আফতাব চৌধুরী
: শশার রয়েছে অনেক গুণ। রূপচর্চা
ও মেদ নিয়ন্ত্রণসহ নানা উপযোগিতা আছে এই সহজলভ্য সবজির। শশার হাজারো গুণের মধ্যে ১৪টি
গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে
ধরেছেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা। যেমন-
*ধরুন আপনি এমন কোথাও আছেন, যেখানে হাতের কাছে পানি নেই, কিন্তু শশা আছে। বড়োসড়ো একটি শশা চিবিয়ে খেয়ে নিন। পিপাসা মিটে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন চনমনে। কারণ, শশার ৯০ শতাংশই পানি।
*কখনো কখনো
আপনি শরীরের ভেতরে-বাইরে প্রচন্ড
উত্তাপ অনুভব করেন। দেহে
জ্বালাপোড়া শুরু
হয়। এ
অবস্থায় একটি শশা খেয়ে নিন। এ
ছাড়া, সূর্যের
তাপে ত্বকে জ্বালা
অনুভব করলে শশা কেটে ত্বকে ঘঁষে নিন। নিশ্চিত ফল পাবেন।
*শশার
মধ্যে যে পানি
থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা
অদৃশ্য ঝাড়–র মতো
কাজ করে। নিয়মিত
শশা খেলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।
*প্রতিদিন
আমাদের দেহে যে সব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশির ভাগই শশার মধ্যে
বিদ্যমান। ভিটামিন
এ বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শশা পিষে রস
করে খেলে এই তিন ধরনের
ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে।
* শশায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম
ও সিলিকন
আছে যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ
জন্য ত্বকের পরিচর্যায়
গোসলের সময় অনেকে শশা ব্যবহার করে থাকেন।
*শশায়
উচ্চমাত্রায় পানি ও
নি¤œমাত্রার
ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ফলে
যারা দেহের ওজন কমাতে চান,
তাদের জন্য শশা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করবে। যারা ওজন কমাতে চান, তারা স্যুপ
ও স্যালাডে বেশি বেশি শশা ব্যবহার করবেন। কাঁচা
শশা চিবিয়ে খেলে তা
হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শশা খেলে দীর্ঘমেয়াদী
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
হয়।
*সৌন্দর্য
চর্চার অংশ হিসেবে অনেকে শশা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন। এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন
অপসারিত হয়, তেমনি
চোখের জ্যোতি বাড়াতেও
কাজ করে। চোখের
প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি
পড়া, জরায়ু,
স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমানোর
সঙ্গে এই তিনটি উপাদানের জোরালো সম্পর্ক ঠেকাতেও এটি কাজ করে।
*শশায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরোসিনোল
ও পিনোরেসিনোল-এ তিনটি আয়ুর্বেদ উপাদান আছে বলে বিজ্ঞানীদের অভিমত।
*ডায়াবেটিস
থেকে মুক্তি দেয়, কোলেস্টেরল কমায়, রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণ রাখে।*দুর্গন্ধযুক্ত
সংক্রমণ আক্রান্ত মাড়ির
চিকিৎসায় শশা দারুণ কাজ করে। গোল করে কাটা এক স্লাইস শশা জিহ্বার
ওপরে রেখে সেটি
টাকরার সঙ্গে চাপ দিয়ে আধ মিনিট রাখুন। শশার
সাইটোকেমিক্যাল এর মধ্যে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে আপনার মুখের
জীবাণু ধ্বংস করবে। সজীব
হয়ে উঠবে আপনার
নিশ্বাস।
*শশার মধ্যে যে খনিজ সিলিকা থাকে তা
আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। এ ছাড়া শশার সালফার ও সিলিকা চুলের
বৃদ্ধিতেও সহায়তা
করে।
*শশায়
প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে। গাজরের
রসের সঙ্গে শশার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে
আসে। এতে
গেঁটেবাতের ব্যথা থেকে
মুক্তি পাওয়া যায়।*ভোরে
ঘুম থেকে উঠার পর অনেকের মাথা ধরে। শরীর
ম্যাজ ম্যাজ
করে। শশায় প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। তাই
ঘুমাতে যাওয়ার
আগে কয়েক টুকরো শশা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে উঠার পর এ সমস্যা
থাকবে না।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।