সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি থেরাপির প্রয়োগ

রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি থেরাপির প্রয়োগ



মানুষের দেহে কোষগুলো যখন কোনো কারণে অস্বাভাবিক এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজন হতে শুরু করে তখনই ক্যানসার হয়। এই ক্যানসার কোষগুলো আশপাশের স্বাভাবিক কোষগুলোকে ধ্বংস করে নিজেই সেই স্থান দখল করে নেয়। শুধু তাই নয়, এই কোষগুলো রক্তনালি এবং লিস্ফনালিকে ধ্বংস করে রক্ত ও লিস্ফে প্রবেশ করে এবং দূরে অন্য কোনো অঙ্গকে আক্রমণ করে এবং সেসব অঙ্গের স্বাভাবিক কোষগুলোকে এককভাবে ধ্বংস করতে থাকে। রোগীর চিকিৎসা নির্ভর করে শরীরে ক্যানসারের অবস্থান ও আকার এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর।

রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি থেরাপিঃ এটি একটি নতুন পদ্ধতি। অতি উচ্চ ক্ষমতা তরঙ্গ ব্যবহার করে টিউমার সেলের লিপিড ও প্রোটিনগুলো নষ্ট করে দেওয়াই এর কাজ। যার ফলে একশ ভাগ ক্যানসার টিউমার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায় অথচ আশপাশের সুস্থ ফুসফুসের টিস্যুর কোনো ক্ষতি হয় না। এ জন্য বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা RFTকে সার্জারির সফল মনে করেছেন। RFT করতে রোগীকে অজ্ঞান করার প্রয়োজন হয় না এবং ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা RFT করার ১৫ দিন পরই কেমোথেরাপি দিতে পারেন। যেখানে রেডিওথেরাপি অথবা কেমোথেরাপি কার্যকর নয় কিংবা পুনরায় ক্যানসার দেখা দিয়েছে তাদেরRFT'র কোনো বিকল্প নেই। যাদের ফুসফুসে একটির বেশি টিউমার বা দুই ফুসফুসেই ক্যানসার টিউমার আছে তাদের জন্যও জঋঞ একটি কার্যকরী চিকিৎসা। National Institute of Health, National Cancer Institute, USA RFT,কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি সমন্বিতভাবে প্রয়োগ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।


ডা. আহমেদ সরোয়ার মুর্শেদ
লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, ঢাকা।
ফোন : ০১৭৫৭৩৩৩৫৪৪

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, আগষ্ট ২০১২ খ্রিঃ

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।