বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর
অন্যতম কারণ হলো নিউমোনিয়া। আর শীতকালেই
এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। উপসর্গের তীব্রতার ওপর ভিত্তি করে তিন ধরনের
নিউমোনিয়াকে চেনাজানা দরকার। খুব মারাত্মক, মারাত্মক ও
সাধারণ নিউমোনিয়া। মারাত্মক বা খুব মারাত্মক লক্ষণগুলো না থাকলে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি না
করে মুখে খাবার অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা যায়। এই চিকিৎসায় যদি শিশুর জ্বর কমে যায়, শিশু ভালোমতো
খেতে পারে ও অবস্থার উন্নতি হয়, তবে নির্দেশনামতো পাঁচ দিনের অ্যান্টিবায়োটিক পূর্ণ মেয়াদে শেষ করতে হবে। যদি উন্নতি না হয়ে বরং মারাত্মক বা খুব মারাত্মক লক্ষণগুলো
দেখা
দেয়, তবে দ্রুত
হাসপাতালে নিতে হবে। সঠিক চিকিৎসা ও পরিচর্যা পেলে সাধারণত দুই দিনের মধ্যে শিশুর অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে।
অ্যান্টিবায়োটিক ও
অক্সিজেন ছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সঠিক পরিচর্যা জরুরি। জ্বর ৩৯ (১০২.২ফারেনহাইট
) সেন্টিগ্রেড বা বেশি থাকলেnজরুরি। প্যারাসিটামল
দেওয়া যায়।
শ্বাস নিতে শব্দ হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো নেবুলাইজেশন বা শ্বাসনালি প্রসারক ওষুধ দেওয়া হয়।
শিশুর গলায় ঘন কাশি আটকে গেলে সাকশান দিয়ে তা বের করে আনা যায়।
সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে, বুকের দুধ ঘন ঘন খাওয়ানো ও অন্যান্য তরল খাওয়াতে হবে। তবে তরলের পরিমাণ সঠিক রাখাও জরুরি। অনেক কম বা অত্যধিক স্যালাইন বা জলীয় পদার্থ কোনোটাই ভালো নয়।
সময়মতো ও সঠিক মাত্রায় ও মেয়াদে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে।
বাচ্চা যদি খেতে বা পান করতে অসমর্থ থাকে বা অচেতন থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শমতো নাকে নল দিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
শিশুর গলায় ঘন কাশি আটকে গেলে সাকশান দিয়ে তা বের করে আনা যায়।
সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে, বুকের দুধ ঘন ঘন খাওয়ানো ও অন্যান্য তরল খাওয়াতে হবে। তবে তরলের পরিমাণ সঠিক রাখাও জরুরি। অনেক কম বা অত্যধিক স্যালাইন বা জলীয় পদার্থ কোনোটাই ভালো নয়।
সময়মতো ও সঠিক মাত্রায় ও মেয়াদে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে।
বাচ্চা যদি খেতে বা পান করতে অসমর্থ থাকে বা অচেতন থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শমতো নাকে নল দিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
কাশি বা শ্বাসকষ্টের
সঙ্গে নিচের যেকোনো একটি উপসর্গ থাকলে বুঝতে হবে যে শিশু খুব মারাত্মক ধরনের
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
এগুলো হলো:
১. জিব ও ঠোঁট নীল বর্ণ
হয়ে যাওয়া।
২. বুকের দুধ বা পানীয়
পান করতে না পারা বা বমি করে দেওয়া।
৩. খিঁচুনি, নিস্তেজ বা অচেতন হয়ে পড়া। খুব মারাত্মক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে দ্রুত
হাসপাতালে ভর্তি করা এবং দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক ও অক্সিজেন শুরু করা জরুরি। কাশি ও শ্বাসকষ্টের সঙ্গে নিচের যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা গেলে মারাত্মক
নিউমোনিয়া বলা হয়।
যেমন:
১. বুকের নিচের অংশ দেবে
যাওয়া।
২. নাসারন্ধ্রের দুপাশ
ফুলে ওঠা।
৩. দুই মাসের কম বয়সী
শিশুর কষ্টকর প্রশ্বাস ও ঘড়ঘড় শব্দ।
৪. শ্বাস-প্রশ্বাসের হার
দ্রুত, মানে মিনিটে ৭০ বা তার বেশি। এ ক্ষেত্রেও হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাতে
হবে।
নিউমোনিয়া হলো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াঘটিত ফুসফুসের সংক্রমণ। তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়া বেশি প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।
নিউমোনিয়া হলো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াঘটিত ফুসফুসের সংক্রমণ। তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়া বেশি প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।
সাধারণ নিউমোনিয়ায় কাশি বা শ্বাসকষ্টের সঙ্গে শিশুর দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসের হার লক্ষ করা যায়। বয়স দুই মাসের কম আর শ্বাস মিনিটে ৬০ বা ততোধিক, বয়স ২-১২ মাস আর শ্বাস মিনিটে ৫০ বা ততোধিক, বয়স ১২ মাস-৫ বছর আর শ্বাস মিনিটে ৪০ বা ততোধিক হলে বুঝতে হবে এটি সাধারণ সর্দি-কাশি নয়, এটি নিউমোনিয়া।
ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী
শিশুরোগ বিভাগ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।