চীনের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা
জ্যাক মার সম্পদের
পরিমাণ এখন প্রায় ২ হাজার ৪শ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু এই অবস্থায় আসার পথটা তার জন্য মোটেই
সহজ ছিল না। এজন্য তাকে বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে। আর হোঁচট খেয়েই আজ চীনের শীর্ষ ধনীতে
পরিণত হয়েছেন জ্যাক মা।
সম্প্রতি শার্লি রোজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা
জানিয়েছেন তিনি।বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সফল উদ্যোক্তা
জ্যাক মান সাক্ষাৎকারে
জানান, কলেজে
ভর্তির পরীক্ষায় তিন তিন বার ফেল করেছিলেন তিনি।
এক
পর্যায়ে ভর্তি হতে না পেরে তিনি ৩০টি ভিন্ন চাকরির চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু
প্রত্যেক জায়গায় তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন।তিনি
আরো বলেন, 'আমি একবার পুলিশের চাকরির জন্য
গিয়েছিলাম। তারা আমাকে বলেছিল, তুমি যোগ্য নও।'
'আমার
শহরে কেএফসিতেও চাকরির চেষ্টা করেছি। সেখানে
ইন্টারভিউ দিতে আসা ২৪ জনের
মধ্যে আমি ছাড়া ২৩ জনেরই চাকরি হয়েছিল।'তিনি জানান, ১৯৯৮ সালে আলিবাবা প্রতিষ্ঠার
সময় অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
প্রথম
৩ বছর তার কোম্পানি কোনো লাভ করতে পারেনি। কোম্পানির
অন্যতম সমস্যা ছিল
নিজস্ব পেমেন্ট সিস্টম না থাকা।
এদিকে কোনো ব্যাংক তার সঙ্গে কাজ করতে রাজি ছিল না। এজন্য তিনি 'আলিপে' নামে নিজস্ব পেমেন্ট প্রোগ্রাম চালু করেন। প্রোগ্রামটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রেতা-বিক্রেতারা বিভিন্ন দেশের মুদ্রায় পণ্য কেনাবেচা করার সুযোগ পায়।চীনের শীর্ষ এ ধনী মা আরো জানান, আলিপে সম্পর্কে তখন অনেকেই আমাকে বলেছিলেন, এটি একটি ফালতু ধারণা। তুমি কখনোই এটি নিয় সফল হতে পারবে না। কিন্তু আমি তাদের কথায় কান দেইনি। অথচ আজ ৮০০ মিলিয়ন মানুষ আলিপে ব্যবহার করছে।উল্লেখ্য, আলিবাবা চীনের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানি। দেশটির অনলাইন বেচা-কেনার ৮০ শতাংশ হয়ে থাকে এর মাধ্যমে। সম্প্রতি নিউইযর্ক স্টক এক্সচেঞ্জেও কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
এদিকে কোনো ব্যাংক তার সঙ্গে কাজ করতে রাজি ছিল না। এজন্য তিনি 'আলিপে' নামে নিজস্ব পেমেন্ট প্রোগ্রাম চালু করেন। প্রোগ্রামটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রেতা-বিক্রেতারা বিভিন্ন দেশের মুদ্রায় পণ্য কেনাবেচা করার সুযোগ পায়।চীনের শীর্ষ এ ধনী মা আরো জানান, আলিপে সম্পর্কে তখন অনেকেই আমাকে বলেছিলেন, এটি একটি ফালতু ধারণা। তুমি কখনোই এটি নিয় সফল হতে পারবে না। কিন্তু আমি তাদের কথায় কান দেইনি। অথচ আজ ৮০০ মিলিয়ন মানুষ আলিপে ব্যবহার করছে।উল্লেখ্য, আলিবাবা চীনের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানি। দেশটির অনলাইন বেচা-কেনার ৮০ শতাংশ হয়ে থাকে এর মাধ্যমে। সম্প্রতি নিউইযর্ক স্টক এক্সচেঞ্জেও কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।