ভাঙা চীনামাটির তৈজসপত্র দিয়ে একটি ব্রান্ড নিউ রেঞ্জ রোভার গাড়িকে বিদঘুটে কায়দায় আবৃত করে দুনিয়ার সব মোটরপ্রেমীর আক্কেলগুড়ুম করে দিয়েছেন চীনা নাগরিক ঝাং লিয়ানঝি। তার দাবি, এই উদ্ভটকাণ্ডে খরচা পড়েছে সব মিলিয়ে (গাড়ির দামসহ) ১ লাখ পাউন্ড। এই কর্ম সাধনের জন্য পছন্দের চীনামাটির তৈজসপত্র সংগ্রহে উত্তর চীনের তিয়ানজিন এলাকার এই বাসিন্দা মাসের পর মাস সময় লাগিয়েছেন। কাঁচামাল সংগ্রহ শেষে সেগুলো খেয়াল-খুশিমতো ভেঙে টুকরো টুকরো করেন।
এরপর তার গাড়ির শরীরজুড়ে ওই ভাঙা বাসন-কোসনের টুকরোগুলো মনের মাধুরী মিশিয়ে লাগিয়েছেন। এ কাজে তিনি আরও ব্যবহার করেন সিমেন্ট, রং আর আঠা। চাকা আর আয়না ছাড়া পুরা গাড়িটি চীনি-টিকরির প্রাগৈতিহাসিক এক হুলিয়ায় লেপ্টে দেন ঝাং (বাংলাদেশে চীনামাটির বাসন-কোসনের ভাঙা টুকরায় দালান-মসজিদ নকশা করার প্রাচীন রীতিকে বলা হয় চীনি-টিকরির কাজ। ঐতিহ্যবাহী তারা-মসজিদসহ পুরান ঢাকা এবং দেশজুড়ে চীনি-টিকরির কাজের সমৃদ্ধ স্বাক্ষরবাহী অনেক মসজিদ-মন্দির-গির্জা-দালান রয়েছে)।
ঝাং তার এই লা-জবাব শিল্পকর্মের সবশেষে, ফিনিশিং পর্যায়ে এসে বনেটের ওপর কিছুটা বামদিক ঘেঁষে পৃথিবীর একটি ক্ষুদ্রাকার প্রতিরূপ স্থাপন করেন। সম্প্রতি নিজের এই অচিন্তনীয় কর্ম সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয় হালদুনিয়ার এতসব প্রাযুক্তিক উন্নতি আর মানুষের এত ক্ষমতাবান হয়ে ওঠার পরও পৃথিবী খুবই ভঙ্গুর অবস্থায়, খুব সহজেই একে ভেঙে চুরমার করে দেওয়া যায়। আর তাই আমরা সবাই যদি ভঙ্গুর কোনো জিনিস দিয়ে আবৃত এরকম গাড়ি চালাই, তবে পৃথিবীর প্রতি আমাদের দরদ তৈরি হবে, যাতে তার প্রতি আরও যত্নশীল হয়ে উঠব আমরা। বলতেই হয়, ঝাংয়ের কাণ্ডটা যত উদ্ভটই হোক না কেন, একে ধোপে টেকাতে যুক্তিটা কিন্তু দাঁড় করিয়েছেন লাগসই। রকমারি ডেস্ক
Poricitir jonno manush kotoi na kiso kore!
উত্তরমুছুন