সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: পেটের মেদ নিয়ে ভাবনা

পেটের মেদ নিয়ে ভাবনা


পেটের মেদ শরীরের অন্য অংশের মেদের চেয়ে একটু আলাদাশরীরের  অন্য অংশের মেদ সাধারণত চামড়ার নিচে জমে থাকে তবে পেটের মেদ লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে জমে থাকে, যা অনেক সময় প্রাণঘাতি হয়ে দেখা দিতে পারেপেটের মেদের সাথে হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়


আমরা অনেকেই পেটের মেদ কমানোর জন্য বেলি স্ট্রোক অর্থাৎ পেটের মাংশ পেশীর  ব্যায়াম করে থাকিএর ফলে পেটের মাংশ পেশীর টোন বা আকৃতি সুন্দর হলেও পেটের মেদ কমাতে তা খুব একটা কাজে দেয় নাপেটের মেদ কমাতে হলে প্রয়োজন পুরো শারীরিক ব্যায়াম মনে রাখবেন, ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা জগিং বা জোরে হাটার পর রক্তে চলমান ফ্যাট শেষ হয়ে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাঙতে শুরু করেতাই এই ৪০ বা ৪৫ মিনিটের পর আপনি যদি ১০ বা ১৫ মিনিট ও জগিং বা জোরে হাঁটতে পারেন, তাহলেই প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার জমানো চর্বি কমতে থাকবে

তবে প্রথম দিনই ৪০-৪৫ মিনিট জগিং শুরু করবেন নাএর ফলে আপনার শরীরে ব্যথা হতে পারে, ফলে আপনি পরবর্তীতে ব্যায়াম করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেনতাই প্রথম দিন ১০ মিনিট, পরের দিন ২০ মিনিট এভাবে সময় বাড়ান এবং ১ ঘণ্টাতে স্থির  থাকুনমনে রাখবেন, অতি দ্রুত ওজন কমানো গেলেও এতে হিতে বিপরিত হতে পারেওজন কমানোর মূল মণ্ত্র হল মটিভেসন ও একাগ্রতা এখন বলে রাখি, শুধু ব্যায়াম করলেই অনেক সময় মেদ কমে না, এর জন্য আপনাকে খাবার গ্রহণেও সতর্ক হতে হবেখাবারে প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি রাখুনচর্বি জাতীয় খাবার কম খানফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে


এতোক্ষণ জানলেন জমানো চর্বি কমানোর কথাএবার জেনে নিন, যাদের পেটে তেমন মেদ নেই তবে ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে তারা কী করবেন? সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে যদি একজন ব্যক্তি মাত্র ১০ মিনিট আস্তে আস্তে হাঁটেন, তবে তার দেহে যে হরমন ও আঞ্জায়েম নিস্রিত হয়, তাতে সারা দিনে খাবারের সাথে গ্রহণ করা সমস্ত অতিরিক্ত চর্বি রক্ত থেকে পরিস্রুত হয়ে যায় এবং দেহে জমতে পারে নাকেবল এই ১০ মিনিট হাঁটার কারণে যে পরিমাণ চর্বি জমতে বাধা পায়, তা যদি আমরা ব্যায়াম এর মাধ্যমে কমাতে চাইতাম, তার জন্য আমাদের ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা এক নাগারে জোরে দৌঁড়াতে হত! তাই নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে পেটের মেদই শুধু নয়, সারা দেহের মেদ কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেতে পারি


ডাঃ ওসমান গনি
বি, পি, টি (ডি, ইউ);
এম, এস, সি (নিউরো রিহ্যাব, ব্রিটেন)
ডিপ্লোমা, অর্থপেডিক মেডিসিন (বেলজিয়াম)
নিউরো রিহ্যাব ও পেইন স্পেশালিষ্ট ফিজিওথেরাপিস্ট




সূত্রঃ বাংলা নিউজ, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।