বা চোখের ভেতরে। আমবাত সবচেয়ে মারাত্দক হয় যখন এটি শ্বাসনালীর ভেতরে হয়, একে বলা হয় অ্যানজিওইডিমা। এটা হলে শ্বাসনালীর ভেতরে যে পাতলা পদার্থের আবরণ থাকে তা ফুলে ওঠে। এর ফলে শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।


প্রকারভেদ
একিউট আর্টিকেরিয়াঃ এতে খুব দ্রুত উপসর্গগুলো দেখা যায়, আবার খুব দ্রুতই মিলিয়ে যায়। সাধারণত ৬ সপ্তাহের কমই থাকে এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই এটা একটু বেশি হয়ে থাকে।

ক্রনিক আর্টিকেরিয়াঃ বার বার হয়ে থাকে এবং ৬ সপ্তাহের বেশি; কারও কারও ক্ষেত্রে মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছরও চলতে থাকে। ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।

সম্ভাব্য অন্যান্য কারণঃ খাবার_ বিশেষ করে গরুর গোশত, চিংড়ি, ইলিশ, বেগুন, কুমড়া, কচু এবং ওষুধ থেকে, অ্যান্ডোক্রইন রোগে, কোলাজেন ভাসকুলার রোগে, ডার্মোগ্রাফিজম, সূর্যরশ্মিতে, কম্পন, কলিনার্জিক বা পানির সংস্পর্শে ইত্যাদি।

অ্যালার্জি পরীক্ষাঃ আর্টিকেরিয়া বা আমবাতের প্রধান পরীক্ষাই হলো অ্যালার্জি পরীক্ষা। এতে রোগীর কোন জিনিসে অ্যালার্জি তা নির্ণয় হয়।

এলারজেন পরিহারঃ যখন অ্যালার্জির সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় তখন তা পরিহার করে চললেই সহজ উপায়ে অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সুতরাং এ ধরনের কারণ খুঁজে পাওয়া মাত্রই পরিহার করতে পাবে।

ওষুধ প্রয়োগঃ অ্যালার্জি ভেদে ওষুধ প্রয়োগ করে অ্যালার্জির উপশম অনেকটা পাওয়া যায়।

অ্যালার্জি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপিঃ অ্যালার্জি দ্রব্যাদি থেকে এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিনও কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষ করে যখন মাইট দ্বারা ক্রনিক আর্টিকেরিয়া হয়। আগে ধারণা ছিল অ্যালার্জি একবার হলে আর সারে না। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। উন্নত দেশের সব প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও ভ্যাকসিন চিকিৎসা বর্তমানে বাংলাদেশেই রয়েছে। সুতরাং একটু সচেতন হলেই আর্টিকেরিয়া বা আমবাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।


ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস,
সহযোগী আধ্যাপক
দি অ্যালার্জি সেন্টার।
ফোন : ০১৭২১৮৬৮৬০৬
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৯ জুন ২০১৩

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।