সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: উইন্ডোজ জেনুইন এডভান্টেজ কি এবং কেন প্রয়োজন

উইন্ডোজ জেনুইন এডভান্টেজ কি এবং কেন প্রয়োজন



উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বব্যাপি। আগের তুলনায় উইন্ডোজের চাহিদাটা বর্তমানে আরো বেশি। যদিও বর্তমানে লিনাক্স, এন্ড্রয়েডের বাজার উইন্ডোজকে কিছুটা প্রতিযোগিতায় ফেলেছে। তারপরও এর জনপ্রিয়তা চলছে সমান তালে। উইন্ডোজ আমরা জেনুইন আর ফ্রি দুভাবে ব্যবহার করি। যদি উইন্ডোজ ফ্রি নয়। আজকে আলোচনা করবো জেনুইন আর আমরা যেটা ব্যবহার করি ফ্রির মত সেটার মধ্যে পার্থক্য কি।


ফ্রি আর প্রফেশনাল সফটওয়ার কিঃ
আমরা যে সফটওয়ারগুলো ব্যবহার করি তা সাধারণত দু ধরণের। একটি ফ্রি অন্যটি প্রফেশনাল বা শেয়ারওয়ার। ফ্রির মধ্যে দু রকম হয়ে থাকে। একটি ফ্রি অন্যটি ওপেনসোর্স। ফ্রিগুলো আপনি যখন, যেখানে, যেভাবে যতদিন ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন। আর ওপেনসোর্স হল- ফ্রির সকল সুবিধাতো ভোগ করবেন সাথে সফটওয়ারটিতে ব্যবহৃত সোর্স কোডও পাবেন। এ সোর্স কোডকে নিজের মত করে ডেভলাপ করা সহ সকল সুবিধা পাবেন। সোর্স কোড হল সফটওয়ারটি তৈরিতে ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।  আর এ কাজগুলো করা যায় বিনা পয়সায়।

আর প্রফেশনাল হল টাকা দিয়ে কিনতে হয়। প্রফেশনাল সফটওয়ারগুলো বিভিন্ন বৈশিষ্ট নিয়ে কতৃপক্ষরা বাজারে ছাড়ে। কোন কোন সফটওয়ার ফ্রিতে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া হয় ১ সপ্তাহ, ২ সপ্তাহ কিংবা ১ মাস। একে বলে ট্রায়াল ভার্সন। ট্রায়াল পিরিয়ড চলে গেলে সফটওয়ারটি আর কাজ করে না। আবার কিছু সফটওয়ার আছে আপনাকে ব্যবহার করার সুযোগ দেবে তবে সব ফিচার এনাবল থাকবে না। সব ফিচার পেতে চায়লে আপনাকে সফটওয়ারটি কিনতে হবে। এভাবে নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে সফটওয়ারগুলো ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয় যেখানে সম্পূর্ণ ফিচার থাকে না।

উইন্ডোজও তেমন একটি মাইক্রোসফটের প্রফেশনাল প্রোডাক্ট যা টাকা দিয়ে কিনতে হয়। তবে মাইক্রোসফটের এ উইন্ডোজ প্রফেশনাল হলেও আনলিমিটেড বা যতদিন ইচ্ছা ব্যবহার করার সুযোগ থাকে। অর্থাৎ আপনি কিনে না নিলেও সেটা যতদিন ইচ্ছা ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। তাহলে প্রশ্ন জাগে কিনে নেয়ার দরকার কি? হ্যাঁ কিনে নিলে আপনি উইন্ডোজটি হবে জেনুইন। আর Genuine Windows এর কি কি Advantage সেটাই আজকের আলোচনার মূল বিষয়। নিচে Windows Genuine Advantage এর সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হলঃ

