সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: প্যালপিটেশন : হৃদরোগের সতর্ক সংকেত

প্যালপিটেশন : হৃদরোগের সতর্ক সংকেত



আমাদের অজান্তেই বুকের ভেতর হৃৎপিণ্ড বা হার্ট সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে রক্তকে পাম্প করে সারাদেহে সঞ্চালিত করছে এবং হার্ট এ কাজটি করছে বিরামহীনভাবে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। যদি কখনো হার্ট খুব অল্প সময়ের জন্যও এ কাজ থেকে বিরত থাকে তবে আমাদের মৃত্যু অবধারিত। সাধারণ অবস্থায় হার্টের এ কার্যক্রম আমাদের অজান্তেই সম্পন্ন হচ্ছে তবে কখনো কখনো আমরা হার্টের এ কার্যক্রম অনুভব করতে পারি। খুব সহজভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে, হার্টের সংকোচন প্রসারণ (হার্টবিট) অনুভব করাকেই বুক aodo বা Palpitition বলা হয়। আমরা যখন অত্যধিক এবং ভারী কায়িকশ্রম করে খুব বেশি ক্লান্ত হয়ে যাই তখন হার্টবিট অনুভব করতে পারি, তখন মনে হয় বুকের ভেতর কি জানি এক জিনিস খুব দ্রুত ছন্দে ছন্দে আন্দোলিত হচ্ছে। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিটি মানুষই জীবনের কোনো না কোনো সময় বুক aodo অনুভব করে থাকে। এ অনুভূতি দুটি কারণে হতে পারে একটাকে বলা হয় Physiological যা সুস্থ স্বাভাবিক হার্টে হতে পারে এবং অন্যটাকে বলা হয় Pathological যা কিনা বর্তমান বিশ্বে হৃদরোগের সতর্ক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হয়।

Pathological Palpitition-এর কারণ অনেক এবং এর অধিকাংশ কারণই হৃদরোগের জন্য ঘটে থাকে।

হার্ট ভাল্বের সমস্যাঃ অল্প বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের এ কারণে Palpitition হয়, যুবক-যুবতিদের মধ্যেই এর প্রাদুর্ভাব বেশি পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় বয়স্ক ব্যক্তিদেরও এ সমস্যা হতে পারে। এ অবস্থার জন্য বিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। ভাল্বের সমস্যা জটিল আকার ধারণ করলে অনেক ক্ষেত্রেই অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপঃ বয়স্ক ব্যক্তিরা যারা দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপ্রেসারজনিত রোগে ভুগছেন তাদেরও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে হাইপ্রেসারের ফলে আপনার হার্টে জটিলতা দেখা দিয়েছে এবং এখনই সতর্ক না হলে হার্ট মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।


ইসকেমিক হার্ট ডিজিজঃ মধ্য বয়স এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের যদি বুকের ব্যথা বা শ্বাস কষ্টের সঙ্গে Palpitition থাকে তবে চিকিৎসকরা এ অবস্থাকে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ হিসেবে বিবেচনা করেন। যা বর্তমান সময়ে হার্টের প্রধান অসুখ হিসেবে পরিচিত যার ফলে হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট স্ট্রোক হয়ে থাকে। বর্তমান বিশ্বে এ জাতীয় রোগকে মানুষের মৃত্যুর এক নম্বর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা গ্রহণ করে প্রায় ক্ষেত্রেই সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে সুস্থ থাকার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।


ডা. এম শমশের আলী,
সহকারী অধ্যাপক (কার্ডিওলজি),
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
ফোন- ০১৯৭১-৫৬৫৭৬১

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৪ জুলাই ২০১২ খ্রিঃ

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।