ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হঠাৎ তীব্র শীতে শিশুরা শ্বাসকষ্ট, কাশি ইত্যাদি নিয়ে
হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এদের একটা বড় অংশই অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিক পাচ্ছে বা
বাইরে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করে এসেছে। শীতজনিত শিশুর শ্বাসকষ্টের অন্যতম
দুটি কারণ ব্রঙ্কিউলাইটিস ও নিউমোনিয়া। এ দুটির মধ্যে পার্থক্য করতে পারলে
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব।
ব্রঙ্কিউলাইটিস সাধারণত দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের হয়ে থাকে। এতে নাক দিয়ে পানি পড়ার পর কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়, বুকে বাঁশির মতো শব্দ হয় এবং অল্প জ্বর থাকে। তিন থেকে পাঁচ দিনেই এ রোগ ভালো হয়। আর নিউমোনিয়া যেকোনো বয়সের শিশুর হতে পারে। এতে উচ্চমাত্রার জ্বর, সঙ্গে কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকে এবং শিশু একটু বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে বুকের এক্স-রেতে কালো ফুসফুসে বিভিন্ন আকৃতির সাদা দাগ দেখা যায়। রক্ত পরীক্ষাতে শ্বেতকণিকার মাত্রা বেড়ে যায়। সেরে উঠতে সময়ও বেশি লাগে। ব্রঙ্কিউলাইটিসের তুলনায় নিউমোনিয়া একটু বেশি জটিল।
ব্রঙ্কিউলাইটিসের চিকিৎসা বাড়িতেও করা যায়। এই সময়ে যেকোনো শিশুর কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে প্রথমে নাকে ড্রপ দিন, যথেষ্ট গরম রাখার ব্যবস্থা করুন, বুকের দুধ ও প্রচুর তরল খেতে দিন। যেসব শিশুর বেশি শ্বাসকষ্ট, শরীর কালো বা নীল হয়ে যাচ্ছে, তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। এসব শিশুকে অক্সিজেন দিলে এবং ৩ শতাংশ সোডিয়াম ক্লোরাইড দিয়ে নেবুলাইজ করলে উপকার পাওয়া যায়।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।