রমজান মাসে সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে প্রথমেই সবাই খেজুর খেয়ে থাকেন। এর একটি কারণ হয়তো এই যে মধ্যপ্রাচ্যের একটি অন্যতম খাবার হলো খেজুর এবং এই সংস্কৃতি সারা বিশ্বেই অনুসৃত হয়। কিন্তু এর বৈজ্ঞানিক দিকও আছে। কেননা, খেজুর প্রচুর ক্যালরি বা শক্তিদায়ক একটি ফল। প্রচুর শর্করা থাকার কারণে খাবার আধ ঘণ্টার মধ্যে এটি বাড়তি শক্তি জোগাতে সক্ষম। এ ছাড়া এটি দ্রুত মস্তিষ্কের খিদে কেন্দ্রকে উজ্জীবিত করে খিদে মেটায় ও আরও বেশি খাবার ইচ্ছা থেকে বিরত রাখে। আরও একটি কারণ হলো, এর মধ্যে আঁশের পরিমাণও অনেক এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কয়েক ঘণ্টা খেজুর পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর এটি পানি শোষণ করে ফুলে ওঠে। এমন খেজুর খেলে আরও বেশি উপকার মেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে। প্রচুর পটাশিয়াম আছে এতে এবং এই পটাশিয়াম দ্রুত স্নায়ুব্যবস্থার অবসন্নভাব দূর করে ও তরতাজা ভাব এনে দেয় রোজাদারদের। ওজন বাড়াতে, রক্তশূন্যতা দূর করতেও এটি উপকারী।
তবে গ্লাইসেমিক সূচক বেশি বলে ডায়াবেটিসের রোগীদের বেশি খাওয়া উচিত নয়। প্রতিটি খেজুরে প্রায় ৬৬ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়, যার ৯৮ শতাংশই হলো শর্করা। খেজুরের ক্যালরি বেশি বলে ওজনাধিক্য ব্যক্তিদেরও হিসাব করে খাওয়া উচিত। সূত্র: নিউট্রিশন ফ্যাক্ট, লিভস্ট্রং।
সূত্রঃ
প্রথম আলো, ০৬ জুলাই ২০১৪খ্রিঃ
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।