মাম্পস
মূলত শিশুদেরই রোগ৷ আর এতে আক্রান্ত হলে শিশুরা সাধারণত অনেক অসুস্থ
হয়ে পড়ে, হতে
পারে কিছু জটিলতাও৷ জ্বর,
দুদিক বা একদিকের চোয়ালের পাশে পেরোটিড
গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও প্রচণ্ড ব্যথা হলে মাম্পস হয়েছে বলে ধরে নেওয়া
যায়৷ এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ৷সাধারণত পাঁচ থেকে নয় বছর বয়সের শিশুরা
মাম্পসে আক্রান্ত হয়৷ প্রতি চার বছর পর পর মহামারির আকার নিয়ে কোনো
এলাকায় মাম্পস দেখা দিতে পারে৷ এই ভাইরাস মূলত ছড়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির
হাঁচি-কাশির মাধ্যমে৷ আক্রান্ত শিশুর পেরোটিড গ্রন্থি ফোলার সাত দিন আগে
থেকে শুরু করে সাত দিন পর পর্যন্ত ভাইরাস তার থুতু ও লালায় বিরাজ করে৷ শিশুকে
পেরোটিড গ্রন্থি ফোলার পর অন্তত এক সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়িতে আলাদা ঘরে
বা বিছানায় রাখা উচিত৷
কী হয় এই রোগে
জীবাণু
দেহে প্রবেশের
১২ থেকে ২৫ দিনের মাথায় শিশুর জ্বর,
মাথাব্যথা,
বমি, সর্বাঙ্গে ব্যথা এসব
উপসর্গ দেখা দেয়৷ তারপর চোয়ালের দুই পাশে অর্থাৎ কানের
ঠিক সামনে
ও নিচে গ্রন্থি ফুলে যায় এবং ব্যথা করতে থাকে৷
৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে
দুদিকেই এবং বাকিদের একদিকে হয়৷ সঙ্গে থাকে প্রচণ্ড কান ব্যথাও৷
টক বা অ্যাসিডজাতীয়
খাবার বা বেশি তরল গ্রহণের কারণে সেখানে ব্যথা বাড়ে৷ প্রথম তিন দিন
উপসর্গ তীব্র থাকে৷ সাত দিন পর ধীরে ধীরে কমে আসে৷
জটিলতা আছে কি?
সাধারণত মাম্পস
হলে শিশুরা খেতে পারে না,
ব্যথায় কষ্ট পায় ও ভোগে৷ তবে এই রোগ থেকে মেনিনজাইটিস, এনকেফালাইটিস, অণ্ডকোষ
প্রদাহ, চোখ, কান, ফুসফুস, কিডনি, অগ্ন্যাশয়
প্রদাহের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে৷
চিকিৎসা কী?
কোনো সুনির্দিষ্ট
অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি নেই৷ নিজে থেকেই সেরে যায়৷ তরল খাবার ও পানীয় পান, জ্বর ও
ব্যথা লাঘবে প্যারাসিটামল ওষুধ ব্যবহার করা হয়৷ তবে মাম্পস
প্রতিরোধের টিকা রয়েছে৷ প্রথম ডোজ ১২-১৫ মাস বয়সে, দ্বিতীয় ডোজ চার-ছয়
বছর বয়সে৷ চার-ছয় বছর বয়সের ডোজ দেওয়া না হলে বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছানোর
আগে দেওয়া যাবে৷
শিশুস্বাস্থ্য
বিভাগ,
চট্টগ্রাম
মেডিকেল কলেজ
সুত্রঃ প্রথম
আলো, ০৮ জুন,২০১৪
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।