সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: মহিলাদের হাঁটু ব্যথা ও প্রতিকার

মহিলাদের হাঁটু ব্যথা ও প্রতিকার



বেশিরভাগ মহিলাদের বয়স চল্লিশের ঊর্ধ্বে হলে হাঁটু ব্যথা শুরু হয়। বিশেষ করে হাঁটু ভেঙে নামাজ পড়তে গেলে তাদের এ সমস্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে অনেক মহিলাই হাটুর এ ব্যথা থেকে রক্ষা পেতে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। এ সময় তাদের হাড় ক্ষয়জনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এসবের মূল কারণ অস্টিওআথর্রাইটিস। এটি এক ধরনের বাত। রোগী যখন প্রথম প্রথম ব্যথা অনুভব করেন তখন হাঁটার সময় পায়ের মধ্যে ভরের ভারসাম্য এদিক-ওদিক করে ফেলে। এতে হাঁটুর জয়েন্টের মধ্যে একটা পজিশনাল ফল্ট বা অল্প ডিসপ্লেসমেন্ট দেখা দেয়। ফলে রোগী হাঁটু ভাঁজ করে বসতে পারে না, সিঁড়ি বা উঁচু-নিচু জায়গায় উঠতে-বসতে কষ্ট হয়। এর জন্য দরকার সঠিক ম্যানুয়াল ও ম্যানুপুলেশন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা, যা রোগীকে হাঁটু ভেঙে বসতে সাহায্য করবে।


ম্যানুপুলেশন থেরাপিঃ ডিপফ্রিকশন ও মায়োফেসিয়াল রিলিজ টেকনিক- যা হাঁটুর ওপর ও নিচের মাংসপেশি ও লিগামেন্টকে নরম করে, ফলে হাঁটুর ব্যথা কমে জয়েন্ট পাতলা অনুভব হয়। আইসোমেট্রিক বা স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ ও স্ট্রেচিং ক্সারসাইজ যা হাঁটুর শক্তি ও রেঞ্জ অব মুভমেন্ট বৃদ্ধি করে। ড্রাই নিডিলি- এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হাঁটুর শক্ত মাংসপেশিকে নরম করা হয়। ফলে রোগী সহজে হাঁটু ভাঁজ করতে পারে।

হাঁটু ব্যথায় করণীয়ঃ হাঁটুর তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তাহলে বরফ বা ঠাণ্ডা ছেঁক দেবেন, আর হাঁটুর তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে গরম ছেঁক দেবেন। হাঁটু ফোলা থাকলে হাঁটাহাঁটি কম করে পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে উঁচু করে রাখুন, প্রয়োজনে নিকেপ ব্যবহার করুন।


ডা. সাপিয়া আকতার, কনসালটেন্ট
ফিজিওথেরাপি ফাউন্ডেশন।
ফোনঃ ০১৭১৫৪৫১৫২৫

সূত্রঃ বাংলাদেশপ্রতিদিন, ১৬ জুলাই ২০১২ খ্রিঃ

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।