সাধারণত বয়স ৬০ বছরের বেশি হলে সবারই চোখে কমবেশি ছানি পড়ে। তবে চোখের আঘাত, প্রদাহ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ডায়াবেটিসের কারণে যেকোনো বয়সে ছানি পড়তে পারে। গর্ভাবস্থায় মায়ের রোগের কারণে শিশু চোখের ছানি নিয়ে জন্মাতে পারে। তবে আশার কথা হচ্ছে, ছানি চিকিৎসায় অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে এবং প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দৃষ্টি ফেরত পাওয়া সম্ভব।
ফ্যাকো সার্জারি বর্তমান যুগে চোখের ছানি কাটার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। এতে লেন্সের ওপরের একটি আবরণ বা ক্যাপসুল ৫ মি.মি. আকারে গোল ছিদ্র করে কাটা হয়। পরে ছানি বা লেন্সটিকে ছয়-আটটি টুকরা করে সেটা ইমালসিফাই করা হয়। এসব কাজই সার্জন হাতে করেন, ব্লেড বা মাইক্রোনাইফ ব্যবহার করে। অস্ত্রোপচারে লেজারের ব্যবহার সম্পূর্ণ কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয় বলে কাজগুলো হয় সম্পূর্ণ সঠিক ও নিখুঁত। এতটাই নিখুঁত হয় যে সার্জনের হাত দিয়ে তা সম্ভব নয়। ফেমটোসেকেন্ড লেজার ইনফ্রারেড লাইট ব্যবহার করে ছানির শক্ত অংশ বা নিউক্লিয়াসকে ফটোডিসরাপশান করে ছোট্ট ছোট্ট টুকরা করে খুব সহজে ফ্যাকো মেশিনের সাহায্যে বের করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ফ্যাকো মেশিনের আলট্রাসাউন্ড এনার্জি খরচ অনেক কম হয় এবং অস্ত্রোপচারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও অনেক কমে যায়।
বিশ্বমানের ফ্যাকো সার্জারি এবং সর্বাধুনিক লেজার ক্যাটার্যাক্ট সার্জারি এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে। তবে ছানি বেশি পেকে গেলে লেজার সার্জাির না করা ভালো।
অধ্যাপক এম নজরুল ইসলাম
চক্ষু বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা |
সূত্রঃ
প্রথম আলো, ২৫ জুন ২০১৪খ্রিঃ
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।