একটি স্বপ্নের বাড়ি নির্মাণ করতে পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি লম্বা চুল বিক্রি করে দিল ব্রাজিলের এক কিশোরী। তার ওই চুলের দাম তিন হাজার পাউন্ড (নয় হাজার ব্রাজিলিয়ান ডলার)। রিও ডি জেনিরোর ১২ বছরের এ কিশোরীর নাম নাতাশা মোরেস ডি আন্দ্রের। জার্মান রূপকথার উপন্যাসের নায়িকা রাপুনজেলের মতো দীর্ঘকায় চুলের অধিকারী নাতাশা প্রথমবারের মত চুল কাটলেও এ নিয়ে কোন কষ্ট নেই তার। ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, নাতাশাকে প্রতি সপ্তাহে চার ঘণ্টা ব্যয় করতে হতো চুল ধোয়ার কাজে। আর প্রতিদিন চুল আঁচড়াতে তার দেড় ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হতো। দীর্ঘ চুল নিয়ে জীবনটাই এক রকম রহস্যময় হয়ে গিয়েছিল তার কাছে।
বর্তমানে ৪০ সেন্টিমিটার লম্বা চুলের পরিচর্যা করতে নাতাশার লাগে ৫ মিনিট সময় লাগে। আগে তাকে ঘুমাতে হতো ছোট একটি জানালাবিহীন ঘরে। বর্তমানে বিপুল অংকের অর্থ পাওয়ায় নতুন একটি বাড়ি তৈরি করতে পারবে সে। নাতাশা বলেছে, ‘চুল কাটাতে পার্লারে যাওয়ার পর আমি কেঁদে ফেলি। আমি ভয়ে ভয়ে চুল কেটেছি, পাছে যদি অর্থ না পাই। আমি এখন নতুন জীবন পেয়েছি। আগে বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় চিন্তা থাকতো এই বুঝি কেউ আমার চুল ধরে কেউ টান দিল কিংবা আমার চুল কেটে নিল। আগে যা করতে পারিনি তার অনেক কিছুই এখন পারি।’ নিজের স্বস্তি ফিরে পাওয়া নিয়ে নাতাশা বলেছে, ‘আমি স্বাধীনতা পেয়েছি। আমি ইংরেজি ও স্প্যানিশ শিখবো এখন। সমুদ্র তীরে গেলে কিংবা সাঁতার কাটলে আর চুল ভিজে যাওয়ার ভয় থাকবে না’। চুল নিয়ে তার মা-বাবার আপত্তি থাকলেও তারা কখনো চাইতেন না মেয়েকে এ ব্যাপারে কিছু বলতে। তাই চুল কাটানোর সিদ্ধান্তে তারাও কিছুটা বিমর্ষ ছিলেন। তবে মোটা অংকের অর্থ পাওয়ায় মা-বাবা খুশি। কারণ ওই টাকা দিয়েই তারা একটি স্বপ্নের বাড়ি বানাবেন। সেখানে নাতাশার জন্য থাকবে আলাদা একটি কক্ষ।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।