Windows Genuine Advantage:
আমাদের দেশে সফটওয়ার শিল্পের উপর তেমন কোন আইন নেই। ফ্রি আর প্রফেশনাল সবগুলোকেই নিজের মত করে ব্যবহার করে সবাই। এমনকি কেউ কেউ কিনে নিয়ে সেটা বাজারে আবার বিক্রিও করে যদিও এরকম করার অনুমতি থাকে না। তাছাড়া বিভিন্ন জন থেকে সিরিয়াল কি সংগ্রহ করে ব্যাবহার করার প্রক্রিয়াতো অত্যাধিক জনপ্রিয়। কিন্তু উন্নত দেশে একাজগুলো করার অপরাধ এবং করলে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়, দোষী হলে শাস্তি পেতে হয়। তাই জেনুইনটা ঐ সব দেশে কাজে লাগে খুব বেশি। তবে আমাদের জন্য জেনুইন উইন্ডোজ খুবই দরকারী। নিচে দেখুন এর গুরুত্ব।

১। উইন্ডোজ কিনে নিলে আপনি হবেন মাইক্রোসফটের একজন গর্বিত ক্রেতা। তাদের ক্রেতার লিস্টে আপনার নামও থাকবে সিরিয়াল অনুযায়ী।

২। মাইক্রোসফটের ক্রেতা হিসেবে আপনি যেকোন সমস্যার জন্য সব সময় তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাবেন। আপনার কোন সমস্যার জন্য তাদের কাছে অভিযোগ করলে তারা আপনার সমস্যাটি সমাধান করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তাই তাদের সেবা নিয়ে এখনো কোন ক্রেতার কোন অভিযোগ নেই। উইন্ডোজ বাজারে ছাড়ার পর বছরের পর ক্রেতাদের সমস্যা সমাধান করার জন্য গবেষণায় নিয়োজিত আছে মাক্রোসফটের গবেষক দল। তাদের কাজ হলো গ্রাহকদের সমস্যা সামাধানের জন্য এবং উন্ডোজকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা করা।

৩। মাইক্রোসফট যখন উইন্ডোজে নতুন ফিচার যুক্ত করে বা কোন সমস্যার সমাধান করে তখন সেটা তারা আপডেটের লিস্টে যুক্ত করে দেয়। জেনুইন ইউজাররা সাথে সাথে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে থেকে মূহুর্তের মধ্যেই সেই আপডেট পায়।

৪। মাইকোসফটের যত সফটওয়ার/টুলস বা সেবা বের হয়ে থাকে সব উইন্ডোজকে ঘিরেই হয়ে থাকে। ওখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়ার/টুলস আছে যা শুধু জেনুইন ইউজাররাই ব্যবহার করতে পারে। যেমন MSE Antivirus, Windows Media player 11, Photo Story3 ইত্যাদি। এগুলো মাত্র কয়েকটির নাম। এরকম আরো অনেক টুল আছে যা একমাত্র জেনুইন ইউজারদের জন্য। সুতরাং support, updates এবং downloads সবকিছুর জন্য আপনার লাগবে জেনুইন উইন্ডোজ।

৫। জেনুইন উইন্ডোজের সিকিউরিটি হবে সর্বাধিক শক্তিশালী। এভাবে আপনাকে অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে জেনুইন উইন্ডোজ না হলে। এছাড়া আপনি এখানে আরো তথ্য পাবেন জেনুইন উন্ডোজ সম্পর্কে।

উপরের সুবিধাগুলো পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই জেনুইন উইন্ডোজের মালিক হতে হবে। আপনার উইন্ডোজটি জেনুইন কি না তা আপনার জানা আছে। তারপরও জানতে চায়লে অনলাইনে ট্রাই করতে পারেন কিংবা MSE, WMP11 ইনস্টল করার চেষ্টা করে দেখুন। বর্তমানে একটিভেশন সহ উইন্ডোজ সেভেনের সিডি পাওয়া যায় বাজারে। এক্সপিকেও জেনুইন করার বিভিন্ন ব্যবস্থা অনলাইনে রয়েছে। তারপরও যদি আপনি দু নাম্বারি করে এক্সপিকে জেনুইন করে থাকেন মাইক্রোসফটের এন্টিভাইরাস MSE কে আপডেট করতে গেলে ধরা খেতে হবে। আরো বিভিন্ন দিকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।