দিনের খাদ্য তালিকায় কলা কম-বেশি সবারই থাকে, তা কাঁচা আর পাকা হোক। উপাদেয়, সস্তা, সারা বছর মেলে এমন সবজি বা ফলের মধ্যে কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। ভিটামিন এ, বি এবং সি-এর গুরুত্বপূর্ণ উৎসও কলা। এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, লৌহ ও অন্যান্য কিছু খনিজ। কলা পাকা বা কাঁচা দুই অবস্থায়ই খাওয়া যায়। দুই ধরনের কলায় পুষ্টিমানের ভিন্নতা রয়েছে।
পাকা কলা সহজেই হজম হয়, এর মধ্যকার শর্করা সহজে রক্তে মেশে, তাই এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। পাকা কলার ৮০ শতাংশের বেশি হলো শর্করা, আর স্টার্চ বা আঁশ হলো ৮ থেকে ১০ শতাংশ। তাই এটি ডায়াবেটিক রোগীদের শর্করা বাড়াতে পারে। তবে কলা যত পাকে, এর মধ্যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট তত বাড়ে, বিশেষ করে টিউমার নেক্রোসিস ফ্যাকটর, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। আবার কাঁচা কলায় আঁশ বা স্টার্চের পরিমাণ অনেক বেশি, ফলে শর্করা বাড়ে না। এতে প্রো বায়োটিক আছে অনেক, যা অন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে। কাঁচা কলায় লৌহ ও ক্যালসিয়ামের পরিমাণও বেশি। তবে কাঁচা কলা গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ায়। কাঁচা কলায় অ্যান্টি অক্সিডেন্টও কম।
লিভস্ট্রং ডট কম |
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।