গাড়িও হ্যাক হতে পারে। কারণ আধুনিক
যুগের গাড়িতে যে প্রযুক্তি সুবিধা রয়েছে, তা
হ্যাক হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে গাড়ি নির্মাতা ও মালিকদের সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্রের
ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) ও ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি
অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিএসএ)। গত বৃহস্পতিবার মোটরযান হ্যাকিং সম্পর্কে এ
সতর্কবার্তা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ওই দুটি সংস্থা। খবর রয়টার্সের।
সাধারণ মানুষ ও গাড়ি
নির্মাতাদের সতর্ক করে এফবিআই ও এনএইচটিএসএ বলেছে, গাড়ি, গাড়ির যন্ত্রাংশ ও গাড়িতে যুক্ত
বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সম্পর্কে সচেতন ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ
করে ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধার আধুনিক গাড়ির যন্ত্রাংশ সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। অটোমোবাইল
শিল্পে বেশ আগে থেকেই হ্যাকিং ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এর আগে গত বছরে
একটি ম্যাগাজিনে গাড়ির হ্যাকিং ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রে ১৪
লাখ গাড়িতে একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করে ফিয়াট। গত বছরে জেনারেল মোটরও তাঁদের
স্মার্টফোন অ্যাপে একটি নিরাপত্তা প্যাঁচ হালনাগাদ করে। কারণ গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ
করা ও দরজা আটকে চালককে ভেতরে আটকে ফেলার মতো ঝুঁকিতে ছিল জেনারেল মটরের হাইব্রিড
গাড়ি শেভ্রোলে ভোল্ট।
২০১৫ সালে বিএমডব্লিউ এজি ঘোষণা
দিয়েছিল,তাঁরা গাড়ির একটি নিরাপত্তা সমস্যা
দূর করেছে,যা কাজে লাগিয়ে ২২ লাখ গাড়িতে হামলা
চালাতে পারত হ্যাকাররা। এ গাড়ির দরজা দূর থেকে বন্ধ করে দিতে পারত হ্যাকাররা। এফবিআইয়ে
বুলেটিনে বলা হয়েছে,সব হ্যাকিং ঘটনা অবশ্য নিরাপত্তা
ঝুঁকি তৈরি করে না। তবে হ্যাকার যদি গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে,তবে ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। এ ঝুঁকি কমাতে গ্রাহকদের
যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে এনএইচটিএসএয়ের কর্মকর্তা
মার্ক রোজকাইন্ড বলেছিলেন গাড়ি নির্মাতাদের দ্রুত হ্যাকিং ঝুঁকির বিষয়টি ভেবে
দেখতে হবে। এরপর ওয়্যার্ড সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়,ফিয়াটের চেরোকি জিপে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ নিতে
পারে হ্যাকাররা। অবশ্য বাস্তবে এখনো কোনো গাড়ি হ্যাক করার কোনো উদাহরণ নেই বলে জানিয়েছে
এনএইচটিএসএ।
যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি বিক্রির সংস্থা অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যালায়েন্স ও গ্লোবাল অটোমেকারস অ্যাসোসিয়েশন মিলে গত বছরে তথ্য বিনিময় ও অ্যানালাইসিস সেন্টার খুলেছে। সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক হুমকি ও গাড়িতে সম্ভাব্য হ্যাকিং আক্রমণ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে এ জোট। এফবিআই সতর্ক করে বলেছে, সাইবার দুর্বৃত্তরা গাড়ির মালিকদের কাছে গাড়ির সফটওয়্যার হালানাগাদ সম্পর্কিত ভুয়া মেইল পাঠাতে পারে। আসল সফটওয়্যার আপডেটের মতো এ মেইলগুলো হতে পারে। এ ধরনের মেইলে ক্লিক করলে ক্ষতিকর ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। এ ছাড়া ক্ষতিকর সফটওয়্যারযুক্ত অ্যাটাচমেন্ট ক্লিক করতে প্রলুব্ধ করে।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।