সৃষ্টির
শুরু থেকে আজ অবধি কত বিস্ময়কর ঘটনাই না ঘটছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে
দেখতে পাই কত বিস্ময়কর মানুষ। ঠিক তেমনি এক বিস্ময়কর মানুষ হলেন জননি
এক (ঔড়যহহু ঊপশ)। তার ছিল বিস্ময়কর শরীর। যখন তার জন্ম হয় তখনই তার ছিল
শুধু শরীরের উপরের অংশ। কোমর থেকে নিচের অংশ বলতে কিছুই ছিল না। যেমন আকৃতিতে
তার জন্ম, এমন
ধরনের মানুষ জন্মের পরপরই মারা যাওয়ার কথা। বেঁচে থাকার
প্রশ্নই ওঠে না; কিন্তু
হাসপাতালের সব ডাক্তার আর পরিবারের সবাইকে হতবাক
করে সে
বেঁচে রইল পৃথিবীতে।
তার মাথা ছিল,
হাতও ছিল;
কিন্তু পা বা শরীরের নিম্নাংশ বলে কিছুই ছিল না। মোটকথা, তার
শরীরের দুই-তৃতীয়াংশই ছিল না। তা সত্ত্বেও সে বেঁচে রইল এবং পরে এই
লোকটিই হয়েছিল বিশ্বের সচচেয়ে বিস্ময়কর মানুষ। সে শুধু বেঁচেই থাকেনি, স্বাভাবিক
মানুষের মতো জীবনযাপনও করেছে। গড়ে তুলেছিল নিজেকে একজন পূর্ণাঙ্গ
মানুষ হিসেবে। জনী ছিল একজন দক্ষ টাইপিস্ট, পাকা দড়িবাজ (যে দড়ির উপর
দাঁড়িয়ে সার্কাস দেখাতে পারে) এবং অত্যন্ত আমোদে লোক। সে
ভালো অর্কেস্টা
বাজাতে পারত। দেখাতে পারত হাতের ভেলকিবাজির চমৎকার খেলা। সে অন্য ছেলে-মেয়েদের
মতোই স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। হাতের উপর ভর করেই দ্রুত হাঁটতে পারত।
সে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি হয়ে ভালো রেজাল্ট করে পাস করেছিল প্রবেশিকা। তারপর
মাত্র ১৪ বছরে লাভ করে স্নাতক ডিগ্রি। জনির জন্ম হয়েছিল ১৯১০ সালের ২৭ আগস্ট
লন্ডনে। সে স্বাভাবিক মানুষের মতোই সবকিছু খেতে পারত এবং আরো বিস্ময়কর
ঘটনা এই যে, তার
জীবনে কখনো কোনো অসুখ হয়নি। *রকমারি
ডেস্ক
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।