হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী সংরক্ষিত সাতছড়ি
বনাঞ্চলে অন্তত সাতটি বাংকারের সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে
একটি বাংকারের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ রকেট লঞ্চার, ট্যাঙ্কবিধ্বংসী বিস্ফোরক, মর্টার শেল, রকেট লঞ্চারের চার্জারসহ সমরাস্ত্র। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা আজ মঙ্গলবার সকাল
থেকে অভিযান শুরু করে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সীমান্তঘেঁষা অংশে একটি টিলায় দুটি এবং
আরেকটি টিলায় পাঁচটি বাংকারের সন্ধান মেলে।
অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাব-৯-এর শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের একজন
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) প্রথমআলোকে জানান, ঢাকায় র্যাবের
প্রধান কার্যালয়ও অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে। অভিযান শেষে র্যাবের মিডিয়া উইং থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ
ব্যাপারে তথ্য প্রকাশ করা হবে। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের অতিরিক্ত
মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল জিয়াউল আহসান ও র্যাব-৯-এর কমান্ডিং অফিসার মুফতি
মাহমুদ। তাঁরা রকেট লঞ্চার, মর্টার
শেল, রকেট লঞ্চারের চার্জারসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের কথা
জানান। তবে তাঁরা এসব অস্ত্রের সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি।
বাংকারগুলো ৫০ থেকে ১০০ ফুট গভীর ছিল। |
তবে র্যাব সূত্র জানায়, সাতছড়ি
বনাঞ্চলের একটি অংশে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা। সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা। সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের সংরক্ষিত
বনে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি গোষ্ঠী অস্ত্রের মজুত করছে—এমন
খবর পেয়ে র্যাব সকালে অভিযান শুরু করে। একটি
বাংকার থেকেই র্যাবের সদস্যরা দুই শতাধিক রকেট লঞ্চার, শতাধিক
মর্টার শেল, রকেট
লঞ্চারের চার্জার ও নানা অস্ত্র উদ্ধার করেন। এগুলো বাংকারের ভেতরে ৫০ থেকে ১০০ ফুট
গভীরে ছিল। অস্ত্র
উদ্ধারের পাশাপাশি ওই বনে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের কোনো ঘাঁটি আছে কি না, সে
সন্ধানে নেমেছে র্যাব। বেলা তিনটার দিকে
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অমূল্য কুমার চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ
করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অভিযানের বিষয়টি র্যাবের
পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়নি। তবে পুলিশ সূত্রের মাধ্যমে অভিযানের বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো, ০৩ জুন ২০১৪খ্রিঃ
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।