চল্লিশোর্ধ্ব মামুন সাহেব। একদিন সকালে
তীব্র বুকের ব্যথায় আক্রান্ত হলেন,
উদ্বিগ্ন পরিবার তাকে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক
ইসিজির সঙ্গে ঘাড়ের একটি ডিজিটাল এক্সরে করালেন। দেখা গেল
মামুন সাহেব সারভাইক্যাল
স্পন্ডাইলোসিসে আক্রান্ত। এমনি অনেক রোগী আছেন যারা ঘাড়ের রোগে আক্রান্ত
কিন্তু উপসর্গ প্রকাশ পেয়েছে অন্যভাবে।
সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিসঃ আমাদের মেরুদণ্ডের উপরের অংশের সাতটি কশেরুকা, কশেরুকার মধ্যবর্তী চাকতি, মাংশপেশি, লিগামেন্ট ও স্নায়ু জালিকা নিয়ে ঘাড় গঠিত। স্নায়ু জালিকাটি থেকে স্নায়ুসমূহ দুই হাত, বুক, পিঠ ও মাথার কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এখন কশেরুকা বা কশেরুকার মধ্যবর্তী চাকতির আকার বা অবস্থান পরিবর্তনের ফলে স্নায়ুর গোড়ায় চাপ সৃষ্টি হলেই স্নায়ুর ছড়িয়ে পড়া যে কোনো অংশে অস্বস্তি অনুভূত বা ব্যথা হতে পারে। এটি নির্ভর করে কত নম্বর স্নায়ুটি আক্রান্ত।
রোগ নির্ণয়ঃ শারীরিক পরীক্ষার সঙ্গে এমআরআই করালে কশেরুকা, চাকতি ও স্নায়ুসমূহের স্বচ্ছ চিত্র পাওয়া যায়। ব্যথার উৎপত্তিস্থলকে সুনির্দিষ্ট করে চিকিৎসা নিতে হবে।
চিকিৎসাঃ মূল উদ্দেশ্য হলো চাপে পড়া স্নায়ুটিকে চাপমুক্ত করা। যে কোনো শারীরিক ব্যথায়ই ফিজিওথেরাপি সর্বোত্তম চিকিৎসা পদ্ধতি। ঘাড় ব্যথায়ও এর ব্যতিক্রম নয়। বিজ্ঞানসম্মত ফিজিওথেরাপি রোগীকে ঘাড় ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে, চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম মেনে চলা আর বিজ্ঞানসম্মত ব্যায়াম করা। ঘাড় ব্যথার রোগীরা পাতলা বালিশ ও নরম বিছানায় ঘুমানো উত্তম।
ডা. মোহাম্মদ আলী
কনসালটেন্ট
ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ।
ফোন
: ০১৭১৫০৪৩৫৩৩
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।