তবে এই রহস্যময় গর্ত তৈরি হওয়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ভূগর্ভস্থ
পানি, লবণ ও
গ্যাসের মিশ্রণের ফলে কোনো এক বিস্ফোরণের ফলে তৈরি হতে পারে এই গর্ত। অবশ্য গ্রহাণু বা উল্কার আঘাতে এই গর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাকে
নাকচ করে দিয়েছেন অনেকে। হঠাত্ করে সাইবেরিয়ায় তৈরি
বিশাল এই গর্তের ভিতরে ঘন কালো। সম্প্রতি
এই গর্তটির একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওতে
দেখা যায়, এই রহস্যময় গর্ত
এবং তার চারপাশ ঘিরে থাকা গাছপালা। এলাকাটি বেশ
দুর্গম। গর্তটির
আশেপাশের মাটিও বেশ বিপদজনক এবং অস্থিতিশীল বলে মনে হয়। এই এলাকার কাছেই একটি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র রয়েছে। অনেকেই ধারণা করছেন, মাটির নিচে গ্যাস, পানি ও লবণের মিশ্রণে কোনো বিস্ফোরণ
ঘটার কারণে তৈরি হয়েছে এই গর্ত।
বিশাল এক রহস্য তৈরি করেছে ‘পৃথিবীর শেষ প্রান্ত’ হিসেবে পরিচিত রাশিয়ার ইয়ামাল পেনানসুলায় রহস্যময় একটি গর্ত। সপ্তাহখানেক আগে তৈরি বিশাল এই গর্ত কীভাবে হলো, তা নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। এক সপ্তাহ পরও এর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।অদ্ভুত এই গর্তটি তৈরির কারণ কী হতে পারে? গর্ত তৈরির কারণ হিসেবে
এখন পর্যন্ত অনেক তত্ত্বই শোনা যাচ্ছে। কেউ বলছেন, গ্রহাণুর
আঘাতে এটা ঘটেছে কেউ বলছেন আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট (ইউএফও) এর কারণ হতে
পারে। গর্তটির গভীরতা কত, তা এখনো পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি। তবে গর্তমুখের পরিমাপ ১০০ মিটারের কাছাকাছি হতে পারে বলে মনে
করছেন বিজ্ঞানীরা। এই গর্তটির তৈরি হওয়া নিয়ে যে
রহস্য তৈরি হয়েছে, তা সমাধান
করতে ইতিমধ্যে কাজে নেমে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। সিডনি থেকে বিজ্ঞানীদের একটি দল বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে বুধবার রাশিয়ায়
পৌঁছেছেন। তাঁরা এই রহস্যের কিনারা করতে পারবেন কি
না, তা সময়ই
বলে দেবে।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।