Social Networking Site |
প্রযুক্তি
দুনিয়ার একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর পদচারণা। এই সাইটগুলো একদিকে মানুষকে আবদ্ধ করছে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে। অন্যদিকে নতুন ব্যবসার ক্ষেত্র তৈরিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। যার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব হচ্ছে কোটি কোটি ডলার। বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগের সাইট নিয়ে লিখেছেন মোস্তাক চৌধুরী
ফেসবুকঃ
সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ফেসবুক। ২০০৪ সালের ফেব্র“য়ারিতে মার্ক জুকারবার্গ এটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এর গ্রাহক সংখ্যা ১০০ কোটি। ফেসবুকের বর্তমান মূল্য প্রায় ৫.৬ বিলিয়ন ডলার। ক্লিকথ্রো ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সালে প্রায় ৩০০০ মিলিয়ন ডলার আয় করে এবং ২০১২ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০০ মিলিয়ন ডলার আয় করে। গড়ে প্রতিদিন মোট ইন্টারনেট ক্লিকের ৫ ভাগের একভাগ ফেসবুকে পড়ে।
টেন্সেন্ট কিউ কিউঃ
ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে বর্তমানে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগের সাইট টেন্সেন্ট কিউ কিউ। বর্তমানে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৭৫০ মিলিয়নের কাছাকাছি। সামাজিক যোগাযোগের এ সাইটের মালিক চীনের টেন্সেন্ট হোল্ডিংস লিমিটেড।
টুইটারঃ
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট হলো টুইটার। ম্যাক ডোরসি ২০০৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ক্লিকথ্রো ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠানটি আয় করে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার।
উইন্ডোজ লাইইভ মেসেঞ্জারঃ
কম্পিউটার
জায়ান্ট মাইক্রোসফটের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সামাজিক
যোগাযোগের মাধ্যম হলো উইন্ডোজ লিভ মেসেঞ্জার। এটি মূলত মেসেঞ্জিং সেবা প্রদান করে। ১৯৯৯ সালে এটি এমএসএন মেসেঞ্জার
নামে
যাত্রা শুরু করে।
উইবোঃ
চীনের টেন্সেন্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের আরেকটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট হলো উইবো। চীনা ভাষার একটি মাক্রোব্লগিং সাইট হিসেবে এটি চীনের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় যোগাযোগর মাধ্যম। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩১০ মিলিয়নের কাছাকছি।
হাব্বোঃ
ইউরোপ ও আমেরিকার তরুণ-তরুণীদের কাছে আরেকটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট হলো হাব্বো। ২০০০ সালে ফিনল্যান্ডে এর যাত্রা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তা সমগ্র ইউরোপে বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩৩০ মিলিয়ন।
ইউরোপ ও আমেরিকার তরুণ-তরুণীদের কাছে আরেকটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট হলো হাব্বো। ২০০০ সালে ফিনল্যান্ডে এর যাত্রা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তা সমগ্র ইউরোপে বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩৩০ মিলিয়ন।
বিকন্ট্যাক্টিঃ
রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ, কাজাখস্তানসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হলো বিকন্ট্যাক্টি। ফেসবুকের আদলে গড়া এ সাইটটি ২০০৬ সালে পাভেল ডুরভ প্রতিষ্ঠা করেন।
বাডোঃ
ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট হলো বাডো। ২০০৬ সালে আন্দ্রো আদ্রিব এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৫০ মিলিয়ন।
অরকুটঃ
গুগলের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হলো অরকুট। অরকুটের নামকরণ করা হয় এর প্রতিষ্ঠাতা অরকুট বায়াকাতিনের নামানুসারে। তিনি ২০০৪ সালে অরকুট প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১২০ মিলিয়নের কাছাকাছি। ভারত ও ব্রাজিলে অরকুট অত্যন্ত জনপ্রিয়।
লিংকডইনঃ
২০০৩ সালে রেড হ্যালফম্যান লিংকডইন প্রতিষ্ঠা করেন। এটি মূলত একটি বিজনেস রিলেটেড সামাজিক যোগাযোগের সাইট, যার মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং ও বিজনেস দুই-ই চলে। এর ইউজার সংখ্যা প্রায় ১৩৫ মিলিয়ন।
গুগল প্লাসঃ
গুগলের
একটি নতুন পণ্য হলো গুগল প্লাস। ফেসবুকের একটি শক্তিশালী প্রতিদন্দ্বী তৈরি করানোর জন্য ২০১১ সালে জুনে গুগল
প্লাসের পরীক্ষামূলক কাজ চালু করে গুগল
আইএনসি। ২০১২ সালের শেষের দিকে এসে এর ব্যবহারকারীর
সংখ্যা হয় প্রায় ৮০ মিলিয়ন।
মাইস্পেসঃ
স্পেসিফিক মিডিয়া ও পপস্টার টিম্বারলেকের মালিকানাধীন ৩০ মিলিয়ন ইউজার নিয়ে মাইস্পেস একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে এ সাইটটি যাত্রা শুরু করে।
এছাড়া উইকিপিডিয়া আরো তথ্য দিতে পারে।
সূত্রঃ মানবকন্ঠ, ২০ জানুয়ারী ২০১৩ ইং
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।