সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: পৃথিবীর প্রান্তে রহস্যময় বিশাল গর্ত!

পৃথিবীর প্রান্তে রহস্যময় বিশাল গর্ত!

পৃথিবীর প্রান্তে রহস্যময় গর্ত


তবে এই রহস্যময় গর্ত তৈরি হওয়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ভূগর্ভস্থ পানি, লবণ ও গ্যাসের মিশ্রণের ফলে কোনো এক বিস্ফোরণের ফলে তৈরি হতে পারে এই গর্তঅবশ্য গ্রহাণু বা উল্কার আঘাতে এই গর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন অনেকে হঠাত্ করে সাইবেরিয়ায় তৈরি  বিশাল এই গর্তের ভিতরে ঘন কালোসম্প্রতি এই গর্তটির একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছেভিডিওতে দেখা যায়, এই রহস্যময় গর্ত এবং তার চারপাশ ঘিরে থাকা গাছপালাএলাকাটি বেশ দুর্গমগর্তটির আশেপাশের মাটিও বেশ বিপদজনক এবং অস্থিতিশীল বলে মনে হয়এই এলাকার কাছেই একটি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র রয়েছেঅনেকেই ধারণা করছেন, মাটির নিচে গ্যাস, পানি ও লবণের মিশ্রণে কোনো বিস্ফোরণ ঘটার কারণে তৈরি হয়েছে এই গর্ত


বিশাল এক রহস্য তৈরি করেছে পৃথিবীর শেষ প্রান্তহিসেবে পরিচিত রাশিয়ার ইয়ামাল পেনানসুলায় রহস্যময় একটি গর্তসপ্তাহখানেক আগে তৈরি বিশাল এই গর্ত কীভাবে হলো, তা নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেইএক সপ্তাহ পরও এর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না বিজ্ঞানীরাঅদ্ভুত এই গর্তটি তৈরির কারণ কী হতে পারে? গর্ত তৈরির কারণ হিসেবে এখন পর্যন্ত অনেক তত্ত্বই শোনা যাচ্ছেকেউ বলছেন, গ্রহাণুর আঘাতে এটা ঘটেছে কেউ বলছেন আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট (ইউএফও) এর কারণ হতে পারে গর্তটির গভীরতা কত, তা এখনো পরিমাপ করা সম্ভব হয়নিতবে গর্তমুখের পরিমাপ ১০০ মিটারের কাছাকাছি হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরাএই গর্তটির তৈরি হওয়া নিয়ে যে রহস্য তৈরি হয়েছে, তা সমাধান করতে ইতিমধ্যে কাজে নেমে পড়েছেন বিজ্ঞানীরাসিডনি থেকে বিজ্ঞানীদের একটি দল বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে বুধবার রাশিয়ায় পৌঁছেছেনতাঁরা এই রহস্যের কিনারা করতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে

অবশ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে এই রহস্যময় গর্ত নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তাতে ‘পিঙ্গো’ নামের একটি বিশেষ তত্ত্বের কথা বলা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের পোলার সায়েন্টিস্ট ডক্টর ক্রিস ফগউইল এর মতে, এই গর্ত তৈরি হয়েছে পিঙ্গোর কারণে। পিঙ্গো হলো মেরু এবং এর কাছাকাছি অঞ্চলে পাওয়া এক ধরণের বরফের স্তূপ যা মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকে। পিঙ্গোর আকৃতি বেশি বড় হলে এটা যদি গলে গিয়ে থাকে, তবে এই বিশাল গর্ত সৃষ্টি হওয়া সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্ববিদ ডেভিড উইলশ’র মতে, এটি রহস্যজনক একটি ঘটনা। মাটি নিচের দিকে ধসে গিয়ে তৈরি হওয়া এটা কোনো সাধারণ সিঙ্কহোল নয়, আবার কোনো উল্কাপাতের ফলেও তৈরি নয়। উল্কার আঘাতে এত বড় গর্ত তৈরি হওয়ার ঘটনা ঘটলে তার প্রভাব হতো ভিন্ন। এ ছাড়া এত গভীর গর্ত হওয়ার প্রশ্নই উঠত না। গর্তের কিনার ঘিরে যে জঞ্জাল দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হয় মাটির নিচ থেকে কোনো ধরনের বিস্ফোরণে এটা তৈরি হয়েছে। অবশ্য এই অঞ্চলটি ভূকম্পন প্রবণ এলাকা নয় বলেই জানি। এটা পকেট আকারে সঞ্চিত প্রাকৃতিক গ্যাসের বিস্ফোরণে তৈরি হতে পারে।
বর্তমানে এই রহস্যময় গর্তের রহস্য উদ্ধারে ইয়ামাল কর্তৃপক্ষ, রাশিয়ার সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব দ্য আর্কটিক ও ক্রায়োস্ফিয়ার ইনস্টিটিউট অব দ্য অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষকেরা কাজ করছেন। মাটি, পানি ও বাতাস থেকে নমুনা বিশ্লেষণ করে এই রহস্য সমাধান করতে চেষ্টা করবেন তাঁরা। রহস্যের জট কি খুলবে শিগগিরই। প্রকৃতির এই রহস্যের সমাধান জানতে আমাদের আপাতত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

হঠাৎ তৈরি রহস্যময় গর্তটি নিচের ভিডিওতে দেখুন


সূত্রঃ প্রথম আলোজুলাই ১৮, ২০১৪

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।