সর্বাধুনিক প্রযুক্তির
সুচারু বিন্যাস ঘটিয়ে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের 'কোয়ান্টাম অব দ্য সিজ' জাহাজটি তৈরি করা হয়েছে। প্রায় চার হাজার ৯০৫ জন যাত্রী নিয়ে সাগরে ভাসতে পারার ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ এটি। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম
এ জাহাজের দৈর্ঘ্য এক হাজার ১৪১ ফুট। আর ৩০০ ফুট উঁচু এই
জাহাজে রয়েছে বায়োনিক বার আর রোবটিক বারটেন্ডার। রয়েছে ১৮টি ডেক আর ১৮টি রেস্তোরাঁ।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে
তৈরি কোয়ান্টামের ধারণক্ষমতা এক লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টন। ১৮টি ডেক, দুই হাজার ৯০টি স্টেটরুম, ১৬টি গ্লাস এলিভেটর, চার হাজার ৯০৫ জন যাত্রী আর ক্রর সংখ্যা দেড় হাজার। ডেকগুলোতে রয়েছে বার, রেস্টুরেন্ট, দোকান, শপিংমলসহ নানা প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা। পিন থেকে বিয়ার পর্যন্ত একজন মানুষের জন্য
প্রয়োজনীয় সবকিছুই মিলবে স্টোরগুলোতে। কোয়ান্টামে খাবার দেয়া হবে বিনামূল্যে যা
অন্য কোনো সমুদ্রযাত্রায় পাওয়া যায়না। যেকোন সময়ে খেতে ইচ্ছে
করতেই পারে আর তাই খাবারের জন্য রেস্টুরেন্ট সারারাত খোলা থাকে।
বিশাল এই জাহাজের বাইরের
দিকটা যতটা না অসাধারন, তার চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হলো এর ভেতরের অংশ। বারে রোবটিক বারটেন্ডার এসে যাত্রীর সামনে পরিবেশন করে ককটেল। এটা হলো এক আন্তর্জাতিকমানের
এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম। রয়েছে ভার্চুয়াল বারান্দার
জানালাবিহীন কক্ষ। অথচ পরিষ্কার দেখা যায় চারদিকের সব মনোরম
দৃশ্য। একজন মানুষের সর্বাধুনিক বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় প্রয়োজনীয় সবকিছুই জোগান দেবে কোয়ান্টাম। বই, লাইব্রেরি, সুইমিংপুল, ইনডোর গেমের জন্য প্রয়োজনীয় স্পেস সবকিছুই আছে এতে। সানবাথ থেকে হটটাব_ কোনো কিছুরই অকুলান নেই।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।