রাষ্ট্রপতি
মো. জিল্লুর রহমান আর নেই। গতকাল ২০ মার্চ, বুধবার বাংলাদেশ
সময়
বিকেল চারটা ৪৭ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট
এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন
(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশেষ বিমানযোগে রাষ্ট্রপতির মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে। দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে আজ থেকে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এই তিন দিন (বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার) বাংলাদেশের সব
সরকারি,
আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
গতকাল রাতে পাঠানো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ রাষ্ট্রপতির মরদেহ গ্রহণ এবং যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়
দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
রাষ্ট্রপতির আত্মার মাগফিরাত কামনায় আগামীকাল শুক্রবার দেশের সব মসজিদে দোয়া এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে
প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
কাল শুক্রবার বেলা আড়াইটায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা সাড়ে তিনটায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হবে মরহুমের গুলশানের বাসভবনে। বিকেল পাঁচটায় বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রপতিকে দাফন করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের স্পিকার মো. আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। শুধু আওয়ামী লীগেই নয়, দেশের গোটা রাজনৈতিক অঙ্গনেই জিল্লুর রহমান ছিলেন অভিভাবকের মতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ছুটে যেতেন তাঁর কাছে। দেশের দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক পরিবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও তাঁর আমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে পারেননি। সর্বশেষ নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে জিল্লুর রহমানের ডাকে বঙ্গভবনে যান খালেদা জিয়া। জিল্লুর রহমান দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করার পর রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন। এই পদে থেকেই ইন্তেকাল করলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও স্নেহধন্য জিল্লুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা চাচা বলে ডাকতেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দুবার এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে দুবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় তিনি স্ত্রী আইভি রহমানকে হারিয়েছেন। এক-এগারোর সময় (২০০৭ সাল) দলের চরম দুঃসময়ে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। ২০০৭ সালের জুলাইয়ে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হওয়ার আগে জিল্লুর রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে যান। এ সময় তিনি দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। শেখ হাসিনাকে কারামুক্ত করতে আইনজীবীর গাউন পরে বৃদ্ধ বয়সেও ছুটে গেছেন সংসদ ভবনের বিশেষ আদালতে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার দিন তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই দিন থেকে এক মুহূর্তের জন্যও তিনি আওয়ামী লীগের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। জিল্লুর রহমান মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় চল্লিশের দশকের শুরুর দিকে স্কুলের ছাত্র থাকাকালেই। ১৯৪৬ সালে ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকাকালে সিলেটে গণভোটের প্রচারকাজে অংশ নিতে গিয়ে তিনি সেখানে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর ভাষা আন্দোলনসহ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সব আন্দোলন-সংগ্রাম এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন তথা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের পুরোভাগে ছিলেন তিনি।
শোক প্রকাশঃ রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ শোক প্রকাশ করেছেন। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘জিল্লুর রহমান ছিলেন আমাদের অভিভাবক। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন দেশপ্রেমিক, নিবেদিতপ্রাণ ও প্রবীণ রাজনীতিবিদকে হারাল। ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে তাঁর দৃঢ় ও প্রাজ্ঞ ভূমিকা জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘পঁচাত্তর-পরবর্তী দুঃসময়ে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে জিল্লুর রহমানের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। প্রিয়তমা স্ত্রী ও রাজনৈতিক সহকর্মী আইভি রহমানকে ২১ আগস্ট মর্মান্তিক গ্রেনেড হামলায় হারানোর পরও তিনি নতজানু হননি। এক-এগারোর পর দুঃসময়ে জিল্লুর রহমান দলের হাল ধরেছিলেন। তিনি আমাকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছিলেন। মুক্তি দিয়েছিলেন গণতন্ত্রকে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের মানুষ চিরদিন জিল্লুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জিল্লুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে তাঁর ইতিবাচক ভূমিকা জাতীয় ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। জিল্লুর রহমান ছিলেন ভদ্র, নম্র ও ভালো মানুষ। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সম্পর্কে তিনি কখনো আক্রমণাত্মক ও অশালীন মন্তব্য করতেন না। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন সুবিবেচক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হারাল। রুচি ও প্রজ্ঞার প্রকট অভাবের এই সময়ে তাঁর মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো, তা পূরণ হওয়ার নয়।
সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ জিল্লুর রহমানের জন্ম ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায়। তাঁর বাবা আইনজীবী মেহের আলী মিয়া ময়মনসিংহ জেলার লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। জিল্লুর রহমান ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে ভৈরব, কুলিয়ারচর ও বাজিতপুর থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর সব সময় ওই আসন থেকে নির্বাচন করে আসছিলেন। ভৈরব-কুলিয়ারচর আসন থেকে তিনি ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ওই আসনে এখন প্রতিনিধিত্ব করছেন তাঁর ছেলে নাজমুল হাসান। ছাত্রজীবনেই জিল্লুর রহমান রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ভাষা আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্সসহ এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি ১৯৫৪ সালে আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। ষাটের দশকে ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেও রাজনীতিতে তিনি মনোনিবেশ করেন। ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ছিষট্টির ছয় দফা আন্দোলন ও উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। এরপর একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র পরিচালনা এবং জয় বাংলা পত্রিকার প্রকাশনায় যুক্ত ছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগের প্রথম সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। এরপর ১৯৭৪, ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। দীর্ঘদিন তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে নবম জাতীয় সংসদে সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। জিল্লুর রহমানের এক ছেলে সাংসদ নাজমুল হাসান এবং দুই মেয়ে তানিয়া রহমান ও তনিমা রহমান।
প্রয়াত
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে। এরপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকারের পক্ষে চিফ হুইপ, বিএনপির চেয়ারপারসন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সাংসদ,
তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন
রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার
মানুষ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিবেদন শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জিল্লুর রহমানের মরদেহ সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখা
হয়।
কাল শুক্রবার সকাল নয়টায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবের
হাজি আসমত আলী কলেজ মাঠে জিল্লুর রহমানের
প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জুমা রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে তাঁর দ্বিতীয় ও শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বেলা সাড়ে তিনটায় বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর মরদেহ দাফন করা হবে। আজ দুপুর ১২টার
পর জিল্লুর রহমানের মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর জাতীয় পতাকায় মোড়ানো তাঁর কফিনটি গ্রহণ করে সামরিক বাহিনী। একই বিমানে করে দেশে ফেরেন জিল্লুর রহমানের ছেলে সাংসদ নাজমুল হাসান ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। বিমান থেকে নামার পর সদ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতির ছেলে,
দুই মেয়ে তানিয়া রহমান ও তনিমা রহমান কান্নায়
ভেঙে পড়েন। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আমির হোসেন আমুসহ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাঁদের সান্ত্বনা দেন। এরপর আটজন সেনা
কর্মকর্তা লাল গালিচার ওপর দিয়ে কফিনটি বিমানবন্দরের অস্থায়ী শোক বেদিতে রাখেন। সেখানে প্রথমে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ,
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানান।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও
অন্য নেতারা শ্রদ্ধা জানান। বিমানবন্দরে আরও
উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহিনীর
প্রধানগণ এবং শেখ রেহানা। এরপর সশস্ত্র বাহিনীর
একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতির প্রতি সম্মান জানায়। সেখান থেকে তাঁর মরদেহ মোটর শোভাযাত্রাসহকারে বেলা ১টা পাঁচ মিনিটে বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমানবন্দর থেকে বঙ্গভবনে আসার পথে রাস্তার দুই পাশে সাধারণ মানুষ দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর পক্ষে চিফ হুইপ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে জিল্লুর রহমানের মরদেহ বঙ্গভবনের দরবার হলে রাখা হয়। সেখানে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিবৃন্দ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, সাংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিক, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রয়াত রাষ্ট্রপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ জিল্লুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় মানুষের ঢল নামে। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের উদ্দেশে জিল্লুর রহমানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা দুইটা ১০ মিনিটের দিকে বঙ্গভবনে আসেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর তিনি ও তাঁর দলের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা রাষ্ট্রপতির কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন খালেদা জিয়া। পরে তিনি সেখানে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটা ৪৭ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন জিল্লুর রহমান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে আজ থেকে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
সূত্রঃ প্রথম আলো, ২১-০৩- ২০১৩ ইং
ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। স্যার আমি সৌদি আরব থেকে হেলাল লিখতেছি। আপনার মোবাইল নাম্বারটা মেইল করবেন আমাকে।
উত্তরমুছুনalhelalsp@gmail.com
হ্যাঁ, হেলাল কেমন আছো তুমি? তোমাকে মেইল পাঠিয়েছি।
মুছুন