সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: বিমান পাচ্ছে রকেটের গতি!

বিমান পাচ্ছে রকেটের গতি!



ল্যাপক্যাট’, ‘স্কাইলনএগুলো সব দ্রুতগতি বিমানের নাম। রকেট ইঞ্জিনচালিত ল্যাপক্যাট ও স্কাইলন নামের বিমানে চড়েই হয়তো ভবিষ্যতে দ্রুতগতিতে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাওয়া যাবে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা দাবি করেছেন, তাঁরা এমনই একটি রকেট ইঞ্জিন উদ্ভাবন করেছেন যা দ্রুতগতির বিমান তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে। বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্রুতগতির স্কাইলন বিমান তৈরি করা হলে ৩০০ যাত্রী নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে সময় লাগবে মাত্র চার ঘণ্টা।


বর্তমানে যুক্তরাজ্য থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে ২১ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগে। যুক্তরাজ্যের প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান রিঅ্যাকশন ইঞ্জিনসের গবেষকেরা ২৮ নভেম্বর নতুন ধরনের জেট ইঞ্জিন তৈরির ক্ষেত্রে এক ধাপ অগ্রসর হয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলীদের দাবি, দ্রুতগতির বিমানের জন্য দরকারি ইঞ্জিনের প্রযুক্তিগত বাধা দূর করতে পেরেছেন তাঁরা। তাপে ইঞ্জিন যাতে অতিরিক্ত গরম না হয় সেই প্রযুক্তি-পরীক্ষাতেও তাঁরা সফল হয়েছেন। গবেষকেরা নতুন এ ইঞ্জিনটির নাম দিয়েছেন সাবরি সাবরি ইঞ্জিন ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে স্কাইলন নামের দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বিমান ও প্রতি ঘণ্টায় চার হাজার ২০০ মাইল গতিসম্পন্ন ল্যাপক্যাটনামের মহাকাশযান তৈরি করা সম্ভব হবে। গবেষকেদের দাবি, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা এ ধরনের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য চেষ্টা করছিলেন। ২৮ নভেম্বর জেট ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী একটি প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে পেরেছেন তাঁরা। এ ইঞ্জিনটির উদ্ভাবক অ্যালান বন্ড জানিয়েছেন, ‘আমার জীবনের সবচে গর্বের মুহূর্ত এটাই কেমন হবে স্কাইলন? গবেষকেরা বলছেন-মহাকাশযান, কিন্তু তা উড্ডয়ন করতে পারবে যেকোনো সাধারণ বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকেই। দেখতেও এটি বিমানের মতো। ৮৪ মিটার লম্বা এই বিমানের গতি হবে শব্দের গতির চেয়ে পাঁচ গুণ। সাধারণ মহাকাশযানের মতো এর বাইরে কোনো ইঞ্জিন থাকবে না, পরিবর্তে বিমানের ভেতরে থাকবে দুটি ইঞ্জিন। জ্বালানি হিসেবে ব্যবহূত হবে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন।

সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৯ নভেম্বর ২০১২ ইং

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।