চীনের সফটওয়্যার
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ডমাইক্রো উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে নতুন
ম্যালওয়্যারের (ক্ষতিকর কম্পিউটার প্রোগ্রাম,
একধরনের ভাইরাস) অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছে। ক্ষতিকর এ প্রোগ্রাম
নিজের সব সাংকেতিক চিহ্ন উইন্ডোজ রেজিস্ট্রিতে লুকিয়ে রাখে। ফলে বাজারে প্রচলিত
অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যারগুলোর পক্ষে এ ভাইরাস শনাক্ত করে মুছে ফেলাটা আক্ষরিক
অর্থেই কঠিন এক কাজ। ম্যালওয়্যারের কৌশল যেমনটি হয়ে থাকে, সেই একই কারিগরি দক্ষতা আর নিজেকে
লুকিয়ে রাখার কৌশল আরও উন্নতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে পোয়েলিকস নামের এ ভাইরাসে।
পোয়েলিকস আক্রান্ত কোনো কম্পিউটার পরবর্তী সময়ে অন্য ম্যালওয়্যার দ্বারা
আক্রান্ত হওয়ার জোরালো আশঙ্কা থাকে।
কম্পিউটার
সিস্টেম এবং ব্যবহারকারীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এ
ম্যালওয়্যারের, যা সাইবার
দুর্বৃত্তদের পরে আবার নতুন করে আক্রমণের সুযোগ করে দেয়। ক্ষতিকর এ ভাইরাস
ম্যালওয়্যারযুক্ত মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ফাইল থেকে ছড়াচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রেন্ডমাইক্রোর গবেষণা অনুযায়ী, আক্রান্ত সিস্টেমে উইন্ডোজ
পাওয়ারশেল (কমান্ডের মাধ্যমে সিস্টেম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি) নামের প্রোগ্রামটি চালু
আছে কি না পোয়েলিকস প্রথমে সেটা দেখে নেয়। পাওয়ারশেল চালু না থাকলে ইন্টারনেট
থেকে গোপনে নামিয়ে ইনস্টল করে ফেলে। তারপর ম্যালওয়্যারের নিজস্ব ক্ষতিকর সাংকেতিক
বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালিয়ে পরে আরও ম্যালওয়্যার নামাতে সাহায্য করে। এ কারণে
উইন্ডোজ রেজিস্ট্রিতে যে পরিবর্তন ঘটে,
সেটার মান থাকে খালি। সেটি মুছতে গেলে ভুল বার্তা দেখায়।
কোনোভাবে মুছতে সক্ষম হলেও কম্পিউটার বন্ধ করে চালু করলে আবার আগের অবস্থায়
ম্যালওয়্যারটি চালু হয়। ক্ষতিকর
এ ভাইরাস পরে সিস্টেমের গোপন তথ্যগুলো পোস্ট কমান্ডের মাধ্যমে নিজেদের সার্ভারে
পাঠাতে থাকে। ট্রেন্ডমাইক্রো দাবি করেছে,
তারা স্মার্ট প্রটেকশন নেটওয়ার্ক সুবিধার মাধ্যমে
ব্যবহারকারীদের এ থেকে সুরক্ষা দেবে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, যে নিরাপত্তা সফটওয়্যারই ব্যবহার
করা হোক না কেন, এসব
ম্যালওয়্যারের হাত থেকে বাঁচতে অ্যান্টি-ভাইরাস প্রোগ্রামটির সর্বশেষ হালনাগাদ
ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে কম্পিউটার স্ক্যান করতে হবে নিয়মিত।
—ট্রেন্ডমাইক্রো ব্লগ অবলম্বনে মঈন চৌধুরী
সূত্রঃ প্রথমআলো, ১৯ আগস্ট ২০১৪
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।