সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: শ্বাসকষ্ট মানেই অ্যাজমা নয়

শ্বাসকষ্ট মানেই অ্যাজমা নয়


শ্বাসকষ্ট মানেই অ্যাজমা নয়। অ্যাজমা ছাড়াও অনেক কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যেমন হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট হয়। এরপর যাদের রক্তশূন্যতা আছে, তাদের শ্বাসকষ্ট হয়। কিডনি রোগীরও শ্বাসকষ্ট হয়। তাই জেনে নেওয়া যাক অ্যাজমা-সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর:

সব খাবারে কি সবারই অ্যাজমা হতে পারে? : আসলে বিশেষ ব্যক্তির বিশেষ খাবারে অ্যাজমা হয়। যেমন গরুর মাংস খেলে কারও অ্যাজমার তীব্রতা বেড়ে যায়। আরেকজনের হয়তো গরুর মাংসে কোনো সমস্যাই হয় না। চিংড়ি মাছ খেলে হয়তো কারও সমস্যা বাড়ে। আরেকজনের ক্ষেত্রে হয়তো দেখা যায়, এ দুটি খেলে কিছুই হয় না। হয়তো বেগুন খেলে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর অর্থ, একেকজনের একেকটা খাবারের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে।

অ্যাজমা কি ছোঁয়াচে রোগ?: না। বংশগতভাবে অ্যাজমা বা হাঁপানি হতে পারে। কিন্তু এটা ছোঁয়াচে নয়। আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেয়ে শিশুর অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা নেই। মায়ের সংস্পর্শে থাকলেও অ্যাজমা হবে না।

অ্যাজমা কি সম্পূর্ণভাবে নিরাময়যোগ্য?: অ্যাজমা পুরোপুরি ভালো হয় না। তবে অ্যাজমার যেসব আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে, সেগুলো সঠিকভাবে গ্রহণ করলে একজন অ্যাজমা রোগী প্রায় সুস্থ হয়ে উঠবে। 

ইনহেলার ব্যবহারই কি অ্যাজমার শেষ চিকিৎসা?: অনেকে ভাবেন, যখন আর কোনো ওষুধ কাজ করে না; অর্থাৎ বড়ি, সিরাপ, ক্যাপসুল সবই ব্যর্থ; তখন হয়তো অ্যাজমার চিকিৎসায় ইনহেলার নেওয়া হয়। কথাটা মোটেও সত্য নয়। ইনহেলার দিয়েই কিন্তু প্রথমে চিকিৎসা করতে হবে। ইনহেলার কেন দেওয়া হয়? ইনহেলার দেওয়ার দু-তিন মিনিটের মধ্যে শ্বাসকষ্ট থাকে না। আরেকটি রয়েছে প্রতিরোধক; এটি শ্বাসনালির মধ্যে হওয়া প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে। ইনহেলারের ব্যবহারবিধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ব্যবহারবিধি না জানায় অনেকে এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়।


অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ
ডিন, মেডিসিন অনুষদ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়


সূত্রঃ প্রথম আলো, আপডেট: ০৩:২৪, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।