সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: চট্টগ্রামে ইসলাম

চট্টগ্রামে ইসলাম



মুসলিম শাসনের অনেক আগে থেকেই চট্টগ্রামে সুফি-সাধকদের আগমন। এ তথ্য প্রমাণ করে আরও মহীয়ান হয়ে চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন ক'জন আরব্য সাধক। ইসলামের দাওয়াত ৌঁছে দিয়ে ইসলাম কায়েম করতে অনেক সাধক এসেছেন চট্টগ্রামে। মাতৃসূত্রে হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর অতি প্রিয় মামা জান্নাতি সাহাবি হজরত ওয়াক্কাস আবিসিনীয় বণিকদের সঙ্গে প্রথম চীনে গমন করেন ৬১৬ খ্রিস্টাব্দে। ৬৩৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি জিনজিয়াং প্রদেশে ইন্তেকাল করেন। হামিশহরে যা আজও 'গাইস মাজার' নামে বিখ্যাত। সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস চীন গমন করেন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম হয়েই।

চারজন সাহাবি চীন যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম স্পর্শ করে যান ৬১৬-১৭ খ্রিস্টাব্দে, তখন চট্টগ্রাম ছিল আকর্ষণীয় নৌরুট। অন্য তিনজন হলেন সাঈদ ইবনে জাইদ, কাইস ইবনে সা'র ও হাসান ইবনে তাবিথ। ৬৫০-৫১ সাল পর্যন্ত তিনবার চীন গমন। এদিক দিয়ে চীনে ইসলাম কায়েম এবং চীনের সঙ্গে যোগাযোগের দিক দিয়েও চট্টগ্রাম একটি নিদর্শন। তখন ছিল আরবের আবিসিনিয়া থেকে চট্টগ্রাম-কামরুপ-মনিপুর হয়ে চীন যাওয়ার নিরাপদ সরল পথ। চীনে ১৩০০ বছর আগে নির্মিত হুয়াইসেং মসজিদ গুয়াংতা বা লাইট হাউস মসজিদ নামে খ্যাত। দাবি করা হয়_ এটি বিশ্বের একটি প্রাচীন মসজিদ। হজরত আবু ওয়াক্কাস (রা.) ছিলেন একজন মেধাবী স্থাপত্যবিদ, অকুতোভয় যোদ্ধা, অজানার পথে অভিযাত্রী, কবি, সুবক্তা। সর্বোপরি গোপনে প্রথম যারা ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি তাদের অন্যতম। মাকে যিনি হুঁশিয়ারি করেছিলেন : 'মা, আপনার মতো হাজারটি মাও যদি আমার ইসলাম ত্যাগ করার বিষয়ে জিদ ধরে পানাহার ছেড়ে দেয় এবং প্রাণ বিসর্জন দেয়, তবুও সত্য দ্বীন পরিত্যাগ করা আমার পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়।' সা'দের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি 'আশারায়ে মুবাশশারাহ' অর্থাৎ দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জনের অন্যতম এবং তিনি এ দলের সর্বশেষ ব্যক্তি যিনি দুনিয়া থেকে আখিরাতে পাড়ি দেন।


-
সৈয়দ রেজাউল করিম
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, ০৮ জুলাই ২০১২ খ্রিঃ।

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।