সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: স্বপ্নের পিছু ধাওয়া করো, তরুণদের টেন্ডুলকার

স্বপ্নের পিছু ধাওয়া করো, তরুণদের টেন্ডুলকার



ছিলেন ভারতবর্ষের কোটি মানুষের স্বপ্ন সারথি। স্বপ্নকে কীভাবে বাস্তবায়ন করতে হয়, শচীন টেন্ডুলকারের ভালো জানার কথা। তরুণদের সে কথাই জানাচ্ছেন শচীন! সম্প্রতি সাফল্যের চূড়ায় উঠেছেন, এমন ২৫ ভারতীয় জীবন্ত কিংবদন্তিকে পুরস্কৃত করেছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় একটি টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। সবার হাতে পুরস্কার তুলে দেন দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। পুরস্কার গ্রহণের পর তরুণদের উদ্দেশে লিটল মাস্টার বলেন, ‘ভারতের তরুণদের স্বপ্ন দেখতে উত্সাহিত করব। কেননা স্বপ্নের পেছনে লেগে থাকলে সেটি সত্য হবেই।


জীবনে সব সময় জেতা যায় না। কখনো কখনো মেনে নিতে হয় পরাজয়। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয়ও থাকতে হয় মনে। এ ক্ষেত্রে ক্রিকেট কিংবদন্তির পরামর্শ, ‘কখনো কখনো হারতে হয়েছে আমাকে। খেলাধুলা থেকে যে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি শিখেছি, যখন হারবে, ঠিক তখনই আরেকটি চ্যালেঞ্জ নিতে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।সাফল্য পেতে শারীরিকভাবে ফিট থাকাটাও জরুরি। শচীনের দাদি প্রায় তাঁকে সেই আপ্তবাক্যটি শোনাতেন, ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। শরীরের প্রতি যত্ন নিতে হবে।তাঁর কণ্ঠেও একই কথার প্রতিধ্বনি, ‘শারীরিকভাবে ফিটনেস ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হলে জীবনে দীর্ঘস্থায়ী কিছু করা যায়। যা হতে চাও সেটির ওপরই জোর দাও।বর্তমান প্রজন্মের প্রযুক্তি-আসক্তি মারাত্মক। শচীন তরুণদের ঘরে না বসে থেকে বাইরে নানা ভালো কাজে জড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। বর্তমান প্রজন্মকে দেখি, তারা ভিডিওগেম, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন প্রভৃতিতে আসক্ত। কিন্তু এসবে কেবল বুড়ো আঙুলটার নড়াচড়া হয়। তরুণদের প্রতি আহ্বান, ঘরের বাইরের ভালো কর্মকাণ্ডে জড়াও। নিদেনপক্ষে কিছু একটা খেলো। বন্ধুদের বিপক্ষে খেলেও জীবনে আবেগ খুঁজে পাওয়া যায়।বললেন লিটল জিনিয়াস।  


সূত্রঃ প্রথমআলো, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।