অন্তঃসত্ত্বা নারীর মানসিক চাপ গর্ভস্থ সন্তানের বিকাশে
নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে
পারে। দ্য জার্নাল অব ফিজিওলজি সাময়িকীতে
প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে
এ কথা বলা হয়েছে। যু্ক্তরাজ্যের
রয়েল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টের
একদল গবেষক বলছেন, মায়ের
শরীরে মানসিক চাপ সৃষ্টির জন্য
দায়ী
একটি হরমোনের মাত্রা বাড়লে গর্ভের ভ্রূণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই মানসিক চাপ এড়িয়ে প্রশান্ত থাকতে হবে। এতে মা ও শিশু দুজনেরই সুস্থতা নিশ্চিত হবে।
গবেষকেরা
দেখতে পান, গ্লুকোকর্টিকয়েড
নামের হরমোন নারীর গর্ভস্থ
ভ্রূণের পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ করে। মায়ের
শরীরে হরমোনটির মাত্রা বৃদ্ধি
পেলে নাড়ির মধ্য দিয়ে গ্লুকোজ সরবরাহ কমে যায়। এতে গর্ভস্থ শিশুর ওজন কমে যাওয়ার ঝুঁকি
রয়েছে। এতে জন্মের পরও ওই শিশু দীর্ঘমেয়াদি
নানা রকমের
স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে পারে। শীর্ষ
গবেষক ওয়েন ভন বলেন, যেসব নারী গর্ভাবস্থায় মানসিক
চাপ, দুশ্চিন্তা
বা উদ্বেগে ভোগেন অথবা তাঁদের
শরীরে
গ্লুকোকর্টিকয়েডস বেশি মাত্রায় থাকে, তাঁদের সন্তান ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য নিয়ে জন্মাতে পারে। মানসিক চাপে থাকা অবস্থায় নাড়ির নির্দিষ্ট কিছু জিন রূপান্তরিত হয়। এর মধ্যে রেডওয়ান নামের একটি জিন
অক্সিজেনের মতো
অন্যান্য উপাদানের উপস্থিতির সংকেত দেয় এবং ভ্রূণের বৃদ্ধি ও পুষ্টি নিয়ন্ত্রণের জন্য
আন্তকোষীয় পথে সক্রিয়তা নির্দেশ করে।
সূত্রঃ প্রথম আলো
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।