সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: শ্বাসকষ্ট থেকে বাঁচতে করণীয়

শ্বাসকষ্ট থেকে বাঁচতে করণীয়


 

বিভিন্ন ধরনের এলার্জেন যেমন-ধুলাবালি-ধোঁয়া, ফুলের রেণু, কলকারখানার নির্গত বিষাক্ত গ্যাস, গাড়ির ধোঁয়া, বিশেষ কিছু খাবার, ওষুধ ইত্যাদি এলার্জি ও এজমার সৃষ্টি করে। যে কোনো সুস্থ ব্যক্তিরও এলার্জি হতে পারে। সামান্য উপসর্গ হতে শুরু করে মারাত্দক উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে, এমন কি হঠাৎ তীব্র আকারে আক্রমণ করতে পারে। নিউইয়র্কে গবেষকরা বলেছেন, যানবাহন রাজপথে হাঁচি উদ্রেককারী এলার্জেন সৃষ্টি করে। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মতে- প্রস্তরফলক, ইস্টক প্রভৃতি দ্বারা আস্তর করার পথে বিভিন্ন উৎস হতে কমপক্ষে ২০টি এলার্জেন পাওয়া যায়। ফুটপাতের ধূলিকণাকে বর্ণনা করেন এভাবে যে-এগুলো হচ্ছে মৃত্তিকার ধুলা, গাড়ির গচ্ছিত নিঃশোষিত পদার্থ, টায়ারের ধুলা, গাছ-পাতার খণ্ড এবং অন্যান্য যৌগিক পদার্থের জটিল সংমিশ্রণ। পথের ধুলা শহরবাসীর এলার্জি/এজমাতে প্রবলভাবে গ্রহণ করে। কারণ রাজপথ দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন, লোকজন প্রভৃতির মাধ্যমে এগুলো দ্রুত বায়ুমণ্ডলে মিশে যায়। তাদের মতে, শতকরা ১২ ভাগ শহরবাসী নিঃশ্বাসের সঙ্গে এমন বায়ুবাহিত এলার্জেন সৃষ্টি করে।


শ্বাসকষ্ট, এজমা বা হাঁপানিঃ দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ এবং তার প্রতি সংবেদনশীলতাই এজমা বা হাঁপানি। এর উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয় হাঁচি, কাশি, বুকে চাপা ভাব, শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণে বাধা।


কারণঃ বংশগত এবং পরিবেশগত কারণে হাঁপানি হলেও এ দুটি উৎপাদক কিভাবে সৃষ্টি করে তা পরিষ্কারভাবে জানা সম্ভব হয়নি। তবে প্রদাহের কারণে শ্বাসনালী লাল হয়, ফুলে যায়, সরু হয় এবং ইরিটেন্ট বা উদ্দীপকের প্রতি অতি সংবেদনশীল হয় যার ফলে হাঁপানির উপসর্গসমূহ দেখা যায়। নিম্নবর্ণিত বিভিন্ন উৎপাদকের (Triggers) কারণে হাঁপানির উপসর্গসমূহ সাধারণত দেখা যায়।


ইনফেকশন, সাধারণত ভাইরাসজনিত উপসর্গ- যেমন : কোল্ড, ফ্লু ইত্যাদি, বিশেষত ধুলাবালি, পরাগরেণু, গৃহপালিত পশুপাখির ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ ইত্যাদি *ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম *ধূমপান- (হাঁপানি রোগী নিজে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের ধূমপান পরিহার করতে হবে।) *আবহাওয়ার পরিবর্তন *খাবারের কৃত্রিম রং *ওষুধ-যেমন : এসপিরিন ও অন্যান্যNSAIDs

লক্ষণঃ ঘড়ঘড় করে শব্দসহ শ্বাস-প্রশ্বাস *শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাগ্রস্ত হওয়া *বুকে ব্যথা এবং কাশি ইত্যাদি। হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সময় শ্বাসনালীতে নিম্নোক্ত পরিবর্তনগুলো দেখা যায়_ শ্বাসনালী লাল ও ফুলে যাওয়ার ফলে সরু হয়। *শ্বাসনালীর চারপাশের মাংসপেশিসমূহ সংকুচিত হয়ে শ্বাসনালীকে আরও সরু করে দেয়।


চিকিৎসাঃ সঠিক চিকিৎসা এবং ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে হাঁপানি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। *যেসব উত্তেজকের (ট্রিগার) কারণে হাঁপানির তীব্রতা বেড়ে যায়, রোগীকে সেগুলো শনাক্ত করতে হবে এবং পরিহার করতে হবে।



অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোস্তফা হোসেন

বক্ষ্যব্যাধি বিশেষজ্ঞ,

ফোন : ০১৭১১১৭১৬৩৪


 

 

 সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৩১ জুলাই ২০১২  খ্রিঃ

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।