সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: কোন অসুখে কেমন শাক-সবজি উপকারী?

কোন অসুখে কেমন শাক-সবজি উপকারী?



"ভবিষ্যতের চিকিত্‍সক রুগীকে ওষুধ না দিয়ে তাকে শেখাবেন শরীরের যত্ন নেয়া, সঠিক খাদ্য নির্বাচন, রোগের কারণ নির্ণয় ও তা প্রতিরোধের উপায়।" -টমাস আলভা এডিসন, মার্কিন আবিষ্কারক এডিসন যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা আজ বাস্তবরূপ ধারণ করেছে। তবে শরীরের যত্ন, খাদ্যাখাদ্য বিচার ও রোগ ঠেকানোর ব্যাপারে আমরা এখনো ততটা সচেতন নই। রোগ সম্পর্কে জানা থাকলে এবং খাদ্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে সহজেই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এমনকি প্রতিরোধও করা যায়। এ জন্য প্রয়োজন খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা। জেনে নিন নানান স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে শাকসবজির অবদান।



ডায়াবেটিসে:
ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ দিনকে দিন বেড়েই চলছে। এই রোগে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ বেশি খাওয়া চলবে না। যেমন বীট, আলু, মিষ্টিআলু বা রাঙাআলু, ওল, কচু, খামালু ইত্যাদি। তবে তেলকুচা, করলা, মেথি শাক, কচি নিমপাতা, হেলেঞ্চা শাক এ রোগের মহৌষধ। ডায়াবেটিস রোগে সাদা বেগুন দারুণ উপকারী। এছাড়া কলার থোড়, মোচা, ঢেঁরস, ডুমুর, পালং শাক ইত্যাদিও উপকারী। কাঁচা রসুন রক্তে সুগারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম।


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে:
পটাশিয়ামের রয়েছে রক্তচাপ কমানো বা নিয়ন্ত্রণের বিশেষ ক্ষমতা। তাই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি যেমন আলু, কচু, ঢেঁরস, ঝিঙে, বীট, গাজর, মিষ্টিআলু বা রাঙাআলু, মটরশুঁটি, পালং শাক, বাঁধাকপি, নটেশাক ইত্যাদি নিয়মিত আহারের তালিকায় রাখুন। এছাড়া সজনে পাতা সেদ্ধ ভাতের সাথে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা রসুনেরও উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনার ক্ষমতা রয়েছে। তাই নিয়মিত এক কোয়া করে কাঁচা রসুন ভাতের সাথে খেলে উপকার পাবেন।


চোখের সমস্যায়:
ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চোখের রেটিনা ও রড গঠনের জন্য এই ভিটামিন খুবই প্রয়োজন। ভিটামিন এ-এর অভাব থাকলে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ও রাতকানা রোগ হয়। চোখের সমস্যা প্রতিরোধে শিশুদের প্রথম থেকেই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত। গাজর, বাঁধাকপি, লেটুস, পালং শাক, টমেটো, নটে শাক, মেথি শাক, সরষে শাক, লাল শাক, সজনে ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়া দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য বথুয়া এবং গিমা শাক দারুণ উপকারী।


অ্যাসিডিটির সমস্যায়:
অ্যাসিডিটির সমস্যা এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে। এর অন্যতম কারণ হলো নিয়ম না মেনে খাওয়া-দাওয়া করা এবং খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া। প্রতিদিনের আহারে কয়েকটি সবজি রাখলে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। কলার থোড় খেলে হজম শক্তি বাড়বে। গিমা শাক, পুদিনা, চিচিঙা, পটল, কাঁকরোল ইত্যাদি সবজি খেলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের প্রকোপ কমবে। অ্যাসিডিটি ও গ্যাসজনিত পেট ফাঁপায় সরষে শাক ও থানকুনি শাক বেশ কার্যকরী।


চর্মরোগে :
চর্মরোগ হলো ত্বকসংক্রান্ত এমন এক সমস্যা যা নানান কারণে হতে পারে। তবে ত্বক পরিষ্কার ও রক্ত পরিশোধনের জন্য কিছু শাকসবজি বেশ উপকারে লাগে এবং চর্মরোগের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। মেথি শাক, নুনিয়া শাক, নটে শাক, নিম পাতা, হেলেঞ্চা শাক, করলা, কাঁচা হলুদ ইত্যাদি খেলে চর্মরোগের বিরুদ্ধে দেহের ভেতরে একটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। খোসপাঁচড়া বা চুলকানি সারাতে নিমপাতা ভাজা, কাঁচা রসুন এবং হেলেঞ্চা শাক বেশ কার্যকরী।


সূত্রঃ প্রাইমনিউজবিডি, ১১ জানুয়ারী ২০১৪

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।