সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: শিশুর মাম্পস: কষ্টকর অনুভূতি

শিশুর মাম্পস: কষ্টকর অনুভূতি





মাম্পস মূলত শিশুদেরই রোগ৷ আর এতে আক্রান্ত হলে শিশুরা সাধারণত অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে, হতে পারে কিছু জটিলতাও৷ জ্বর, দুদিক বা একদিকের চোয়ালের পাশে পেরোটিড গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও প্রচণ্ড ব্যথা হলে মাম্পস হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়৷ এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ৷সাধারণত পাঁচ থেকে নয় বছর বয়সের শিশুরা মাম্পসে আক্রান্ত হয়৷ প্রতি চার বছর পর পর মহামারির আকার নিয়ে কোনো এলাকায় মাম্পস দেখা দিতে পারে৷ এই ভাইরাস মূলত ছড়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে৷ আক্রান্ত শিশুর পেরোটিড গ্রন্থি ফোলার সাত দিন আগে থেকে শুরু করে সাত দিন পর পর্যন্ত ভাইরাস তার থুতু ও লালায় বিরাজ করে৷ শিশুকে পেরোটিড গ্রন্থি ফোলার পর অন্তত এক সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়িতে আলাদা ঘরে বা বিছানায় রাখা উচিত৷

 
কী হয় এই রোগে
জীবাণু দেহে প্রবেশের ১২ থেকে ২৫ দিনের মাথায় শিশুর জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, সর্বাঙ্গে ব্যথা এসব উপসর্গ দেখা দেয়৷ তারপর চোয়ালের দুই পাশে অর্থা কানের ঠিক সামনে ও নিচে গ্রন্থি ফুলে যায় এবং ব্যথা করতে থাকে৷ ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে দুদিকেই এবং বাকিদের একদিকে হয়৷ সঙ্গে থাকে প্রচণ্ড কান ব্যথাও৷ টক বা অ্যাসিডজাতীয় খাবার বা বেশি তরল গ্রহণের কারণে সেখানে ব্যথা বাড়ে৷ প্রথম তিন দিন উপসর্গ তীব্র থাকে৷ সাত দিন পর ধীরে ধীরে কমে আসে৷

জটিলতা আছে কি?
সাধারণত মাম্পস হলে শিশুরা খেতে পারে না, ব্যথায় কষ্ট পায় ও ভোগে৷ তবে এই রোগ থেকে মেনিনজাইটিস, এনকেফালাইটিস, অণ্ডকোষ প্রদাহ, চোখ, কান, ফুসফুস, কিডনি, অগ্ন্যাশয় প্রদাহের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে৷

চিকিসা কী?
কোনো সুনির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি নেই৷ নিজে থেকেই সেরে যায়৷ তরল খাবার ও পানীয় পান, জ্বর ও ব্যথা লাঘবে প্যারাসিটামল ওষুধ ব্যবহার করা হয়৷ তবে মাম্পস প্রতিরোধের টিকা রয়েছে৷ প্রথম ডোজ ১২-১৫ মাস বয়সে, দ্বিতীয় ডোজ চার-ছয় বছর বয়সে৷ চার-ছয় বছর বয়সের ডোজ দেওয়া না হলে বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছানোর আগে দেওয়া যাবে৷  


ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী
শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ,
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

সুত্রঃ প্রথম আলো, ০৮ জুন,২০১৪

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।