মৌসুম বদলের এই সময়ে খুসখুসে কাশি, গলা ব্যথা লেগেই থাকে। এর
বেশির ভাগই অ্যালার্জিজনিত। কিন্তু সহজে না সারা এসব খুসখুসে কাশি খুবই বিরক্তিকর
ও অস্বস্তিকর। এ ধরনের কাশিতে সাধারণত কফ তৈরি হয় না, কফ বেরোয়ও না।
শুকনো কাশির সাধারণ কারণের মধ্যে অ্যালার্জি ছাড়াও ভাইরাস সংক্রমণ, ক্রনিক ব্রংকাইটিস, পাকস্থলীর অ্যাসিড
রিফ্লাক্স বা গলায় উঠে আসা, হাঁপানি ইত্যাদি দায়ী। কিছু ওষুধের কারণেও কারও কারও শুকনো
কাশি হয়ে থাকে।
ঋতুবদলের আগে-পরে এ রকম খুসখুসে কাশিতে আক্রান্ত হলে শুরুতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যায় বাড়িতে।
যেমন—
-গরম বাষ্প শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে কাশি অনেকটাই তরল হয়ে আসবে এবং আরাম মিলবে। হালকা গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলেও উপকার হবে।
-গরম বাষ্প শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে কাশি অনেকটাই তরল হয়ে আসবে এবং আরাম মিলবে। হালকা গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলেও উপকার হবে।
-হালকা গরম পানি, গরম দুধ বা গরম
স্যুপ খেতে পারেন, এতে ফুসফুসের জমাট ভাবটা কেটে যাবে।
-আদা দিয়ে তৈরি চা, এক চামচ মধু, পুদিনা বা তুলসী পাতার রস—এগুলো সবই কাশি প্রশমন করে।
-রাতে বিরক্তিকর কাশি থেকে বাঁচতে একটু উঁচু বালিশ ব্যবহার করুন, শোবার আগে একটু গার্গল করুন।
-কফি, ক্যাফেইনযুক্ত খাবার, চকলেট এবং ভাজাপোড়া খাবার কাশির দমক বাড়িয়ে দিতে পারে।
-ঠান্ডা পানি ও পানীয় থেকে বিরত থাকাই ভালো। আর ধূমপান অবশ্যই নয়।
-আদা দিয়ে তৈরি চা, এক চামচ মধু, পুদিনা বা তুলসী পাতার রস—এগুলো সবই কাশি প্রশমন করে।
-রাতে বিরক্তিকর কাশি থেকে বাঁচতে একটু উঁচু বালিশ ব্যবহার করুন, শোবার আগে একটু গার্গল করুন।
-কফি, ক্যাফেইনযুক্ত খাবার, চকলেট এবং ভাজাপোড়া খাবার কাশির দমক বাড়িয়ে দিতে পারে।
-ঠান্ডা পানি ও পানীয় থেকে বিরত থাকাই ভালো। আর ধূমপান অবশ্যই নয়।
-বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই,শেষ করে সঙ্গে জ্বর
না থাকলে। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিহিস্টামিন বা মনটিলুকাস্ট জাতীয় ওষুধ
খাওয়া যায়। এগুলো গলা বা শ্বাসনালিতে কাশি উৎপাদনকারী রাসায়নিকের পরিমাণ কমাবে,শ্বাসনালিকে
প্রসারিত করবে। ফলে জমে থাকা কফ বেরিয়ে আসতে পারবে।
-প্রচলিত কফ সিরাপ কাশি আরও শুষ্ক করে দিতে পারে। কয়েক
দিনের মধ্যে অ্যালার্জিজনিত বা ভাইরাসজনিত কাশি সেরে যাওয়ার কথা। হাঁপানি বা
ব্রংকাইটিসের রোগীদের জন্য এই ঋতুবদলের মৌসুমটা খুবই খারাপ। প্রয়োজনে তাদের
অ্যান্টিবায়োটিক বা ইনহেলার, নেবুলাইজার লাগতে পারে। কাশি দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের
পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
মেডিসিন বিভাগ,
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।