সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: চীনের টেরাকোটা জাদুঘর

চীনের টেরাকোটা জাদুঘর


এক দশক আগে লু তোং চিয়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন টেরাকোটাসমৃদ্ধ একটি জাদুঘর পেইচিংয়ে টেরাকোটার প্রদর্শন করে যাচ্ছে। চীনের অন্যতম বেসরকারি জাদুঘর হিসেবে প্রাচীন টেরাকোটা জাদুঘরটি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা লু তোং চি আশা করেন, এটি সারা বিশ্বের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এ জাদুঘরে প্রাচীন চীনের লুপ্তপ্রায় ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ সংরক্ষণ করা হবে। প্রাচীন টেরাকোটা জাদুঘর পেইচিংয়ের দক্ষিণাঞ্চলের একটি হু থুং-এ অবস্থিত। জাদুঘরের প্রদর্শনী ভবন প্রাচীনৃ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। এখন এ প্রদশর্নী ভবনের দেয়ালের রং কিছুটা ওঠে গেছে। দেয়ালটা দেখতে মরিচাধরা পুরনো। দরজার সামনে পাইন গাছগুলোর পাশে আগাছা দেখা যায়।

প্রাচীন স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত শান্ত এ জাদুঘরটি আশপাশের সুন্দর পার্ক ও মানুষের সঙ্গে যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ জাদুঘরের দর্শক খুব বেশি নয়, কারণ নিদর্শনগুলো পথ চলতেই দেখা যায়। এ জাদুঘরে চার থেকে পাঁচ হাজার বছর আগের নতুন প্রস্তর যুগ থেকে দশম শতাব্দীর থান রাজবংশ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের তিন হাজার টেরাকোটা আছে। এসব মূল্যবান প্রাচীন টেরাকোটাকে চীনের প্রাচীন টেরাকোটা সভ্যতার ইতিহাস বলা যায়। ১৯৯৭ সালে চীনে চারটি বেসরকারি জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। তার মধ্যে লু তোং চির প্রাচীন টেরাকোটা জাদুঘর অন্যতম। চীনে টেরাকোটার ইতিহাস সুদীর্ঘ। আট হাজার বছর আগে চীনের নলুদ নদী অববাহিকা অঞ্চলে রঙিন টেরাকোটার উৎপত্তি। খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীর থান রাজবংশ থেকে চীনা মাটির পাত্র তৈরি শিল্প ধীরে ধীরে টেরাকোটা শিল্পের স্থলাভিষিক্ত হয়।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৯ জুলাই ২০১২ খ্রিঃ

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।