রাজার
রাজত্ব নয় বরং দাপুটে রানীর রাজত্বেই বিশ বছর কাটিয়েছিলেন প্রজারা। মায়ান
সভ্যতার ইতিহাসের প্রবল প্রতিপত্তিশালী সেই রানীর সমাধি সম্প্রতি গুয়াতেমালার
এল পেরু-ওয়াকা থেকে খুঁজে বের করেছেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল
প্রত্নতত্ত্ববিদ। তাদের মতে,
রাজ্যের শাসনভার রানীর স্বামীর হাতে থাকা
সত্ত্বেও আসল ক্ষমতা ছিল ওই মহিলারই। ইতিহাস যাকে চিনে এসেছে রানী কে'আবেল।
এত
দিনে তার সমাধি খুঁজে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি প্রত্নতত্ত্ববিদের
দল। দলের ডিরেক্টর ডেভিড ফ্রেইডেল জানান, চলতি বছরের জুনে
সন্ধান মিলেছিল ওই সমাধির। পরে তার মধ্যে খনন করে খুঁজে পাওয়া যায় এক বিশেষ
ধরনের পানির পাত্র। যাতে খোদাই করা রয়েছে এক নারীমূর্তি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই
নারীমূর্তি আসলে রানী কে'আবেলেরই।
তবে পানির পাত্র ছাড়াও বেশ কিছু বাসনও খুঁজে পেয়েছেন তারা। সেসব
বাসন এবং সমাধির উপরের বিশাল পাথরের চাঁইয়ের নকশা দেখে তারা নিশ্চিত সমাধিটি
সপ্তম শতকের মায়ান রানী
কে'আবেলেরই।
ক্ষমতায় যিনি পেছনে ফেলে দিয়েছিলেন নিজের স্বামী, রাজা কে'ইনিখ বহলামকেও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মায়ান
সভ্যতার শেষ পর্যায়ের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রশাসক ছিলেন কে'আবেল।
প্রবল ক্ষমতাসম্পন্ন এই রানীকে তার রাজত্বকালেই 'সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধার' উপাধি
দেওয়া হয়। প্রত্নতত্ত্ববিদদের দাবি,
রাজা কে'ইনিখ বহলামের থেকেও যে রানী কে'আবেল
শক্তিশালী ছিলেন, তা
বোঝানোর জন্যই
ওই উপাধি দেওয়া হয়েছিল তাকে। আপাতত তাই স্বামীকে টেক্কা দেওয়া
এহেন 'ব্যতিক্রমী' স্ত্রীর
সমাধি নিয়েই মজে রয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।