সন্ধ্যার
পর থেকে মশার অত্যাচারে ঘরে থাকাই দায় হয়ে দাঁড়ায়, পিঁপড়ার যন্ত্রণায়
কোনো খাবার শান্তি মতো রাখা যায় না আর তেলাপোকাগুলোর তো পুরো বাড়িতে রাজত্ব! কী করবেন? মশা, মাছি, পিঁপড়া, তেলাপোকা এগুলো
আসেলে আমাদের পরিবারের এক রকম সদস্যই হয়ে গেছে। কারণ এরাও বাড়িতে আমাদের সঙ্গে সারা বছরই বাস করে। তবে বছরের এই সময় তাদের আনাগোনা যেন একটু বেশিই হয়। যে বাড়িতে পোকামাকড়ের ঘরবসতি একবার তৈরি হয়ে যায়, তাদের যাওয়ার পথ তৈরি করতে বেশ বেগই পোহাতে হয়। ভুক্তভোগী মাত্রই এটা স্বীকার করবেন।
তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি রয়েছে। যা ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই আমরা প্রতিকার পেতে পারি এই উটক ঝামেলা থেকে।
লেবুর রস
আমরা
লেবুর রস নিয়মিত স্প্রে করলে পিঁপড়ার উপদ্রব কমে।
দারচিনি ও লবঙ্গ
দারচিনি
ও লবঙ্গ আপনার ঘরে যেমন সুন্দর গন্ধ ছড়াবে তেমনি দূর করবে পিঁপড়ার যন্ত্রণা। ঘরের বিভিন্ন স্থানে কয়েক টুকরো দারচিনি ও লবঙ্গ রেখে দিন। মিষ্টি খাবার আমাদের মতো পিঁপড়াদেরও অনেক পছন্দের খাবার। তাই চিনির পাত্রের প্রতি তাদের আগ্রহ অনেক বেশি, এটা সবাই জানি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটি লবঙ্গ রাখুন।
নিমপাতা বা কালোজিরা
আলমারিতে
বা কাপড় রাখার স্থানে তোশকের নিচে শুকনো নিমপাতা বা কালোজিরা কাপড়ে বেঁধে রাখুন। নিমপাতা পানিতে দিয়ে ঘর মুছুন। পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কমবে।
কর্পূর
মশা তাড়াবার একটা সহজ উপায় হল, কয়েক টুকরো কর্পূর আধকাপ পানিতে ভিজিয়ে খাটের নীচে রেখে দিন।
ফুটন্ত পানি
রান্না
ঘরের বেসিনের পানির লাইন ওয়াশ রুমের লাইনগুলোতে ফুটন্ত পানি ঢালুন।
ভিনেগার
ঘরের মেঝে পরিস্কার করার সময় পানিতে দুই টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন।
স্যাভলন
ঘর থেকে মশা-মাছি দূর করতে স্যাভলন দিয়ে ঘর পরিষ্কার করুন। পোকা থেকে রেহাই পেতে আরও যে কাজগুলো করতে হবে: কাপড় মাঝেমধ্যে রোদে দিতে হবে। খাবার পোকার হাত থেকে রক্ষার জন্য খাবার টেবিল ও রান্নাঘরে চুলার ওপর কোনো লাইট দেয়া যাবে না। প্রতিটি ঘরের কোনা অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে।
ঘরে আলো-বাতাস প্রবেশ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।