সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: কমান্ডার ডগ

কমান্ডার ডগ



এখানে যে ছবিটি দেখা যাচ্ছে এটি আসলে একটি কুকুর। অবাক হওয়ার কথা। কত রকমের কুকুরই তো দেখা যায়। এমন অদ্ভুত শরীরের কুকুরটির নামও কিন্তু অদ্ভুত_ 'কমান্ডার ডগ'। আর এদের জন্ম হাঙ্গেরিতে। এদের দেখে যতটা বড় দেখা যায় আসলে ততটা বড় নয়। কমান্ডার ডগের উচ্চতা বড়জোর আড়াই ফুট। কিন্তু এদের গায়ের ওই দড়ির মতো পশমের কারণেই এদের এতটা বড় আর অদ্ভুত দেখায়। ওদের গায়ের লম্বা লম্বা আর আজব কিসিমের এপশমগুলো লম্বায় ২০ থেকে ২৭ সেমি পর্যন্ত হয়। অর্থাৎ প্রায় এক ফুট।

গা-ভর্তি এরকম দড়ি নিয়ে হাঁটতে কি কারও ভালো লাগে? তবে ওদের নিশ্চয়ই অভ্যাস হয়ে গেছে। গা ভর্তি পশম হলে কী হবে এরা অন্য কুকুরের চেয়ে বেশি দ্রুতগতি আর ভয়ানক এই কমান্ডার ডগ। তবে মানুষের জন্য এরা অতটা ভয়ঙ্কর নয়। এরা প্রভুভক্ত কুকুর হিসেবেই বেশি বিখ্যাত। ঠিক আমাদের দেশের দেশি নেড়ি কুকুরগুলোর মতোই এরাও ভীষণ প্রভুভক্ত। আর পাহারাদার হিসেবে এরা কিন্তু খুবই দক্ষ। এ জন্যই এদের বাড়িতে রাখা হয় গৃহপালিত পশু পাহারা দেওয়ার জন্য। ভেড়ার পালের সঙ্গে মিশে গেলে কারও সাধ্য নেয় ওদের আলাদা করে চেনার। অথচ নেকড়ে অথবা অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী হামলা চালালেই হলো, কমান্ডার ডগ একদম আর্মির মতো ঝাঁপিয়ে পড়বে সেগুলোর ওপর। ঠিক যেন সিনেমার নায়ক। আর বাগে পেলেও পুরু পশমের কারণে এদের ঠিকমতো কামড়ও দিতে পারে না নেকড়েরা। শুধু সিনেমার নায়করাই যে ভেড়াদের বাঁচায়, তাই না, সিনেমার নায়কদের মতো কমান্ডার ডগের ভাবসাবও খুব বেশি। ঘনঘন গোসল করাতে হয় এদের। নইলে আবার গায়ের রং ময়লা হয়ে যায়! আর একবার গোসল করালে দুই-তিন দিন তো ওদের গা-ই শুকায় না। তবে পশম পুরু হলেও শীতে বা গরমে এদের তেমন সমস্যা হয় না। অবশ্য ভেজা আবহাওয়া আবার এরা খুব একটা পছন্দ করে না।

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, ০৭ জুলাই ২০১২ খ্রিঃ।

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।