এ যেন গল্প
বলা শিখতে এসে নিজেই গল্প হয়ে ওঠা। একই বেঞ্চে
বসে ক্লাস করতেন কিন্তু জানতেন না তারাই ৩০ বছর আগে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। দু’জন দু’জনকে খুঁজে
ফিরতেন। এতো কাছে থাকার পরও কেউ-ই কাউকে চিনে উঠতে
পারেনি। গল্পের মতোই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে
পড়তে এসেই ছোটবেলায় বিচ্ছেদ ঘটা এক বোনকে খুঁজে পেল আরেক বোন। এক বা দু’বছর নয়, ৩০ বছরের
বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো এক হতে পেরেছেন একই মায়ের দু’সন্তান।
আইওয়া থেকে
আসা ক্যাট্টি ওলসন (৩৪) গত কয়েক বছর ধরে খুঁজছিলেন বড় বোন লিজ্জাই ভালভার্ড (৩৫)কে। অভাবের সংসারে ছোট বেলাতেই তাদের দু’জনকে দত্তক
দেওয়া হয়েছিল। ভালভার্ড বেড়ে ওঠেন নিউ জার্সির একটি সাংবাদিক
পরিবারে। আর ওলসন বেড়ে ওঠেন নিউইয়র্কে অপর একটি পরিবারে। এরপর আর দু’জনের মাঝে দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। অনেক খোঁজাখুজিঁর পরও কোনভাবেই বড় বোনকে
পাচ্ছিলেন না ওলসন। যে বোনকে
খুজেঁ হয়রান কখনও ভাবেননি সেই বোনই তার পাশে বসে থাকে। ঘটনাটি ২০১৩ সালে হলেও, চলতি সপ্তাহে
বিষয়টি প্রকাশ করেছেন সেই দু’বোন। নিজেরাই শোনালেন নিজেদের এক হওয়ার গল্প।
তবে দু’পরিবারে
ভিন্ন আঙ্গিকে বড় হলেও জন্ম সূত্রে পেয়েছিলেন মায়ের কাছ থেকে লেখালেখির গুণ। তাইতো শেষমেষ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে দু’জনেই এক
সঙ্গে ভর্তি হলেন লেখালেখি বিষয়ক একই ক্লাসে। নিজেদের পরিচিতি ক্লাসে জীবন বৃত্তান্ত বলতে
থাকা ভালভার্ডের বলা কথা শুনে একটু আশ্চর্যই হচ্ছিলেন সহপাঠী ওলসন। যখন ছোট বেলায় হারিয়ে যাওয়া বোনটি সর্ম্পকে
শুনলেন, তখন বুঝে
ফেললেন এই হলো তার হারিয়ে যাওয়া বড় বোন। তাই বলে
তো আর ক্লাসের মধ্যেই হুট করেই দাবি করা যায়না ‘আপনি আমার বোন’। তাই ক্লাস শেষে হওয়ার পরপরই তথ্য উপাত্তসহ
ভালভার্ডের সামনে হাজির হলেন ওলসন। প্রকৃতিই
যখন চাইছে দু’জনের একাত্মতা, তখন আর
কে-ই বা বাধ সাধবে তাতে। বর্তমানে
এক সঙ্গেই থাকছেন দুই বোন।
কলেজ থেকে অনুবাদ করেছেন আমির পারভেজ
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।